আধ্যাত্মিক আলোচনা (Ādhyātmik Ālocanā)
আধ্যাত্মিক আলোচনা (Ādhyātmik Ālocanā)
ধর্মীয় বা আধ্যাত্মিক সব ধরনের লেখাকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছেএখানে ।
বৈষ্ণবের কয়টি লক্ষন ও কি কি???
বৈষ্ণবের লক্ষণ মোট ২৬টি। এই লক্ষণগুলো "চৈতন্য চরিতামৃত" গ্রন্থে
(মধ্যলীলায় – ২২.৭৮–৮০) উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলি একজন খাঁটি
বৈষ্ণবের চরিত্র ও আচরণের মৌলিক বৈশিষ্ট্য বোঝায়।
নীচে বৈষ্ণবের ২৬টি লক্ষণ এবং প্রতিটির সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:
বৈষ্ণবের ২৬টি লক্ষণ ও ব্যাখ্যা:
মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদে আপনার ঘর হোক সমৃদ্ধি, শান্তি ও আনন্দে ভরপুর।
এই বছর সহজ উপায়ে, পুরোহিত ছাড়াই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঘরে বসেই সম্পূর্ণ করুন কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা।
পুরোহিত ছাড়াই সহজ পূজার নিয়ম
১. আত্মশুদ্ধি ও সূচনা
স্নান করে পরিশুদ্ধ পোশাক পরুন। গঙ্গাজল মাথায় ছিটিয়ে নারায়ণ ও সূর্যদেবকে স্মরণ করে জল অর্পণ করুন। এটি মানসিক ও আত্মিক শুদ্ধির প্রতীক।
২. ঘট স্থাপন
পূজার আসন ও উপকরণগুলো গঙ্গাজলে শুদ্ধ করে নিন।
ধান ও মাটির উপর জলভরা ঘট স্থাপন করুন। ঘটে সিঁদুর দিয়ে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকুন এবং আমপল্লব, একটি কলা বা হারিতকী ও ফুল রাখুন। এটি সম্পদের আগমনের প্রতীক।
৩. মা লক্ষ্মীর ধ্যান
মহালক্ষ্মীর শুভ্র রূপ স্মরণ করে ধ্যান করুন।
ধ্যানমন্ত্র পাঠ করুন বা মনে মনে বলুন — "হে মাতা, তুমি ত্রৈলোক্যের জননী। তোমার করুণা আমার জীবন আলোকিত করুক।"
৪. আবাহন (মাকে আহ্বান)
মন দিয়ে বলুন —
“এসো মা লক্ষ্মী, আমার গৃহে বসো মা। যতক্ষণ তোমার পূজা চলুক, ততক্ষণ তুমি এখানে স্থির হয়ে থাকো মা।”
৫. পূজা ও নিবেদন
ধূপ, প্রদীপ ও আরতি করুন। তারপর মায়ের সামনে নৈবেদ্য (ভোগ) নিবেদন করুন — চিনি, মিষ্টান্ন, চিঁড়া, কলা ইত্যাদি।
.png)
পুরাণে মা লক্ষ্মীর জন্মকাহিনি
হিন্দু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী, সমুদ্র মন্থন
অর্থাৎ দেবতা ও অসুরদের দ্বারা সৃষ্ট বিশাল মহাসমুদ্রের মন্থনের সময় বহু
মূল্যবান রত্ন, দেব-অস্ত্র, অমৃতসহ নানা দেবশক্তির আবির্ভাব হয়।
এই সময়ে, এক অদ্বিতীয় রূপসী দেবী কমলফুলের উপর বসে আবির্ভূত হলেন। তাঁকে ঘিরে ছিল অদ্ভুত আলো, শান্তি ও সমৃদ্ধির আভা। তিনি হলেন মা মহালক্ষ্মী।
-
দেবতা ও অসুর উভয়ের দৃষ্টি তাঁর দিকে স্থির হল।
-
সকলের প্রার্থনায় তিনি প্রকাশ করলেন—যিনি ধর্ম ও ন্যায়পথ অনুসরণ করবেন, যাঁর হৃদয় পবিত্র ও বিনয়ী, তিনি-ই আমার কৃপা পাবেন।
-
তারপর মা লক্ষ্মী ভগবান বিষ্ণুকে তাঁর স্বামী রূপে বেছে নিলেন, কারণ বিষ্ণু বিশ্বরক্ষার প্রতীক ও ধর্মের ধারক।
শ্রী শ্রী মা লক্ষ্মীর পাঁচালী. pachali.
শ্রী শ্রী মা লক্ষ্মীর পাঁচালী | ধন-সম্পদ ও সৌভাগ্যের দেবীর পূজা
শ্রী
শ্রী মা লক্ষ্মীর পাঁচালী হিন্দু ধর্মে এক অত্যন্ত জনপ্রিয় আচার ও
কাহিনি। মা লক্ষ্মী হলেন ধন-সম্পদ, ঐশ্বর্য, সৌভাগ্য ও শান্তির দেবী।
শুক্রবার, অমাবস্যা বা বিশেষ তিথিতে মা লক্ষ্মীর পূজা ও পাঁচালী পাঠের
মাধ্যমে ভক্তরা জীবনে সমৃদ্ধি, শান্তি ও সুখ কামনা করেন। এই পোস্টে/ থাকছে
মা লক্ষ্মীর পূজা-পদ্ধতি, পাঁচালী পাঠ ও এর আধ্যাত্মিক তাৎপর্য।
দোল পূর্ণিমার নিশি নির্মল আকাশ ।
ধীরে ধীরে বইতেছে মলয় বাতাস ।।
বৈকুন্ঠেতে একাসনে লক্ষ্মী নারায়ন ।
করিতেছে কত কথা সুখে আলাপন ।।
সৃষ্টিতত্ত্ব, জ্ঞানতত্ত্ব কত কথা হয় ।
শুনিয়া পুলকিত হয় দেবীর হৃদয় ।।
অকস্মাৎ দেবর্ষি নারায়ন স্বরে ।
আসিলেন ভক্তি চিত্তে বৈকুন্ঠ নগরে ।।
প্রনাম করি দেবর্ষি বলেন বচন ।
মর্ত্যে দুর্ভিক্ষ মাগো কি ভীষন ।।
ঋষি বলে মা তুমি চঞ্চলা মন ।
সর্বদা ঘোরো ভবন হতে ভবন ।।
তাই মর্ত্যবাসী কষ্ট কত পায় ।
দেখি তাহা কেমনে মম প্রানে সয় ।।
অন্নাভাবে লোকে কত কষ্ট ভোগে ।
মরিতেছে অনাহারে কৃশকায় রোগে ।।
ধর্মাধর্ম লোকে সবে ত্যাগ করি দেয় ।
স্ত্রী কন্যা বিক্রি করে ক্ষুধার জ্বালায় ।।
দুর্ভিক্ষে হইলো শেষ মরে জীবগন ।
দয়া করে মাগো তুমি করো নিবারন ।।
এই দুর্দশা দেখি প্রানে নাহি সয় ।
করো নিবারন মাগো হইয়া সদয় ।।
নারদের বাক্য শুনি কহেন হরিপ্রিয়া ।
বিশ্বমাতা আমি দেবী বিষ্ণুজায়া ।।
যে যেমন করে সে তেমন পায় ।
সে দোষে কর্মফল, করে হায় হায় ।।
মহামায়ার স্বরূপে নারী সত্যবচন ।
মর্ত্যবাসী না মানে এই কথন ।।
সদাচার কুল শীল দিয়া বিসর্জন ।
ঘরের লক্ষ্মীকে করে সদা বর্জন ।।
এমন মনুষ্যজাতি মহাপাপ করে ।
কর্ম দোষে লক্ষ্মী ত্যাজে তাহারে ।।
নারীর পরম গতি স্বামী ভিন্ন কেবা ।
ভুলেও না করে নারী পতি পদসেবা ।।
যথায় স্বেচ্ছায় ঘুরিয়া বেড়ায় ।
গুরুজনে নানা কটুবাক্য শোনায় ।।
সর্বদা হিংসা করে না মানে আচার ।
হিংসাতে তার মজে সংসার ।।
🌸 দামোদর
মাস বা কার্তিক মাস: ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পরম প্রিয় মাস 🌸"দামোদর মাস বা
কার্তিক মাসের মাহাত্ম্য | ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দামোদর লীলা ও ব্রত |
Damodara Month Significance"
একদিন কৃষ্ণ মায়ের অলক্ষ্যে ননী চুরি
করে বানরদের খাওয়াচ্ছিলেন। মা যশোদা দেখে রাগে কৃষ্ণকে দড়ি দিয়ে বেঁধে
রাখতে গেলেন। কিন্তু আশ্চর্য, যত দড়ি জোড়া দেন, ততই তা দুই আঙুল কম হয়!
শেষে কৃষ্ণ হাসিমুখে নিজেই বাঁধা পড়লেন — এটাই ছিল মায়ের ভক্তির জয়ে ঈশ্বরের আত্মসমর্পণ।
এরপর দড়ি বাঁধা অবস্থায় কৃষ্ণ
হামাগুড়ি দিয়ে উদূখল (একটি কাঠের যন্ত্র) টানতে টানতে দুইটি বিশাল অর্জুন
গাছের মাঝ দিয়ে গেলেন, ফলে গাছ দুটি উপড়ে পড়ে গেল।
এই ঘটনাকে বলা হয় যমলার্জুন ভঙ্গ লীলা।
এখানেই প্রকাশিত হয় শিশুরূপী কৃষ্ণের অসীম শক্তি ও দুঃসাহস।
ॐ नमो गणपति नमो ओ नमो हो सिद्धि विनायक नमो ओ नमो हो
মহা মৃ্ত্যুঞ্জয় মন্ত্র — Maha Mrityunjaya Mantra
कृष्णाय वासुदेवाय हरये परमात्मने। प्रणतः क्लेशनाशाय गोविन्दाय नमो नमः॥
![]() পুরাণে মা লক্ষ্মীর জন্মকাহিনি
হিন্দু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী, সমুদ্র মন্থন
অর্থাৎ দেবতা ও অসুরদের দ্বারা সৃষ্ট বিশাল মহাসমুদ্রের মন্থনের সময় বহু
মূল্যবান রত্ন, দেব-অস্ত্র, অমৃতসহ নানা দেবশক্তির আবির্ভাব হয়।
|
Reviewed by শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ নমঃ(SriSriramthakur O gan Ganer vhovon Youtube channel)
on
October 06, 2025
Rating:

.png)









.jpg)
No comments: