"শ্রীঠাকুর কখনও অতিথির অযত্ন সহ্য করিতেন না" — একটি স্মরণীয় ঘটনা যা বলে যায়: অতিথি সেবায় সতর্কতা ও সম্পূর্ণ দায়বদ্ধতা অপরিহার্য। #অতিথি_নারায়ণ #জয়_গুরু
শ্রীঠাকুর কখনও অতিথির অযত্ন সহ্য করিতে পারিতেন না
শ্রীঠাকুর কখনও অতিথির অযত্ন সহ্য করিতে পারিতেন না।
শ্রীঠাকুরের নিকটকার স্মৃতি থেকে প্রকাশিত এই হৃদ্য ঘটনা আমাদের শিখায়—সত্যিকার অতিথি সেবা কাকে বলে। একেবারে সরলভাবে বলা যায়: অতিথি নারায়ণ, তাঁর সেবায় কোনো ত্রুটি থাকা উচিত নয়।
ঘটনাটির সারসংক্ষেপ
শ্রীঠাকুর একবার নির্দেশ দিলেন—একবেলা মাছ আর একবেলা মাংস। কাশী থেকে আগত শ্রদ্ধেয় সত্যেনদা ও পূজনীয় অশোকচন্দ্র বন্দোপাধ্যায়কে সেবার জন্য মাংস, রাবড়ি ও বলুসাই আনার ব্যবস্থা করা হলো। সময়মতো স্টেশনে যেতে গিয়ে দেখা গেল অতিথির রেল নেই—ট্রেন ভিড়ের কারণে আসতে পারছেন না।
হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে সমস্ত বলাকা ঠাকুরকে জানালে, স্ত্রীর প্রশ্ন—“এতখানি মাংস খাবে কে?”—এর উত্তরে ঠাকুর জানতে চাইলেন, “দেখি আপনি কেমন মাংস রাধিয়াছেন?” স্ত্রী রান্নার পাত্রটি দিলেন। তখনই ঠাকুর নিজেরাই ঐ পাত্র হইতে মাংস খাইতে আরম্ভ করিলেন এবং শেষপর্যন্ত পাত্রটি খালি হল।
ঠাকুরের কষ্ট ও শিক্ষা
মাংস খাইবার কিছুক্ষণ পরে ঠাকুর পেট ব্যথায় কষ্টে ভুগতে লাগলেন—প্রায় এক ঘন্টার মধ্যে মলত্যাগ ও কষ্ট বেড়ে গেল। ডাক্তার আনবার প্রয়োজন মনে না করে ঠাকুর নিজেরাই উপদেশ দিলেন: গাছের শিকড় ও গোলমরিচসহ একটি বাটিয়া খেয়ে বিশ্রাম নিলেন। রাত প্রায় তিনটায় ঔষধ গ্রহণের পরে প্রায় আধঘণ্টার মধ্যে তিনি বিশ্রাম করিতে পারলেন এবং পরবর্তী দিনে সুস্থ হইলেন।
শিক্ষণবাক্য
- অতিথি নারায়ণ—অতিথির সেবায় কোনো অযত্ন থাকা চলবে না।
- রাঁধার সময় চতুর্দিক সতর্কতা অপরিহার্য—যেকোন অসাবধানতা বিষক্রিয়ার্থক হতে পারে।
- গুরুর কষ্ট-সহিষ্ণুতা ও উদাহরণটি ভক্তদের জন্য সতর্কবার্তা—ভবিষ্যতে এমন পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে।
শেয়ার করার জন্য সংক্ষিপ্ত টেক্সট
"শ্রীঠাকুর কখনও অতিথির অযত্ন সহ্য করিতেন না" — একটি স্মরণীয় ঘটনা যা বলে যায়: অতিথি সেবায় সতর্কতা ও সম্পূর্ণ দায়বদ্ধতা অপরিহার্য। #অতিথি_নারায়ণ #জয়_গুরু
Reviewed by শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ নমঃ(SriSriramthakur O gan Ganer vhovon Youtube channel)
on
November 14, 2025
Rating:






.jpg)
No comments: