গুরুর শক্তি ও বিনয়: অহংকার ত্যাগে শ্রী শ্রী রামঠাকুরের বাণী আধ্যাত্মিক জীবনের মূলসূত্র: শ্রী শ্রী রামঠাকুরের উপদেশ ও শ্রীশ্রী রাম ঠাকুর এর লীলা অমৃত
গুরুর শক্তি ও বিনয়: অহংকার ত্যাগে শ্রী শ্রী রামঠাকুরের বাণীআধ্যাত্মিক জীবনের মূলসূত্র: শ্রী শ্রী রামঠাকুরের উপদেশ
শ্রী শ্রী রামঠাকুরের "গুরুর শক্তি ও বিনয়" শীর্ষক বাণীটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কর্ম, সম্পর্ক, এবং আত্ম-পরিচিতির উপর এক গভীর আলোকপাত করে। তাঁর এই উপদেশটি মূলত বেদবাণী ৩/(১৫২) থেকে নেওয়া হয়েছে, যা আমাদের শেখায় কীভাবে জাগতিক মোহ ত্যাগ করে আধ্যাত্মিক পথে অগ্রসর হতে হয়।
১. ভগবানের দিকে লক্ষ্য রেখে কর্ম সম্পাদন
বাণী: "কেবল দিবানিশি ভগবানের দিকে লক্ষ্য রাখিয়া সংসারের উপস্থিত মতে কার্য্য করিয়া যাইতে চেষ্টা করুন।" Read more......
![]() |
www.srisriramthakur.com |
পরম প্রেমময় শ্রীশ্রী রাম ঠাকুর এর লীলা অমৃত 💥💥
"বড় ভাল আম, বড় মিষ্ট আম সুধীর আনছে।”
সুধীচরন্দ্র সরখেল কর্তৃক তেতো আম নিবেদন
"দম্ভের দান, দণ্ডের সমান। " 🌹🌹 ( ৫)
মূল কাহিনী:
স্বর্গীয় সুধীরচন্দ্র সরখেল মহাশয় তখন স্বগ্রামে ফরিদপুর জেলার মাঐসার গ্রামে বাস করতেন। পড়াশুনার পাট শেষ হয়েছে অনেকদিন। লক্ষ্মীর কৃপালাভের জন্য রুদ্ধদ্বারে কপাল খুঁড়ছেন বারংবার। কিন্তু বেকারত্ব ঘোচেনি এতটুকুও। বলিষ্ঠ যুবক তিনি, অহোরাত্র অক্লান্ত পরিশ্রম করতেও তিনি সদা প্রস্তুত। কিন্তু পথ খুঁজে পাচ্ছেন না। সংসারের যা অবস্থা তাতে কিছু ঘরে আনা তাহার নিতান্ত প্রয়োজন। লেখা-পড়া যা শিখেছেন তাতে চাকুরী পাওয়া দুষ্কর, ব্যবসা করবেন তার মূলধন কৈ? জ্যৈষ্ঠ মাসের এক সকালবেলা তিনি বাড়ীর উঠানে অসহিষ্ণু হয়ে পায়চারি করছিলেন। তাহার এই নৈষ্কর্ম্য অসহনীয় জ্বালার চেয়েও দুঃসহ।
ফণীবাবু ও ঠাকুর — মহাষ্টমীর রক্ষা (১৩৪১ সন)
মূল কাহিনী
১৩৪১ সনের মহাষ্টমী উপলক্ষে ঠাকুর তখন ফেণী শহরে সুরেন্দ্রচন্দ্র চক্রবর্তীর বাসায় অবস্থান করিতেন। সকাল থেকেই আকাশ কালো মেঘে ঘেরা এবং বৃষ্টি ঝরিবার উপক্রম—ভক্তবৃন্দ অঞ্জলি দিয়ে চলে গেলেন। গুরুভাই ফণীবাবু বাড়ি না গিয়া পাশের বাড়িতে বন্ধুদের সাথে দাবা খেলিতে ব্যস্ত হলেন। খেলো শেষে দেখা গেল রাস্তা-ঘাট জলমগ্ন। বৃষ্টি থেমে গেলেও সন্ধ্যার অনুরূপ গাঢ় অন্ধকার দেখা যাচ্ছিল। ঠাকুর তাঁদের ভরসা করিয়া ফণীবাবুকে বাড়ি যাইবার জন্য নির্দেশ দিলেন।
শ্রীশ্রীঠাকুর রামচন্দ্র দেবের জীবন থেকেশিক্ষা
ঠাকুরের জীবনের সরল দিক১৯২৭ সালের দিকে শ্রীশ্রীঠাকুর রামচন্দ্র দেব ঢাকার কিছু ভক্তের গৃহে যাওয়া শুরু করেন। তখন ভক্ত সংখ্যা ছিল অতি নগণ্য। ঠাকুর সবসময়ই সরল ও এককাপড়ে জীবনযাপন করতেন। গায়ে প্রায়শই থাকত খদ্দরের নিমা বা সাধারণ চাদর।
ঠাকুরকে কেউ কোনো নতুন চাদর বা পোশাক দিলে তিনি তা পরে নিতেন কিন্তু অচিরেই কারো হাতে বিলিয়ে দিতেন। ভক্তরা যতই অনুরোধ করুন না কেন, তার কাছে কোনো কিছু স্থায়ীভাবে রাখা সম্ভব হতো না। এমনকি গরদের চাদরের একটি ঘটনাই ছিল বিখ্যাত, যা ঠাকুর অত্যন্ত শান্ত ভঙ্গীতে অন্যত্র দান করেছিলেন।

ঠাকুরের জীবনের সরল দিক১৯২৭ সালের দিকে শ্রীশ্রীঠাকুর রামচন্দ্র দেব ঢাকার কিছু ভক্তের গৃহে যাওয়া শুরু করেন। তখন ভক্ত সংখ্যা ছিল অতি নগণ্য। ঠাকুর সবসময়ই সরল ও এককাপড়ে জীবনযাপন করতেন। গায়ে প্রায়শই থাকত খদ্দরের নিমা বা সাধারণ চাদর।
ঠাকুরকে কেউ কোনো নতুন চাদর বা পোশাক দিলে তিনি তা পরে নিতেন কিন্তু অচিরেই কারো হাতে বিলিয়ে দিতেন। ভক্তরা যতই অনুরোধ করুন না কেন, তার কাছে কোনো কিছু স্থায়ীভাবে রাখা সম্ভব হতো না। এমনকি গরদের চাদরের একটি ঘটনাই ছিল বিখ্যাত, যা ঠাকুর অত্যন্ত শান্ত ভঙ্গীতে অন্যত্র দান করেছিলেন।
কাপড় ব্যবহার ও ভক্তদের কাহিনী
জন্ম, মৃত্যু, বিবাহ — এই ত্রিবিধ কর্ম ভবিতব্য জানিবেন। ইহার সম্পাদন করার জীবের শক্তি নাই।
ভবিতব্য: জন্ম, মৃত্যু, বিবাহ — এগুলো পূর্বনির্ধারিত, জীবের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।সত্যের আশ্রয়: জীবের চিন্তা ও কষ্ট থেকে মুক্তির পথ সত্যের মধ্যে। Read More click here
মায়ের আশীর্বাদে সন্তানের মঙ্গল — শ্রীশ্রী রামঠাকুরের বাণী”
ঠাকুর একবার উপদেশ ছলে আমাকে বলেছিলেন—
“মায়ের আশীর্বাদে সন্তানের মঙ্গল হয়।”
Read more......
🕉️ আশ্রমে প্রবেশ ও গুরু আদেশ: শ্রীশ্রী রামঠাকুরের বাণী
![]() |
www.srisriramthakur.com |
তারিখঃ ৯-১০-১৯৩১ ইং
শ্রী শুভময় দত্তকে প্রদত্ত বাণী
শ্রীশ্রী রামঠাকুর এক স্থানে লিখেছেন—
“আমার ঐ আশ্রমে প্রবেশের আর অধিকার নাই,
ইহাই আমার প্রারব্ধ। গুরুর আদেশ অমান্য করিবার আমার আর শক্তি নাই।
আশ্রমে কৈবল্যনাথ সাশক্তি স্বজন নিয়া প্রতিষ্ঠা হইয়াছে। সেখানে গুরুদেবের অধিকার রহিয়াছে।
আমার আত্মা পূর্ণরূপে প্রকাশ হইয়া আছে, কিন্তু এই কলুষা যুক্ত শরীর নিয়া প্রবেশ করিবার অনুমতি গুরুর ইচ্ছা নাই। তিনি স্বয়ং নিষেধ করিয়াছেন।”
.png)
No comments: