আমাদের বাড়িতে সত্যনারায়ণের আবির্ভাব হলো ১৪ই আশ্বিন। চার-পাঁচ দিন পর ঠাকুর নিজেই বললেন যে শরীরটা ভালো লাগছে না, তাই একটু ঘুরে আসবেন। কিছুদিন পরেই তিনি দেওঘরে চলে গেলেন, তারপরেই এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটল।
🌸 শ্রীশ্রী রামঠাকুরের অলৌকিক কৃপা 🌸
সত্যনারায়ণ আবির্ভাব ও শ্যামা পূজোর আশ্চর্য ঘটনা
আমাদের বাড়িতে সত্যনারায়ণের আবির্ভাব হলো ১৪ই আশ্বিন। চার-পাঁচ দিন পর ঠাকুর নিজেই বললেন যে শরীরটা ভালো লাগছে না, তাই একটু ঘুরে আসবেন। কিছুদিন পরেই তিনি দেওঘরে চলে গেলেন, তারপরেই এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটল।
একদিন দুপুরে আমার জা আর আমি দুজনেই স্বপ্নে দেখলাম বাড়িতে কালী পূজো। এর দু’একদিন পরেই দেওঘর থেকে ঠাকুরের চিঠি এলো। ঠাকুর কর্ত্তাকে (কুঞ্জবাবুকে) লিখলেন যে কালী পূজো করলে আমাদের মঙ্গল হবে, তাই আমাদের কালী পূজো করতে বললেন।ঠাকুরের চিঠি পাওয়ার পর কালী পূজো করা স্থির হ’ল। প্রতিমার অর্ডার দেওয়া হলো। এর দু’একদিন পরেই আবার ঠাকুরের চিঠি এলো, তিনি লিখেছেন — “গৃহস্থের ঘরে কালীরূপে না হয়ে শ্যামারূপে পূজিত হওয়াই মঙ্গল।”
পূজো তখনো বাকী, শ্যামা মূর্তি প্রস্তুত হ’ল। বছর ছয় পূজো নিয়মিত চললো। সপ্তম বছরে এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটল। রাত তখন দুটো, শ্যামা পূজো চলছে। একটা বিরাট কাক এসে বারান্দায় পাখা ঝট্ পট্ করে বসলো। বারান্দা থেকে কাকটা সোজা পূজোর ঘরে শ্যামা মূর্তির কাঁধের ওপর বসলো। তারপর কাকটা আবার উড়ে বাইরে চলে গেল।
ঘটনাটি আশ্চর্য। রাত দুটোয় কাক কোথা থেকে এলো, আর এসে দেবীর গায়ের ওপর বসলো। সবাই ব্যাপারটা অত্যন্ত অশুভ মনে করলো। তার পরের বছর পূজোর কিছু আগে থেকেই আমিও অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। ঘটনাচক্রে সে বছর আর শ্যামা পূজো হলো না। এরপর থেকে পূজো বন্ধ হলো।
ঠাকুর তার কয়েক বছর আগেই দেহরক্ষা করেছেন। তাই ঘটনার কোনো তাৎপর্য নির্ধারণ করা সম্ভব হলো না। এখন মনে হয়, অনেক সময়ই তিনি দেহী-বিদেহী, অদৃশ্যভাবে বা ভিন্নরূপে এসেছেন। এবারও হয়তো এরকমই কেউ কাকের মূর্তি পরিগ্রহ করে এসেছিলেন।
অমাবস্যার রাত্তির দুটোয় কাক কোথা থেকে এলো এবং সেই কাকও বাড়ির অন্য জায়গা ছেড়ে শুধুমাত্র শ্যামা মার কাছেই কেন এলো — আমরা না বুঝে তাকে তাড়িয়ে দিলাম। কি অর্থ জানা নেই, শুধু আন্দাজ করা যায়। এরকম অনেক অভাবনীয় ঘটনা ঘটে গেছে। আজ অনেককাল পরে মনে হয়, আপাতদৃষ্টিতে যা অশুভ মনে হয়েছিল, তাই হয়তো পরম শুভ।
ঘরের ঠাকুর – শ্রী রামচন্দ্র
লিখেছেন – শ্রীমতী কিরণবালা মজুমদার
📘 ব্যাখ্যা (বাণীর আলোকে পথ চলা):
শ্রীশ্রী রামঠাকুরের জীবনলীলা ও তাঁর ভক্তদের অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে যে ঠাকুর কেবল শারীরিক উপস্থিতিতে সীমাবদ্ধ নন। তিনি ভক্তের বিশ্বাস, আস্থা ও শুদ্ধ ভক্তির মাধ্যমে সর্বত্র বিরাজমান। কাকের আগমনও সেই অদৃশ্য ইঙ্গিত — হয়তো এক আধ্যাত্মিক রূপে তিনি নিজেই শ্যামার পূজায় সাক্ষী দিতে এসেছিলেন। ঠাকুরের বাণী অনুসারে — “ভক্তের মঙ্গলার্থে ঈশ্বর নানা রূপে, নানা মাধ্যমে আবির্ভূত হন।”
🌼 জয় গুরু 🌼 জয় রাম ঠাকুর 🌼
“বাণীর আলোকে পথ চলা – শ্রীশ্রী রামঠাকুরের বাণীর ব্যাখ্যা”
লিখেছেন: সুব্রত মজুমদার
🔱 গুরু অর্থ 🔱
গু শব্দের অর্থ অন্ধকার এবং রু শব্দ দ্বারা সেই অন্ধকারের নিরোধকত্ব বুঝায়।
(অজ্ঞানরূপ) অন্ধকার-নিরোধককেই গুরু বলিয়া থাকে।
— শ্রী শ্রী গুরু গীতা, শ্লোক ২০
শ্রী শ্রী রামঠাকুর আমাদের গুরুদেব!
#JoyGuru #SriSriRamthakur #SpiritualWisdom

No comments: