যোগেশ্বর্যাশ্রমে গুরুজির অনুপম লীলা — রামভাই স্মরণে অতীন্দ্রিয় অভিজ্ঞতা”
ঠাকুর স্মরণে এক অবিস্মরণীয় যাত্রার বর্ণনা। গুরুজির সঙ্গে পথচলায় একসময় পৌঁছানো হল এক সুগভীর বনের অন্তরে—
যেখানে বাঘ, ভাল্লুক, হরিণ, বানর, গরু, মহিষ ও হাতি একত্রে বাস করছিল, কিন্তু কারও মধ্যে হিংসা নেই।
গাছতলায় পাকা ফল কুড়িয়ে সেখানেই আহার, সবার অন্তরে এক অদ্ভুত শান্তির স্রোত বয়ে গেল।
শিষ্য প্রশ্ন করল—“পিতা, এ কেমন স্থান?”
গুরুজি বললেন—“এটাই যোগেশ্বর্যাশ্রম। এখানে কোনো বিগ্রহ নাই, অনন্ত দেববিভূতি সূক্ষ্মভাবে বিরাজ করেন।”
এরপর দীর্ঘ পথ পেরিয়ে পৌঁছানো হল দুর্গম পাথুরে পাহাড়ে। গুরুজি এক সরু পথে ভেতরে প্রবেশ করালেন। দেখা গেল—
চারদিকে পাহাড়ে ঘেরা উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ। মাঝখানে প্রতিষ্ঠিত শিবলিঙ্গ, আর তার সম্মুখে ধ্যানস্থ এক জ্যোতির্ময়ী দেবী, যাঁর জ্যোতিতে স্থানটি আলোকোজ্জ্বল।
প্রহরে প্রহরে দেবদেবীরা শূন্য থেকে আবির্ভূত হয়ে পুজা দিচ্ছেন। এক অপার্থিব দৃশ্য, এক আধ্যাত্মিক পরশ, যা ভাষায় ধরা দেয় না।
EXPLANATION
এই অভিজ্ঞতা রামভাইয়ের স্মৃতিতে ফণীন্দ্র কুমার মালাকার লিখেছেন।
আশ্রমের চিত্র কেবল বাইরের নয়, ভেতরের আধ্যাত্মিক যাত্রাকেও প্রতীকীভাবে প্রকাশ করে।
অহিংসা, ঐক্য, শান্তি ও জ্যোতির্ময় সত্য—এই শিক্ষাই এখানে প্রকাশিত হয়েছে।
গুরুজির নীরব নেতৃত্বে শিষ্যরা বুঝেছিলেন, যোগেশ্বর্যাশ্রম কোনো ভৌত স্থান নয়, বরং এক উচ্চতর আধ্যাত্মিক স্তর, যেখানে মানুষ দেবতাদের দর্শন লাভ করতে পারে।
END SCRIPT
এই বর্ণনা আমাদের মনে করিয়ে দেয়—
গুরু ছাড়া পথ পাওয়া যায় না।
যিনি গুরুজির সঙ্গে সত্যভাবে পথ চলেন, তিনিই যোগেশ্বর্যাশ্রমের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারেন।
রামভাই স্মরণে এই আধ্যাত্মিক যাত্রা আমাদেরও আহ্বান জানায়, অন্তরে শান্তি ও দেববিভূতির অনুধাবনে।
🌸 রামঠাকুরের কৃপা সর্বদা আমাদের পথ আলোকিত করুক। 🌸
যোগেশ্বর্যাশ্রমে গুরুজির অনুপম লীলা — রামভাই স্মরণে অতীন্দ্রিয় অভিজ্ঞতা”
Reviewed by শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ নমঃ(SriSriramthakur O gan Ganer vhovon Youtube channel)
on
October 06, 2025
Rating:

No comments: