গুরু ভাই বোনসহ সকল সনাতনী ভাই বোনদের জানাই স্বাগত ,উদ্দেশ্য গুরু দেবের অমৃত বানী সকলের মাঝে প্রচার করা।

মা লক্ষ্মীর সত্য কাহিনি — পুরাণ থেকে আধ্যাত্মিক সত্য


মা লক্ষ্মীর সত্য কাহিনি — পুরাণ থেকে আধ্যাত্মিক সত্য

ভূমিকা

হিন্দু ধর্মে দেব-দেবীর মধ্যে মা লক্ষ্মী সর্বাধিক পূজিতা ও গৃহস্থজীবনের অভিন্ন অংশ। তিনি কেবল অর্থ ও ধনের দেবী নন, বরং সমৃদ্ধি, জ্ঞান, সাহস, সন্তানের আশীর্বাদ ও নৈতিক জীবনের প্রতীক। মা লক্ষ্মীর উপাসনা শুধু ধনলাভের উদ্দেশ্যে নয়, বরং জীবনে ধর্ম, শান্তি ও সমন্বয়ের জন্য অপরিহার্য


পুরাণে মা লক্ষ্মীর জন্মকাহিনি

হিন্দু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী, সমুদ্র মন্থন অর্থাৎ দেবতা ও অসুরদের দ্বারা সৃষ্ট বিশাল মহাসমুদ্রের মন্থনের সময় বহু মূল্যবান রত্ন, দেব-অস্ত্র, অমৃতসহ নানা দেবশক্তির আবির্ভাব হয়।
এই সময়ে, এক অদ্বিতীয় রূপসী দেবী কমলফুলের উপর বসে আবির্ভূত হলেন। তাঁকে ঘিরে ছিল অদ্ভুত আলো, শান্তি ও সমৃদ্ধির আভা। তিনি হলেন মা মহালক্ষ্মী

  • দেবতা ও অসুর উভয়ের দৃষ্টি তাঁর দিকে স্থির হল।

  • সকলের প্রার্থনায় তিনি প্রকাশ করলেন—যিনি ধর্ম ও ন্যায়পথ অনুসরণ করবেন, যাঁর হৃদয় পবিত্র ও বিনয়ী, তিনি-ই আমার কৃপা পাবেন।

  • তারপর মা লক্ষ্মী ভগবান বিষ্ণুকে তাঁর স্বামী রূপে বেছে নিলেন, কারণ বিষ্ণু বিশ্বরক্ষার প্রতীক ও ধর্মের ধারক।


মা লক্ষ্মীর নিত্য রূপ — অষ্টলক্ষ্মী

মা লক্ষ্মী কেবল অর্থের দেবী নন। তিনি আটটি ভিন্ন রূপে জীবনে ভিন্ন ভিন্ন আশীর্বাদ দেন। এই আট রূপকে বলা হয় অষ্টলক্ষ্মী

  1. আদি লক্ষ্মী – সৃষ্টির মূলশক্তি, সকল দেবশক্তির উৎস।

  2. ধন লক্ষ্মী – অর্থ ও সম্পদের দেবী।

  3. ধান্য লক্ষ্মী – খাদ্য, শস্য ও কৃষির দেবী।

  4. গজ লক্ষ্মী – শক্তি, প্রতাপ ও সৌভাগ্যের প্রতীক।

  5. সন্তান লক্ষ্মী – পরিবার ও সন্তানসুখের দাত্রী।

  6. বীর লক্ষ্মী – সাহস ও দৃঢ়তার প্রতীক।

  7. বিজয় লক্ষ্মী – যুদ্ধ বা প্রতিকূলতায় সাফল্যের প্রতীক।

  8. বিদ্যা লক্ষ্মী – জ্ঞান ও শিক্ষার আশীর্বাদ প্রদানকারী।


আধ্যাত্মিক সত্য

মা লক্ষ্মীর প্রকৃত কাহিনি কেবল পুরাণ নয়। তাঁর সত্যকে আমরা প্রতিদিনের জীবনে অনুভব করতে পারি।

  • ধন থাকলেও যদি ধর্ম ও সততা না থাকে, তবে সেই ধন শান্তি আনে না।

  • মা লক্ষ্মীর কৃপা তখনই আসে যখন আমরা পবিত্র মনে পরিশ্রম, সততা ও ভক্তি নিয়ে চলি।

  • অলসতা, লোভ ও অন্যায় জীবনে মা লক্ষ্মীর আগমনকে রোধ করে।


মা লক্ষ্মী পূজা ও আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি

আজকের যুগে লক্ষ্মী পূজা কেবল এক দিনের অনুষ্ঠান নয়। এটি প্রতিদিনের জীবনধারায় একটি শৃঙ্খলা ও নৈতিকতার শিক্ষা দেয়।

  • দীপাবলির রাত্রে লক্ষ্মীপূজা ধন-সম্পদের পাশাপাশি পরিবারে শান্তি ও ঐক্যের প্রতীক।

  • প্রতি শুক্রবার বা অমাবস্যা তিথিতে মা লক্ষ্মী পূজা করলে গৃহে সমৃদ্ধি আসে বলে বিশ্বাস।

  • ব্যবসায়ী থেকে গৃহস্থ, ছাত্র থেকে কৃষক—সকলের জীবনেই মা লক্ষ্মীর সত্য কাহিনি হল পরিশ্রম + সততা + ভক্তি = প্রকৃত সমৃদ্ধি।


উপসংহার

মা লক্ষ্মীর সত্য কাহিনি আমাদের শেখায় যে তিনি কেবল ধনের অধিষ্ঠাত্রী নন, বরং ধর্ম, জ্ঞান, সাহস ও পরিবারের রক্ষাকারিণী
তাঁকে পাওয়ার প্রকৃত পথ হল—
👉 সৎ জীবন
👉 ভক্তি ও বিনয়
👉 পরিশ্রম ও ধর্মপথ

তখনই মা লক্ষ্মী গৃহে আসেন এবং জীবনে এনে দেন শান্তি, সমৃদ্ধি ও আনন্দ।

🌹 ওঁ মহালক্ষ্ম্যৈ নমঃ 🌹  Read more.............


পুরোহিত ছাড়াই ঘরে করুন কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা ২০২৫ 🙏

আধ্যাত্মিক আলোচনা (Ādhyātmik Ālocanā) * (অর্থ: Spiritual Discourse/Discussion)

লক্ষ্মীদেবী ও তাঁর পূজার কথা🌺🙏

ভৃগুমুনির পত্নী হলেন খ্যাতি | তিনি ধাতা এবং বিধাতা নামে দুই দেব সন্তান প্রসব করেছিলেন | আর লক্ষ্মী নাম্নী এক দেবীকেও প্রসব করেছিলেন | জগতের মা লক্ষ্মীদেবী বিষ্ণুপত্নী ছিলেন নিত্যা, তাঁর বিনাশ ছিল না তবুও তিনি ছিলেন সর্বগতা | বিষ্ণু যখন হতেন অর্থ ইনি হতেন বাণী | হরি হতেন ন্যায় তখন ইনি হতেন নীতি | বিষ্ণু বোধ ইনি বুদ্ধি, বিষ্ণু ধর্ম হলে ইনি হতেন তাঁর সৎক্রিয়া | বিষ্ণু যখন হতেন স্রষ্টা ইনি হতেন সৃষ্টি | শ্রীভূমি হরি ইনি ভূধর | ভগবান যখন সান্তোষ লক্ষ্মী হতেন তুষ্টি | শ্রী হতেন ইচ্ছা ভগবান হতেন কাম | লক্ষ্মী যখন স্বাহা, জগন্নাথ হতেন হুতাসন | ঠাকুর হতেন যজ্ঞ দক্ষিণা হতেন শ্রীলক্ষ্মী | ভগবান হতেন শঙ্কর ভগবতী তখন গৌরী | কেশব সূর্য কমলালয়া হতেন তাঁর প্রভা | গোবিন্দ রাগ, লক্ষ্মী রতি | ভগবান পদস্বরূপী, শ্রীদেবী তখন নদীর রূপ সংস্থিতি | পুন্ডরীকাক্ষ ধ্বজ, কমলালয়া পতাকা | লক্ষ্মীদেবী তৃষ্ণা, জসৎস্বামী লোভ | দেবতাসুলভ গুণাবলী প্রাপ্ত মনুষ্যাদির মাঝে পুরুষপদবাচ্যই হলেন ভগবান হরি এবং স্ত্রী নামে যা তা লক্ষ্মীদেবী | উভয়েই একাত্ম _ _ বাইরে ভিন্ন বই কিছু নয় |
 
একসময়ে দুর্বাসা মুনি পৃথিবীতে ভ্রমণ করছিলেন | সেই সময় এক বিদ্যাধরীর হাতে পারিজাত ফুলের মালা দেখে তার সৌরভে মুগ্ধ হয়ে সেটি নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন | সাথে সাথে বিদ্যাধরী তাঁকে সেই মালা দেন | তখন ঋষি দুর্বাসা সেটি মাথায় নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে ঐরাবতে পরিভ্রমনরত দেবরাজ ইন্দ্রকে দান করেন | ইন্দ্র সেটি গ্রহণ করে নিজে ধারণ না করে ঐরাবতের মাথায় দিলেন | এবারে হস্তী শুঁড় দিয়ে ঘ্রাণ নিয়ে মালাটি তৎক্ষণাৎ মাটিতে ফেলে দিল | এই অবহেলাতে অপমান হয়ে ক্রদ্ধ দুর্বাসা ত্রৈলোক্যদেবকে অভিসম্পাত করে বললেন, "ঐশ্বর্য্যমত্ত, দুরাত্মন, বাসব ! তুমি অতি গর্বিত হয়েছ যে, আমার দেওয়া পুষ্পমাল্যের সম্মান প্রদর্শন করলে না | ঐ প্রসাদী মাল্যখানিকে ছুঁড়ে দিয়ে তুমি লক্ষ্মীকেই বিসর্জন দিলে | তাই লক্ষ্মীর অভাবে তোমার ত্রৈলোক্যশক্তি বিনাশ প্রাপ্ত হবে | স্বর্গ হতে লক্ষ্মী চলে যাবে | এবং দেবগণ শক্তিহীন শ্রীহীন হয়ে দুর্বল হয়ে পড়বে | আমাকে সামান্য ব্রাহ্মণরূপে ধারণা করে অবমাননার ফল তোমাদেরকে ভোগ করতেই হবে " |
 
এরপরে দেবতাগণ লক্ষ্মীহারা হয়ে শক্তি ও শ্রীহীন হয়ে পড়লেন | চিরশত্রু দৈত্যদের কাছে পরাজিত হয়ে বিধ্বস্ত হতে লাগল | তখন ব্রহ্মা সকল দেবগণকে নিয়ে ক্ষিরোদসমুদ্রে শায়িত শ্রীবিষ্ণুর নিকট গেলেন এবং বহুবিধ স্তবস্তুতি করে তাঁর প্রসন্নতা লাভ করলেন | তখন বিষ্ণু বললেন, "হে দেবসকল আমি তোমাদের তেজের পুষ্টি বিধান করব | আমি যা বলছি তোমরা তাই কর | দৈত্যগণের সাথে ক্ষীরসমুদ্রে সকল ওষধি নিক্ষেপ কর এবং মন্দরকে মন্থন দন্ড করে এবং বাসুকীকে রজ্জু করে আমার সাহায্যে অমৃত মন্থন কর" |
পরে দেবদৈত্য যৌথভাবে সমুদ্র মন্থন করে সুধাভান্ড নিয়ে লক্ষ্মীদেবী আবার উত্থিত হলেন | দেবতাগণ কৌশলে সুধাপান করে অমর হলেন আর হতভাগ্য দৈত্যরা অধিক ত্যাগ করেও সম্পূর্ণভাবে সুধা থেকে বঞ্চিত হল |
 
দেবরাজ আবার তাঁর সবকিছু ফিরে পেয়ে এবং পাইয়ে দিয়ে দেবী লক্ষ্মীর স্তবস্তুতি করতে লাগলেন | বললেন, "দেবী! তোমা ভিন্ন অন্য কোন স্ত্রী গাদাভৃৎ দেবদেবের সর্বযজ্ঞময় যোগিগণের ধ্যেয় শরীরে বাস করতে পারে? হে দেবী! তুমি পরিত্যাগ করায় সকল ভুবনত্রয় বিনষ্টপ্রায় হয়েছিল | বর্তমানে তোমা দ্বারাই সংবর্দ্ধিত হল | " দেবী লক্ষ্মীদেবী স্তবে পরিতুষ্টা হয়ে ইন্দ্রদেবকে বর দিয়ে বললেন, " আমি ত্রৈলোক্য ত্যাগ করবো না | যে উক্ত স্তোত্র দ্বারা সন্ধ্যা এবং সকালে আমার স্তব করবে, তার প্রতি আমি কখনো বিমুখ হব না | " যে দেবী একবার হারিয়ে গিয়েছিলেন তিনি দেবতাদের প্রযত্নে আবার দ্বিতীয়বার সম্ভূতা হলেন | জগতপতি যখনই অবতার গ্রহণ করেন, তাঁর সহায়িনী হয়ে লক্ষ্মীদেবীও অবতার গ্রহণ করেন | হরি যখন বামন হয়েছিলেন তখন পদ্ম হতে লক্ষ্মীদেবী উদ্ভুতা হয়েছিলেন | ভগবান যখন রাঘব হয়েছিলেন তখন লক্ষ্মীদেবী হয়েছিলেন ধরণী অর্থাৎ সীতা | কৃষ্ণজন্মে হয়েছিলেন রুক্মিণী এবং অন্যান্য অবতারেও ইনি ভগবানকে সহায়তা করেছিলেন | ইনি দেবত্বে দেবী লক্ষ্মী এবং ভগবানের মনুষ্যরূপী অবতারে ইনি মানবী হয়েই জন্মেছিলেন | যিনি লক্ষ্মীদেবীর এই মহান্ সৃষ্টিকথা শোনে তাঁর গৃহে দেবী চিরকাল বিরাজ করেন এবং তাঁর গৃহে শ্রীবৃদ্ধি দান করেন |
 
সবার জন্যে বলা যায় যে, যে বীজমন্ত্র জপ করলে লক্ষ্মীদেবী তুষ্ট হন_ _ সেটা হলঃ
" ঐং শ্রীং হ্রীং ক্লীং কমলাবাসিন্যই স্বাহা " | এই মন্ত্রটি ব্রহ্মা দেবরাজ ইন্দ্রকে দান করেছিলেন | কুবের এই মন্ত্র জপ করে ঐশ্বর্যের অধিপতি হয়েছিলেন | দক্ষ _ সাবর্ণি হয়েছিলেন মনু | প্রিয়ব্রত, উত্থানপাদ, কেদার প্রমুখও এই মন্ত্র জপে হয়েছিলেন রাজা | তাই ধর্ম _ অর্থ _কাম _মোক্ষ যশলাভে লক্ষ্মীদেবীর এই মন্ত্র জপে অতি উৎকৃষ্ট ফললাভ করা যায় | মনে প্রশ্ন হতে পারে_ _ _ _ লক্ষ্মীদেবী কোন্ গৃহে সর্বদা অবস্থান করেন ? যেখানে সর্বদা হরিগুণগান, নাম সংকীর্তন ও সেবা হয়, যে গৃহে শিবলিঙ্গ পূজা ও আরতি হয়, মা দুর্গা, মা কালী, ইত্যাদি দেব দেবীর স্তবস্তুতি, পাঠ ও আলোচনা হয়; যে গৃহে নিত্য গীতাপাঠ, চণ্ডীপাঠ ও হরিনাম সংকীর্তন হয় এবং যে পারিবারে সদস্য সদস্যাদের চরিত্র সম্পদ উজ্বলরূপে বিরাজমান থাকে সেই গৃহে লক্ষ্মীদেবী মহাসুখে অবস্থান করেন এবং দিনে দিনে সংসারে সুখ, আনন্দ, শ্রীবৃদ্ধি ও শান্তি প্রদান করেন |আর কোন্ গৃহে দেবী লক্ষ্মী চঞ্চলা অর্থাৎ থাকতে পছন্দ করেন না? যে গৃহে সাধু _ সন্ন্যাসী _ দেব দ্বিজে _ শাস্ত্রে অবিশ্বাস এবং অভক্তি, যে গৃহে লক্ষ্মীরূপিনী নারীরা নির্যাতিতা এবং অত্যাচারিতা হয়, যে গৃহে নারীরা সম্মান পায় না, যে গৃহে পূজার্চনা, শাস্ত্রপাঠ, সাধুসেবা নেই, যে গৃহে বারব্রত উপবাস, সন্ধ্যায় সন্ধ্যাপ্রদীপ দেওয়া হয় না, তুলসীমঞ্চ নেই, যে গৃহে ভিখারী ব্রাহ্মণ ও অসহায় প্রাণীরা অন্ন পায় না এমন গৃহে লক্ষ্মীদেবী থাকতে পারেন না | আর লক্ষ্মীকে অবহেলার ফলে এমন গৃহে সবরকম অসৎ কাজ চলে, সে পরিবারের সদস্যদের কোন চারিত্রিক দৃঢ়তা থাকে না | মদ্যপান, জুয়া খেলা, নারীর প্রতি অসম্মান করা, সর্বদা ঝগড়া ও অশান্তি লেগে থাকে | নরকসদৃশ এমন পরিবারে শান্তি আনতে গেলে মাদুর্গা _কালী_ _ লক্ষ্মীদেবীর পূজা অর্চনা, স্তবস্তুতি করা একান্ত ভাবে প্রয়োজন |
 
এই লক্ষ্মীপূজাকে কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা বলা হয় | কোজাগরী অর্থাৎ কোজাগর সম্বন্ধীয় এই বিশেষণ পদটি বিশেষ্য পদ কোজাগর শব্দ থেকে এসেছে | এর এক অর্থ হল _ _ আশ্বিনী পূর্ণিমা | কঃ (কে) + জাগর ( জাগিয়া আছে ); উক্ত তিথিতে নিশাকালে লক্ষ্মীদেবী বলেন, "নারিকেলের জল পান করিয়া মহীতলে কে জাগিয়া আছে, তাহাকে আমি সম্পদ দিব " |
এবারে লক্ষ্মীদেবীর ধ্যান ও প্রনাম মন্ত্রটি উল্লেখ করা হলঃ
ধ্যানমন্ত্র_ _ _
" ও পাশাক্ষ _ মালিকাম্ভোজ _ সৃণিভি _ র্যাম্য _ সৌময়োঃ |
পদ্মাসনস্থাং ধ্যায়েচ্চ শ্রিয়ং ত্রৈলোক্য মাতরম্ | |
গৌরবর্ণাং সুরূপাঞ্চ সর্বালঙ্কার ভূষিতাম্ |
রৌক্ম _ পদ্ম _ ব্যগ্রকরাং বরদাং দক্ষিণেন তু " | | __ যাঁর দক্ষিণভাগে পাশ ও অক্ষমালা এবং বামভাগে পদ্ম ও অঙ্কুশ, যিনি পদ্মাসনে আসীনা শ্রীরূপা, ত্রিভূবনের মাতা, গৌরবর্ণা, সুরূপা ও সর্বপ্রকার অলঙ্কারে ভূষিতা, যিনি বাম হাতে স্বর্ণপদ্ম ধারণ করছেন এবং ডান হাতে বরদান করছেন, সেই সৌন্দর্য্স্বরূপিনী দেবী লক্ষ্মীকে ধ্যান করি |
 
 
প্রণাম মন্ত্রঃ
" ওঁ বিশ্বরূপস্য ভার্যাসি পদ্মে পদ্মালয়ে শুভে |
সর্বতঃ পাহি মাং দেবি মহালক্ষ্মী নমোহস্তুতে" | | ___ হে লক্ষ্মী, তুমি বিশ্বরূপ ও নারায়ণের ভার্যা, তুমি পদ্মধারিণী, পদ্মবাসিনী, ও সকলের মঙ্গলদায়িনী, তুমি আমাকে সকলপ্রকার দুঃখ থেকে রক্ষা কর | তোমাকে ভক্তিবিনম্রভাবে প্রনাম করছি |
জয় মা লক্ষ্মী ! সকলের মঙ্গল কর মা! সকলের দুঃখ কষ্ট দূর কর | সকলকে সম্পদ দাও, সুখ দাও, শান্তি দাও মা!
 



মা লক্ষ্মীর সত্য কাহিনি — পুরাণ থেকে আধ্যাত্মিক সত্য মা লক্ষ্মীর সত্য কাহিনি — পুরাণ থেকে আধ্যাত্মিক সত্য Reviewed by শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ নমঃ(SriSriramthakur O gan Ganer vhovon Youtube channel) on October 06, 2025 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.