বেদবাণী -(উদ্ধৃত উপদেশাবলী) SriSri Ramthakur

শ্রীশ্রী রামঠাকুরের বাণীসমূহ

সংগ্রহিত: শ্রীশ্রী রামঠাকুরের বেদবাণী থেকে Jadevpur Asram
প্রকাশিত: www.srisriramthakur.com
বিশেষ ধন্যবাদ: আশ্রম কর্তৃপক্ষকে

ঠাকুরের উপদেশমূলক বাণ-ী উদ্ধৃত উপদেশাবলী(১–৯১)

1. যাহা ভগবান করেন তাহার হাত ছাড়ান জীবের সাধ্য নাই।
2. প্রারব্ধ সূত্রে যাহা যখন যার উপস্থিত করে তার তাহাই ভোগ হয়, ইহার জন্য অনুতাপ এবং প্রয়াস করিতে নাই।
3. সকল ভার দিয়া প্রারব্ধ চর্য্যায় ব্রতী থাকিলে গুরুই সকল বিষম বিপদ সম্পদ হইতে উদ্ধার করেন।
4. ভগবৎ শক্তি দ্বারা ভগবৎ সেবার শক্তি পাওয়া যায়।
5. সর্ব্বদাই সহিষ্ণুতার অনুগত থাকিতে চেষ্টা করিতে হয়।
6. বৃথা কর্ত্তৃত্বাভিমান জাগরণ করিতে নাই।
7. সংসারের সারই ভগবান, জীব ভাবের এই শক্তি।
8. ভগবানের উপর সকল ভার দিয়া কার্য করিয়া যাইবেন, প্রারব্ধ ভোগ কেটে যাবে।
9. ভগবানের উপর সকল ভার রাখিয়া কার্য্যক্ষেত্রে কার্য্য করিতে থাক। তাঁহার বিচার সূক্ষ্ণ।
10. ইচ্ছা করিলে কি হইবে, প্রাক্তন ভাগ্যফলকে কে খন্ডন করে?
11. হরি নামই সত্য, হরি নামে সকল আনন্দ বিতরণ হয়।
12. না লইবে কারো দোষ, না করিবে কারে রোষ। সততঃই কৃষ্ণব্রত লক্ষ্য রাখিবে। কৃষ্ণদাস নিত্যমুক্ত।
13. কোন চিন্তা করিবে না, সর্ব্বদাই গুরুর চিন্তা করিবে।
14. যথাসাধ্য সময় সময় কিছু কিছু আত্মার কর্ম্ম করিলে মনের অনেক শান্তি হয়।
15. সত্যকে সর্ব্বদা আহরণ করিবে।
16. চিন্তা ভাবনা করিয়া ফল নাই। অদৃষ্টে যাহা হইতেছে তাহাই হইবে। সহ্য করিয়া লইতে হয়।
17. ভগবানকে আশ্রয় করিয়া থাকিবে, ভগবান সকল মঙ্গল করিবেন।
18. ভোগের তাড়না সহ্য করাই ধর্ম্ম। সহ্য করিতে করিতে আরোগ্য হইয়া থাকে।
19. সর্ব্বদাই সহ্যকে প্রতিপালন করিতে ভালবাসিবে। সহ্যই পরম ধর্ম্ম।
20. ভগবান যাহা করেন তাহাই হইবে। ভগবানের উপর নির্ভর রাখিয়া যথাসাধ্য চেষ্টা করিবে।
21. কোন চিন্তা করিবে না। সংসার মায়াময় চঞ্চলই বহন করে।
22. ভগবানের কৃপা অক্ষুন্ন রাখাই জগতে প্রার্থনীয়।
23. সরলতাই আনন্দ উৎপন্ন করিয়া লয়।
24. যাহা ভগবান করেন তাহাই হইবে। সর্ব্বদা নাম করিবে। নামের দাস হইলে কোন অভাব থাকে না। নামই স্বভাব বলিয়া আখ্যা প্রকাশ আছে।
25. প্রারব্ধ ভোগের দন্ড ভোগদান করিয়া যাইতে থাক।
26. অদৃষ্টে যাহা দিবে তাহাতেই সন্তোষ থাকিতে চেষ্টা রাখাই ভাল।
27. সংসার মায়াময়, দুস্তর তরঙ্গ। ইহার উদ্ধারের একমাত্র ভেলা পতিব্রত ধর্ম্ম, সত্যনারায়ন ব্রত।
28. সকল বেগই ধৈর্য্যদ্বারা সম্বরন করিতে হয়। রাগ, দ্বেষ, হিংসায় কেবল বন্ধনই বাড়ে।
29. কেবল নাম করিবে। নামেই সকল অবস্থা স্থির করিয়া নিবে। চিন্তা করিবে না।
30. কেবল নামের আশ্রয়ে থাকিয়া প্রাক্তন কর্ম্ম ঋণ শোধ করিয়া যাইতে থাক, ভগবান মঙ্গল করিবেন।
31. সর্ব্বদা নাম করিবে, তাহাতে গ্রহবৈগুণ্য মুক্ত হইবে।
32. সত্য ভিন্ন জগৎ মুক্ত হয় না। পতিব্রত ধর্ম্ম সকল অভাব নষ্ট করিয়া পরমানন্দ শক্তি দিয়া থাকে।
33. প্রারব্ধভোগ যে কখন কাহাকে কি রকম অবস্থায় আকৃষ্ট করে তাহা বুঝিবার শক্তি থাকে না। সকলি সময় গতিকে ঘটিয়া থাকে।
34. ভাগ্যং ফলতি সর্ব্বদা। অতএব ভাগ্যকে মানিয়া ভাগ্যের অধীন হইয়া চলিলে সকলই সৌভাগ্যশালী হইতে পারে।
35. ভাগ্য অনুসারে জীবের সঙ্করে ফলাফল ভোগ করে। অতএব সত্যকে স্মরণ করিয়া সত্য নিয়া থাকিতে বিশেষরূপে চেষ্টা করিবা।
36. এই জগতে পর কেহ নাই। অহঙ্কার বশেই আপন পর বলিয়া মনে হয়।
37. সত্যং পরম্‌ ধীমহি, সত্যই পরম পদার্থ জানিবেন।
38. সত্যং পরম্‌ ধীমহি। সত্যই স্থায়ী, অসত্য অস্থায়ী জানিবেন।
39. লোক সকল স্ব স্ব ভাগ্যফল লাভ করিয়া থাকে। ভাগ্যের অতিরিক্ত কেহই কিছু পাইতে পারে না।
40. স্বীয় প্রকৃতির অংশে পরিতৃপ্ত থাকিতে পারিলে ভাগ্যফল মুক্ত হইয়া অবিযোগ সত্যকে পাইয়া থাকে।
41. সাধনে ভাবিবে যাহা, সিদ্ধ দেহে পায় তাহা। যে যাহা চিন্তা করে দেহান্তে তাহাই পাইয়া থাকে।
42. আপনার করুনা পদ ভগবান বিস্তার করিয়া রাখিয়াছেন।
43. সত্যব্রতই পরম ধর্ম্ম, অনন্য চিন্তায় সকল অভিষ্ট সিদ্ধ করিয়া দেয়, কোন অভাব রাখে না।
44. যাহা প্রাক্তনে উপস্থিত করে, যথাযোগ্য ভাবে সর্ব্বদা সহ্য করিয়া থাকিবেন, ইহাই ভগবদ্‌ কৃপার স্থান।
45. নিত্য সত্যই ধর্ম্ম। সত্যই পরম ধর্ম্ম, সত্যই পরম গুরু, সত্যই পরম পদ, সত্যই পরম তপঃ, সত্যই পরমাত্মার স্বরূপ। সত্যই আদি, অনাদি, সত্যই পরামুক্তি, পরাগতি।
46. প্রাক্তন নির্দ্দিষ্ট ভোগ ভিন্ন জীবগনের কোনই অধিকার নাই।
47. ভাগ্যভোগ ভুগিতেই হইবে।
48. সত্য ছাড়া এই ত্রিজগতে আপন কেহ নাই। সেই সত্যকেই ভাগ্য বলিয়া থাকে। ভাগ্যই ফলদাতা জানিবেন।
49. সত্য সেবা ভিন্ন অসত্যের সেবায় জন্মমৃত্যু বশ ত্যাগ করিতে পারে না। ভাগ্যং ফলতি সর্ব্বত্র।
50. ভাগ্যকে মানিয়া ভাগ্যরথে চলিলে ভাগীরথের ন্যায় এই সংকর অস্থায়ী তরঙ্গ হইতে মুক্তিপদ লাভ করিতে সক্ষম হয় জানিবেন।
51. প্রারব্ধবশতঃ এ জগত চলিয়া থাকে। যখন যাহার ভাগ্যে যাহা হয় তাহা মঙ্গলই হইয়া থাকে।
52. চিন্তা করিবেন না, যাহা ভগবান করেন ভালই করেন।
53. ভবিতব্য সংসারের বিধান করিয়া থাকেন।
54. ভবিতব্য যেখানে উদয় করিবে (বিবাহ) সেখানেই হইবে, তাহার বাধা দেওয়া যায় না।
55. পতি সেবাই সতীর পরম ঐশ্বর্য, পতিযোগই সতীর পরম শান্তি।
56. ভবিতব্য যাহা করেন তাহার হাত এড়ান যায় না।
57. প্রাক্তনই ভোগের উপকরন, উদয়-অস্ত দ্বারা অনুলোম বিলোম করিয়া থাকে।
58. যে কোনরূপ বিপদই হউক না কেন নাম করিলেই সমস্ত শান্তি হইয়া যাইবে এবং নিজেও শান্তি পাইবে।
59. ভগবানের কৃপা ভিন্ন এ জগতে কিছু ঋণ পরিশোধের জীবে কোনই শক্তি ধারণ করিতে পারে না।
60. দুর্বলতা হেতু মনের স্থৈর্য্যশক্তির অভাব হয়।
61. ধৈর্য ধীর প্রকৃতি সদাশয় হইয়া থাকে।
62. সময় হইতেই সকল প্রকাশ হইয়া থাকে। প্রারব্ধই ইহার বিধায়ক।
63. চেষ্টা করিতে বিরত না থাকিয়া কাজকর্ম্মের উন্নতির জন্য চেষ্টা করাই শ্রেয়, সন্দেহ নাই। চেষ্টা করিবেন, পরে ফলাফল যাহা আছে অদৃষ্ট চক্রেই প্রকাশ পাইবে। ভাবনা কি?
64. এ জগতে চিন্তাময়ী দেবী পরমানন্দ হরিভক্তি স্বয়ং ভগবান জানিবে। এই যে অদ্বৈত, অনন্যচেতা, ইহাই ভগবৎভক্তি লাভে পরাকাষ্ঠা।
65. ভাগ্যযোগে সকল ভোগবিলাস সমাগত হইয়া থাকে।
66. সাধুর ভাগ্যে থাকিলে পাইয়া থাকে, বিধি অবিধি কিছুই নাই।
67. নামই সত্য, নাম বৈ আর এ জগতে কিছুই নাই।
68. না লইবে কারো দোষ, না করিবে কারে রোষ। আপনি হইবে সাবধান। কাহারো ভাবে অভাবে আপনী না থাকিয়া আপনার প্রাক্তনীয় সকল পরিষ্কার করিয়া যাইতে থাকুন। ভগবান মঙ্গলই করিবেন।
69. সংকর ঋণ পরিশোধ একমাত্র মাতৃকুক্ষি বৈ আর কিছুই নাই। ইনিই অন্নদা, অম্বিকা, গণেশমাতা, ঈশ্বরী।
70. মায়ের কোলে কোন অস্থায়ী বস্তুর প্রশংসা রাম পায় নাই। তিনি স্থির বশে মায়ের কোলই অধিকার করিয়া ছিলেন।
71. ভগবানের কৃপার লক্ষে সর্ব্বদা থাকুন। অন্ধকারে চলিতে হইলে একটা আলো নিয়া চলাই কর্ত্তব্য।
72. সর্ব্বদা নাম করিবেন, নাম পরম ব্রহ্ম জীবের মোহ্ম ধর্ম্ম। নানা চিন্তা ভাবনা না করিয়া যাহাতে সর্ব্ব রকম ন্যস্ত করিয়া সংসারের যাবতীয় কর্ম্ম করিয়া কর্ম্মক্ষেত্রের ঋণ পরিশোধ করিয়া লইতে পারেন তাহার প্রতি পূর্ণ দৃষ্টি রাখিবেন।
73. সংকরাবর্ত্তনে স্থিতির অভাব দ্বারা সত্যবস্তু যাহা স্থির তাহা ভুলিয়া যায়।
74. কোন চিন্তা করিবেন না। সর্ব্বদা ভগবৎ অধীন হইয়া থাকিতে চেষ্টা রাখিবেন। সংসার মায়াময়, প্রারব্ধ ভোগের অন্ত হইলেই শান্তি হয়।
75. যাহা প্রাক্তনে উপস্থিত করে যথাযোগ্য ভাবে সর্ব্বদা সহ্য করিয়া যাইতে থাকুন। ইহাই ভগবৎ কৃপার স্থান।
76. অপার করুনাপদ ভগবান সংসারে বিস্তার করিয়া রাখিয়াছেন।
77. অভিন্নচেতা নামনামিন্নঃ। নামই ব্রজবাসী, বৃন্দাবন-বাসী, মথুরাবাসী।
78. “প্রারব্ধ ভুঞ্জ্বমানানী গীতাধ্যান পরায়না”।
79. নাম এবং ভগবান একই পদার্থ, নাম সর্ব্বদা হৃদয়ে জাগিয়া থাকিলেই নাম প্রতিষ্ঠা এবং চৈতন্য হইয়া থাকে।
80. গুরুকৃপা হইতে সমস্ত বন্ধন মুক্ত হইয়া যায়, এবং ভগবানকে লাভ করা যায়।
81. বুঝান যায় সকলকেই, বুঝে না নিজ মন।
82. মানুষের প্রকৃত অভাব অতি কম, কল্পিত অভাবই সর্ব্বনাশের মূল।
83. “নাম” যাহা পাইয়াছেন তা’ই সার, “নাম” এক ভিন্ন দ্বিতীয় নাই, ঐ নিয়াই থাকুন। “নামেই” সব হবে।
84. অনেক কিছু এক সঙ্গে আরম্ভ করিলে দারিদ্রতা আসে। একটা নিয়া থাকাই ভাল।
85. বিবাহাদি কার্য্য ভবিতব্যই করিয়া থাকে, কাহারও কোন বাধা কি বিধি দিবার অধিকার নাই।
86. সকল অবস্থায়ই ভগবানের নামের প্রাধান্য করিয়া থাকাই জীবের কর্ত্তব্য কর্ম্ম।
87. ভাগ্যং ফলতি সর্ব্বত্রং। ভগবান সকলকেই সমান দেখেন, কাহার কোন দোষ গুণ দেখেন না।
88. ভাগ্যকে মানিয়া ভাগ্যরথে চলিলে সকল ঋণ মুক্ত হইয়া পরমানন্দ অবিমুক্ত পদ লাভ করিতে সক্ষম হইয়া থাকে।
89. ভক্তিভাবে শ্রদ্ধা করিয়া যে যাহা দান করে তাহা সকলই ভগবান পাইয়া থাকেন, সন্দেহ নাই।
90. ভাগ্যকে মানিয়া ভাগ্যরথে চলিলে সত্যনারায়ণকে পায়। যাকে পাইলে আর বিয়োগ যন্ত্রণা উপভোগ করিতে হয় না।
91. ধৈর্য্যই লোকের পরম ধন; এই ধনকে সর্ব্বদা যত্ন করিবে।

© সংগ্রহ ও প্রেরণা: শ্রীশ্রী রামঠাকুরের বাণী, প্রকাশিত কৈবল্যধাম আশ্রম, জাদেপুর। বিশেষ ধন্যবাদ আশ্রম কর্তৃপক্ষ

বাণীর আলোকে পথ চলা

সংগ্রহিত: শ্রীশ্রী রামঠাকুরের বেদবাণী থেকে
প্রকাশিত: কৈবল্যধাম আশ্রম, Jadevpur
বিশেষ ধন্যবাদ: আশ্রম কর্তৃপক্ষকে

ভূমিকা

“বাণীর আলোকে পথ চলা” হল এক অমূল্য আধ্যাত্মিক দিশারী। শ্রীশ্রী রামঠাকুরের বেদবাণী কেবল শব্দ নয়, এটি ভক্তের জীবনে এক শাশ্বত আলোকপ্রদীপ। জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপে তাঁর বাণী ভক্তকে সত্য, শান্তি ও মুক্তির পথে চালিত করে।

শ্রীশ্রী রামঠাকুরের বাণী

আধ্যাত্মিকতার মূল দিশা

ঠাকুরের বাণী আমাদের শিখিয়ে দেয়, “নামে মুগ্ধ হও, নামের আলোকে পথ চলো।” মানুষের দুঃখ-সুখ, মোহ-মায়ার সকল জটিলতা ভগবানের নামে মিলিয়ে যায়।

ভক্তি ও প্রেমের শিক্ষা

“কেবল কতকগুলি মন্ত্র উচ্চারণ করিলেই পূজা হয় না। ভক্তি সহকারে বলিলেই হয় যে, ঠাকুর তুমি কৃপা করিয়া ভোগ গ্রহণ কর।” — এই বাণী ভক্তি ও সরলতার প্রকৃত তাৎপর্য প্রকাশ করে।

মায়ার বন্ধন থেকে মুক্তি

মানুষ মায়ার আঁচে পড়ে অহংকার ও অভিমানে ডুবে থাকে। কিন্তু ঠাকুরের বাণী মনে করিয়ে দেয়— ভগবানের সান্নিধ্যই আসল মুক্তি।

জীবনে প্রয়োগ

যদি আমরা ঠাকুরের বাণীকে হৃদয়ে ধারণ করি, তবে জীবনের প্রতিটি সমস্যা, কষ্ট ও চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে ঈশ্বরের আশীর্বাদের সোপান। তাঁর বাণী কেবল আধ্যাত্মিকতাই নয়, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে শান্তি ও দিশা প্রদান করে।

উপসংহার

“বাণীর আলোকে পথ চলা” হল ভক্তের জীবনে শাশ্বত প্রদীপ। কৈবল্যধাম আশ্রমের এই প্রকাশনা সকল ভক্তকে ঠাকুরের মহিমা উপলব্ধি ও জীবনে প্রয়োগ করার সুযোগ করে দিয়েছে।

© সংগ্রহ ও প্রেরণা: শ্রীশ্রী রামঠাকুরের বাণী, প্রকাশিত কৈবল্যধাম আশ্রম, Jadevpur বিশেষ ধন্যবাদ আশ্রম কর্তৃপক্ষকে।