বেদবাণী ১/(২) — প্রারব্ধ সূত্রের ব্যাখ্যা
“প্রারব্ধ সূত্রে — যাহা যখন যার উপস্থিত করে, তার তাহাই ভোগ হয়; ইহার জন্যে অনুতাপ ও প্রয়াস করিতে নাই।” — শ্রীশ্রী রামঠাকুর
“প্রারব্ধ সূত্রে যাহা যখন যার উপস্থিত করে তার তাহাই ভোগ হয়, ইহার জন্যে অনুতাপ এবং প্রয়াস করিতে নাই।”
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা
এই বাণীতে ঠাকুর প্রারব্ধ — অর্থাৎ পূর্বকর্মের ফল — সম্পর্কে সরল ও ধারালোভাবে নির্দেশ করেছেন। প্রতিটি জীবের বর্তমান অবস্থার অনেকটাই পূর্বতন কর্মের ফল; যে সময় যা ঘটনা ঘটে, তা প্রারব্ধ সূত্রেই নির্ধারিত।
ঠাকুর আমাদের শিক্ষা দেন যে—
- অতীতের কর্মের ফলে যা ঘটছে, তা অনিবার্যভাবে ভোগ করতে হবে।
- প্রারব্ধের জন্য অনুতাপ বা অতিরিক্ত জোর প্রয়োগ করাও অর্থহীন।
- মানসিক স্থিরতা, ধৈর্য্য ও কর্তব্যপরায়ণতা বজায় রেখে ঘটনা গ্রহণ করাই প্রকৃত আধ্যাত্মিক পথ।
বিস্তৃত ব্যাখ্যা — কীভাবে প্রয়োগ করবেন
এই তত্ত্ব মানধারণ করলে আমাদের জীবনে কিছু কষ্টদায়ক অভ্যাস বদলে যায়:
- অনুতাপ কমে— অতীত নিয়ে অস্থিরতা ও পস্তানো কমে যায়।
- অহেতুক চেষ্টা ও উদ্বেগ কমে—ফলের ওপর ভয় কমে, কর্তব্যে স্থিতি বাড়ে।
- মন শুদ্ধ হয়—ঈশ্বরস্মরণ ও ভক্তির জাগরণ হয় সহজে।
তাই ঠাকুর নির্দেশ করেন— কর্ম কর, কর্তব্য পালন কর, কিন্তু ফলকে চেপে ধরো না। সমতা, ধৈর্য্য ও ভক্তি কোঁচি পাকায় জীবকে মুক্তির পথে নেবার জন্য।
Main Post — Social Caption
বেদবাণী ১/(২)
“প্রারব্ধ সূত্রে যাহা যখন যার উপস্থিত করে তার তাহাই ভোগ হয় — ইহার জন্যে অনুতাপ ও অতিরিক্ত প্রয়াস করিতে নাই।”
পরমদয়াল ঠাকুর আমাদের বলেন— জীবনে যা আসে, তা অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের পূর্বকর্মের ফল। অতএব অতিরিক্ত দুঃখ বা পস্তানো নয়। যা করবো, সেটাই করো—কর্তব্যে স্থির থেকো, ভক্তি ও ধৈর্য্য রাখো, এবং ঈশ্বর স্মরণে থাকো।
🙏 জয় শ্রীশ্রী রামঠাকুর 🙏
Reviewed by শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ নমঃ(SriSriramthakur O gan Ganer vhovon Youtube channel)
on
November 16, 2025
Rating:





.jpg)
No comments: