গুরু ভাই বোনসহ সকল সনাতনী ভাই বোনদের জানাই স্বাগত ,উদ্দেশ্য গুরু দেবের অমৃত বানী সকলের মাঝে প্রচার করা।

 আপনেরা কয় পয়সার ধনী আমার জানা আছে ।এত অল্প ধনে এত পোদ্দারি কেন ?

সেবা কি গাছের ফল ?যে কুড়াইয়া পাওয়ায় যায় ?লক্ষ লক্ষ তপস্যালব্ধ ধন সেবা ।

     : - -  শ্রীশ্রী রামঠাকুর ।




জয়রাম 卐 জয়গুরু 🌼 


                                                       এমন সময় বড়দা সেখানে উপস্থিত হইলেশ্রীঠাকুর বলিলেন , বসেন ।

  বড়দা বসিলেন ।  শ্রীঠাকুর গুরুগম্ভীর স্বরে বলিতে আরম্ভ করিলেন ,দেখেন , আমার নিজস্ব প্রয়োজন বলতে কিছুই নাই ।  আমি শ্রীগুরুর আদেশে জীবের প্রয়োজনে দ্বারে দ্বারেঘুইরা ফিরছি ।  

আমি দরিদ্র ভিখারী ব্রাহ্মণ ,আপনেগো আশ্রয়ে আসছি ।আপনেরা দয়া করিয়া আশ্রয় দিছেন । 



 আশ্রিত পালন ধর্ম ।শাস্ত্রে এর বহু দৃষ্টান্ত আছে ।  আমার মত গরীব আশ্রিতের সেবার জন্য কোন লোকের ( কর্মচারী ) প্রয়োজন হয় না ।  প্রয়োজন হয় যেহেতু আপনেরা ধনী , মনি ব্যক্তি । 

 এমন নিকৃষ্ট আশ্রিতের সেবা করলে সেইটা আপনেগো মত ধনাঢ্য লোকের মানে বাধে ।  

লোকের নিকট হাস্যাস্পদ হইবেন ।  শ্রীঠাকুর কিছু সময় নীরব থাকিয়া পুনরায় বলিতে লাগিলেন , 

আপনেরা কয় পয়সার ধনী আমার জানা আছে ।এত অল্প ধনে এত পোদ্দারি কেন ?  

 আপনেগো থাইকা লক্ষ লক্ষ গুণ শ্রেষ্ঠ ধনবান লোক আমার জানা আছে , 

যারা লালসায় হন্য দিয়া ঘুইরা মরছে ।  সেবা কি গাছের ফল ? 

যে কুড়াইয়া পাওয়া যায় ?  লক্ষ লক্ষ তপস্যালব্ধ ধন সেবা । 

 সেবার অর্থ হইল নামের নিকট থাকা । নামের সঙ্গ নিয়া সেবা না করলে , সেইটা হইয়া পড়ে কুসেবা ।  আমি আপনেগোরে কুসেবার লিপ্ত করতে চাই না ।  আমি ঝড়ের কুটা ঝড়ের মুখে আসছি , 

পুনরায় ঝড়ের মুখে চইলা যামু । আমার জন্য আপনেরা , শুধু আপনেরাই কেন , 

জগতের যে কেহ কষ্ট ভোগ করুক তা আমার ঈস্পিত নয় ।  আমার স্বভাব ভাল নয় বইলা কেহ আমারে ভালবাসে না ।আমি কারও সুখের কণ্টক হইতে চাই না ।  

এই বলিয়া শ্রীঠাকুর নীরব হইলে বড়দা -----

" বাবা গো , বাবা গো " শব্দে পায়ে লুটাইয়া কাঁদিতে লাগিলেন এবং পুনঃ পুনঃ বলিতে লাগিলেন , বাবা সব দোষ আমার ।  আমি সেবার কিছুই জানি না , 

সেবা করতেও ভয় পাই । মনি , ফণীও বাড়ি নাই , সেজন্য সকলের অগোচরে এই 

ব্যবস্তা করছিলাম ।  আমার অপরাধ ক্ষমা করবেন ,বাবা আমি মহা অপরাধী । 




 শ্রীঠাকুর দক্ষিণ হাত বড়দার মাথায় রাখিয়া বলিলেন , আমি কারও অপরাধ গ্রহণ করি না ।

  এই সকলি আমার ভাগ্যলব্ধ ।  আমি ফোঁস করি , কামড় দেই না । ইহার পর শ্রীঠাকুর প্রণাম করিয়া সকলে বাহিরে আসিলাম ।  

নূতন ভাবে সব কিছু তৈয়ার করিয়া রাত্রি ৯ টায় ঠাকুরকে ভোগ দিলাম । 

 শ্রীঠাকুর কৃপা করিয়া ভোগ গ্রহন করিলেন ।এই সংবাদ শুনিয়া বাড়ির সকলে সন্তুষ্ট হইলেন ।    


    জয়রাম 


শ্রী ফনীন্দ্র কুমার মালাকার  লিখিত , 

 " রামভাই স্মরণে "  

পৃষ্টা সংখা ১০৬ হইতে  ।

Reviewed by শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ নমঃ(SriSriramthakur O gan Ganer vhovon Youtube channel) on July 31, 2024 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.