👉 বজরংবলীর এই ১০টি অজানা তথ্য জানলে অবাক হবেন আপনিও! | Amazing Facts About Lord Hanuman
Intro Script
ভক্তি, শক্তি আর ভরসার প্রতীক হলেন বজরংবলী। হিন্দু ধর্মে তাঁকে চিরঞ্জীব দেবতা বলা হয়। বিশ্বাস করা হয়, আজও তিনি জীবিত আছেন এবং ভক্তদের ডাকে সাড়া দেন। যদিও হনুমানজিকে আমরা রামভক্ত ও মহাবীর হিসেবে চিনি, তবুও তাঁর জীবন ও কাহিনির অনেক অজানা দিক রয়েছে। আজ আপনাদের সামনে তুলে ধরা হল বজরংবলীর সম্পর্কে এমন ১০টি চমকপ্রদ তথ্য, যা অনেকেই জানেন না।
Main Script (Point-wise Explanation)
১. বজরংবলীর পাঁচ ভাই ছিলেন
ব্রহ্মাণ্ড পুরাণে উল্লেখ রয়েছে যে, বানররাজ কেসরীর ৬ পুত্রের মধ্যে সবচেয়ে বড় ছিলেন হনুমান। তাঁর পাঁচ ভাইয়ের নাম— মতিমান, শ্রুতিমান, কেতুমান, গতিমান ও ধৃতিমান। সবাই বিবাহিত ছিলেন এবং তাঁদের সন্তান-সন্ততিও ছিল।
২. শিবের অবতার ছিলেন হনুমান
অঞ্জনা দেবীর ভক্তিতে প্রসন্ন হয়ে শিব আশীর্বাদ দেন তাঁর গর্ভে জন্ম নিতে। ফলে হনুমান আসলে শিবেরই এক অংশরূপ।
৩. বজরংবলী নাম হওয়ার কাহিনি
সীতাকে সিঁদূর পরতে দেখে হনুমান জিজ্ঞাসা করেন এর কারণ। জানতে পারেন, এতে রামের আয়ু বৃদ্ধি হয়। তখন তিনি নিজের সারা শরীরে সিঁদূর মাখেন। সিঁদূরের অপর নাম “বজরং”, তাই তাঁর নাম হয় বজরংবলী।
৪. হনুমান অর্থ ‘বিকৃত চোয়াল’
শিশু অবস্থায় সূর্যকে ফল ভেবে খেয়ে ফেলতে যান হনুমান। এতে ইন্দ্র রেগে বজ্রাঘাত করেন, ফলে তাঁর চোয়াল ভেঙে যায়। সংস্কৃতে হনু মানে চোয়াল, আর মান মানে ভাঙা বা বিকৃত। তাই তাঁর নাম হয় হনুমান।
৫. ব্রহ্মচারী হয়েও ছিলেন এক সন্তানের পিতা
লঙ্কা দহনের পর সমুদ্রে ডুব দিলে হনুমানের শরীর থেকে নির্গত ঘাম এক মাছ গিলে ফেলে। সেই মাছ থেকেই জন্ম হয় তাঁর পুত্র মকরধ্বজের।
৬. রামের কাছ থেকে মৃত্যুদণ্ড পেয়েছিলেন হনুমান
নারদের কৌশলে একবার হনুমান বিশ্বামিত্রকে আমন্ত্রণ জানাননি। এতে রাম মৃত্যুদণ্ড দিতে বাধ্য হন। কিন্তু রামের সমস্ত অস্ত্র তাঁর কাছে ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত রাম দণ্ড প্রত্যাহার করেন।
৭. বাল্মীকি ছাড়াও রামায়ণ লিখেছিলেন হনুমান
হিমালয়ের দেওয়ালে নিজের নখ দিয়ে রামের কাহিনি লিখেছিলেন হনুমান। এটিকে বলা হয় “হনুমদ রামায়ণ”। বাল্মীকি নিজের রচনার তুলনায় এটি শ্রেষ্ঠ মনে করে হতাশ হয়েছিলেন।
৮. ভীম ও হনুমান ছিলেন ভাই
পবনদেবের কৃপায় ভীম ও হনুমান— দু’জনেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তাই তাঁরা ছিলেন পবনপুত্র ভাই।
৯. রামের দেহত্যাগের সময় অনুপস্থিত ছিলেন হনুমান
রাম জানতেন হনুমান তাঁকে দেহত্যাগ করতে দেবেন না। তাই আংটি পাতাললোকে ফেলে দেন এবং হনুমানকে তা আনতে পাঠান। সে সুযোগেই রাম সরযূ নদীতে ডুব দিয়ে বৈকুণ্ঠে ফিরে যান।
১০. সীতার উপহার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন হনুমান
রাজ্যাভিষেকের পর সীতা একটি মুক্তোর হার দেন হনুমানকে। কিন্তু তিনি মুক্তো ভেঙে দেখেন ভেতরে রামের ছবি নেই। তখন বলেন—“যেখানে রাম নেই, তা আমার অপ্রয়োজনীয়।” এরপর নিজের বুকে রাম-সীতার উপস্থিতি সকলকে দেখান।
End Script
এভাবেই ভগবান হনুমান শুধু শক্তির প্রতীক নন, ভক্তিরও জীবন্ত রূপ। তাঁর প্রতিটি কাহিনি আমাদের শেখায় ভক্তি, নম্রতা, ত্যাগ আর ভরসার শিক্ষা। ভক্তের আহ্বানে বজরংবলী আজও সাড়া দেন— এই বিশ্বাসই কোটি মানুষের মনকে দৃঢ় করে তোলে।🙏 জয় বাজরংবলী! জয় হানুমান!

No comments: