গুরু ভাই বোনসহ সকল সনাতনী ভাই বোনদের জানাই স্বাগত ,উদ্দেশ্য গুরু দেবের অমৃত বানী সকলের মাঝে প্রচার করা।

নামই ভগবান” — শ্রীশ্রী রামঠাকুরের নামতত্ত্ব ও আত্মসমর্পণের বেদবানীIশ্রীশ্রী রামঠাকুরের বেদবানী ২য় খণ্ড থেকে নেওয়া এই উক্তিতে তিনি নাম ও ভগবানের অভিন্নতা, নামস্মরণের গুরুত্ব, আত্মসমর্পণ ও মোক্ষের পথ নিয়ে গভীর আধ্যাত্মিক শিক্ষা দিয়েছেন। পড়ুন এই অনন্য ভাবনা।


নামই ভগবান” — শ্রীশ্রী রামঠাকুরের নামতত্ত্ব ও আত্মসমর্পণের বেদবানী
https://www.youtube.com/@bedbanisrisriramthakur

  •  ভগবান এবং নাম একই বস্তু। নাম করিতে ভালই লাগুক আর বিরক্তিই লাগুক, নাম করিবেন এবং নামের ফল পাইবেন। যেমন অমৃত খাইতে ভালই লাগুক আর মন্দই লাগুক অমৃত কাজ করিবেই, সেইরুপ নাম করিলে নামে তাকে শান্তিধামে নিবেই। নাম জাগাইয়া চৈতন্য করিয়া দিবার উদ্দেশ্য কি [?] এই নামে রুচি পাউক আর অরুচি হউক, নাম ভগবান যদি এক হয় তবে নামের নিকট যে অবস্থায় থাকা যাক ভগবানের নিকটই থাকা হয়। যদি ভগবানের নিকটই থাকা হইল তবে নাম চৈতন্য রুচি জাগরণের বাসনা হওয়াই ভ্রান্ত। ঐহিক সুখের আভাস দুঃখের সমুদ্র মাত্র। অতএব মনের যাহা কিছু সুখের আশ্রয় কি দুঃখের আশ্রয় সকলই ভ্রম, কারণ ঘুমাইলে সেই সুখ দুঃখ, সুখ ঐশ্বর্য্য কিছুই থাকে না। পতি সেবা করিয়া যাইবেন। পতি হইতে আপন কেহ হয় না। পতি সকল অবস্থায় উদ্ধার করেন, এজন্য ভগবানকে পতি বলিয়া থাকে এবং নাম যাহা পাইয়াছেন সেই নামই ভগবান।সেই নামই জাগ্রত, সেই নামই রুচিসম্পদ।পতির দোষ, পতির নিন্দা কোন স্থান দিতে নাই। যেই নাম পাইয়াছেন তাহা উপর আর কোন অধিক নাম মন্ত্র যোগাযোগ কিছুই নাই জানিবেন। প্রাণ ভরিয়া শুধু সেবা করিয়া যাইবেন, বেদ বিধি ভাল - মন্দ বিচার করিবেন না। অদৃষ্টে যাহা ফলাফল এই দেহের গুণের পরিবর্ত্তন জানিয়া নাম ধরিয়া থাকিবেন। তবেই শান্তির কালচক্রে সমস্ত দেনা ঋণ পরিশোধ করিয়া যাইতে পারিবেন, যেখানে গেলে ভগবানকে আর ভুলিবেন না, ভগবানও ভুলিবেন না। ইহজগতের বাসনাদি কর্ত্তৃত্বাভিমানীর মন বুদ্ধি নিয়া সত্যের নিকট যাইতে পারে না। এই জগতের বস্তু এই জগতে থাকিবে, তাহার প্রত্যাশিত হইলে এই হ্রাস দীর্ঘরূপ ঘুরাঘুরির চক্র ত্যাগ করিয়া যাইতে পারে না। -শ্রীশ্রী রামঠাকুর বেদবানী ২য় খন্ড(১৩১)

🕉️ ১. “ভগবান এবং নাম একই বস্তু”

গীতা সংযোগ: 👉 “সর্বত্র সমবর্তীং ব্রহ্ম” — গীতা 13.27 ভগবান সর্বত্র বিরাজমান। নাম তাঁরই প্রকাশ। নামস্মরণ মানেই তাঁর সান্নিধ্য।

🌸 ২. “নাম করিতে ভালই লাগুক আর বিরক্তিই লাগুক, নাম করিবেন এবং নামের ফল পাইবেন”

গীতা সংযোগ: 👉 “যৎ করোসি যদাশ্নাসি... তৎ কুরুষ্ব মদর্পণম্” — গীতা 9.27 যে কোনো কর্ম, আনন্দ বা বিরক্তি যাই হোক, যদি তা ভগবানের উদ্দেশে হয়, ফল অবশ্যই পাওয়া যায়।

  • যৎ, করোষি, যৎ, অশ্নাসি, যৎ, জুহোষি, দদাসি, যৎ,
    যৎ, তপস্যসি, কৌন্তেয়, তৎ, কুরুষ্ব, মৎ-অর্পণম্ ॥২৭॥
  • অনুবাদ : হে কৌন্তেয় ! তুমি যা অনুষ্ঠান কর, যা আহার কর, যা হোম কর, যা দান কর এবং যে তপস্যা কর, সেই সমস্তই আমাকে সমর্পণ কর।
  • 🍃 ৩. “যেমন অমৃত খাইতে ভালই লাগুক আর মন্দই লাগুক অমৃত কাজ করিবেই”

    গীতা সংযোগ: 👉 “অমৃতং ধর্ম্যং চ” — গীতা 2.15 আধ্যাত্মিক কর্ম, যেমন নামস্মরণ, অমৃতস্বরূপ। তার ফল নির্ভর করে না অনুভূতির উপর।

    🔥 ৪. “নাম করিলে নামে তাকে শান্তিধামে নিবেই”

    গীতা সংযোগ: 👉 “মাম উপেত্য তু কৌন্তেয় পুনর্জন্ম ন বিদ্যতে” — গীতা 8.15 যে ভক্ত ভগবানের নামস্মরণে লিপ্ত, সে জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকে মুক্ত হয়ে শান্তিধামে পৌঁছায়।

    🧘‍♂️ ৫. “নামে রুচি হউক বা অরুচি, নাম ভগবান যদি এক হয় তবে নামের নিকট থাকা মানেই ভগবানের নিকট থাকা”

    গীতা সংযোগ: 👉 “তস্যাহং সুলভঃ পার্থ” — গীতা 9.22 যে ভক্ত একাগ্রচিত্তে ভগবানের স্মরণ করে, ভগবান তাঁর কাছে সহজলভ্য হন — রুচি বা অরুচি নয়, নিষ্ঠাই মুখ্য।

    🌊 ৬. “ঐহিক সুখের আভাস দুঃখের সমুদ্র মাত্র”

    গীতা সংযোগ: 👉 “দুঃখালয়ম অশাশ্বতম্” — গীতা 8.15 এই জগৎ দুঃখের আশ্রয়, ক্ষণস্থায়ী। তাই ঐহিক সুখের মোহ ত্যাগ করাই মুক্তির পথ।

    💫 ৭. “পতি সকল অবস্থায় উদ্ধার করেন, এজন্য ভগবানকে পতি বলিয়া থাকে”

    গীতা সংযোগ: 👉 “ভক্তানাং অনুকম্পার্থং” — গীতা 4.8 ভগবান ভক্তের রক্ষা করেন, ঠিক যেমন পতি স্ত্রীকে রক্ষা করেন। তিনি আমাদের সর্বোচ্চ আশ্রয়।

    🕯️ ৮. “যেই নাম পাইয়াছেন তাহা উপর আর কোন অধিক নাম মন্ত্র যোগাযোগ কিছুই নাই”

    গীতা সংযোগ: 👉 “একং শরণং গচ্ছ” — গীতা 18.66 একনিষ্ঠভাবে ভগবানের নামেই আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। অন্য কোনো মন্ত্র বা পন্থা প্রয়োজন নেই।

    🪔 ৯. “বেদ বিধি ভাল - মন্দ বিচার করিবেন না”

    গীতা সংযোগ: 👉 “ত্রৈগুণ্যবিষয়া বেদাঃ” — গীতা 2.45 বেদে গুণের বিচার আছে, কিন্তু ভক্তের উচিত সেই বিচার ছাড়িয়ে ভগবানের আশ্রয় নেওয়া।

    🔄 ১০. “অদৃষ্টে যাহা ফলাফল এই দেহের গুণের পরিবর্ত্তন জানিয়া নাম ধরিয়া থাকিবেন”

    গীতা সংযোগ: 👉 “সিদ্ধি-অসিদ্ধি সমঃ ভূত্বা” — গীতা 2.48 ফলাফল যাই হোক, ভগবানের নামস্মরণে স্থির থাকা — এটাই যোগ।

    🕊️ ১১. “যেখানে গেলে ভগবানকে আর ভুলিবেন না, ভগবানও ভুলিবেন না”

    গীতা সংযোগ: 👉 “যং যং স্মরণং ভবতি ত্যজন্তে কালে বরং তম্” — গীতা 8.6 যে ভক্ত মৃত্যুকালে ভগবানের নাম স্মরণ করে, সে তাঁকে আর ভুলে না, ভগবানও তাঁকে ভুলেন না।

    🧠 ১২. “এই জগতের বস্তু এই জগতে থাকিবে, তাহার প্রত্যাশিত হইলে এই হ্রাস দীর্ঘরূপ ঘুরাঘুরির চক্র ত্যাগ করিয়া যাইতে পারে না”

    গীতা সংযোগ: 👉 “ভোগেশ্বর্য্যপ্রসক্তানাং...” — গীতা 2.44 ভোগ ও ঐশ্বর্যের প্রতি আসক্তি থাকলে মন সত্যের পথে যেতে পারে না। মোক্ষের পথ রুদ্ধ হয়।

    🌺 উপসংহার:

    শ্রীশ্রী রামঠাকুরের বাণী গীতার মূল তত্ত্বেরই প্রতিধ্বনি — নামস্মরণ, আত্মসমর্পণ, ফলের মোহ ত্যাগ, এবং ভগবানের প্রতি একনিষ্ঠ ভক্তি। গীতা যেমন কর্মযোগ ও ভক্তিযোগের মাধ্যমে মুক্তির পথ দেখায়, ঠাকুরের বেদবানীও সেই পথেই আমাদের আহ্বান জানায়।

    🌸 Meta Description (মেটা বিবরণ):

    শ্রীশ্রী রামঠাকুরের বেদবানী ২য় খণ্ড থেকে নেওয়া এই উক্তিতে তিনি নাম ও ভগবানের অভিন্নতা, নামস্মরণের গুরুত্ব, আত্মসমর্পণ ও মোক্ষের পথ নিয়ে গভীর আধ্যাত্মিক শিক্ষা দিয়েছেন। পড়ুন এই অনন্য ভাবনা।

    🏷️ Meta Keywords (মূল শব্দ):

    শ্রীশ্রী রামঠাকুর, নামতত্ত্ব, ভগবান ও নাম, বেদবানী, আত্মসমর্পণ, মোক্ষ, আধ্যাত্মিক শিক্ষা, বাংলা ধর্মীয় উক্তি, নামস্মরণ, রামঠাকুরের বাণী, Bengali spiritual blog, devotional Bengali quotes

    নামই ভগবান” — শ্রীশ্রী রামঠাকুরের নামতত্ত্ব ও আত্মসমর্পণের বেদবানীIশ্রীশ্রী রামঠাকুরের বেদবানী ২য় খণ্ড থেকে নেওয়া এই উক্তিতে তিনি নাম ও ভগবানের অভিন্নতা, নামস্মরণের গুরুত্ব, আত্মসমর্পণ ও মোক্ষের পথ নিয়ে গভীর আধ্যাত্মিক শিক্ষা দিয়েছেন। পড়ুন এই অনন্য ভাবনা। নামই ভগবান” — শ্রীশ্রী রামঠাকুরের নামতত্ত্ব ও আত্মসমর্পণের বেদবানীIশ্রীশ্রী রামঠাকুরের বেদবানী ২য় খণ্ড থেকে নেওয়া এই উক্তিতে তিনি নাম ও ভগবানের অভিন্নতা, নামস্মরণের গুরুত্ব, আত্মসমর্পণ ও মোক্ষের পথ নিয়ে গভীর আধ্যাত্মিক শিক্ষা দিয়েছেন। পড়ুন এই অনন্য ভাবনা। Reviewed by শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ নমঃ(SriSriramthakur O gan Ganer vhovon Youtube channel) on October 08, 2025 Rating: 5

    No comments:

    Powered by Blogger.