গুরু ভাই বোনসহ সকল সনাতনী ভাই বোনদের জানাই স্বাগত ,উদ্দেশ্য গুরু দেবের অমৃত বানী সকলের মাঝে প্রচার করা।

শ্রীপদযুগল—ভগবানের পল্লব: শ্রীচরণে আশ্রয় নিলে ভক্তকে কৃপা প্রকাশ হয়

 

"পতিব্রতা ধর্ম্ম " ৩।
পতি অর্থাৎ ভগবানকে লাভ করিতে যে ধর্ম্ম আচরণ,
পতিব্রতা ধর্ম্ম তাহাই অপরাপর নাম সাবিত্রীব্রত,সত্যব্রত হন।
সংসার অভাবের স্মারক, মনের সুখ দুঃখ উদয় হয় তাতে,
মনের তৃপ্তির জন্য সংসার মায়াপাশে বাস দ্বন্দ্ব সংঘাতে।
যতকাল বাস কেবলই জন্ম মৃত্যু, সুখ দুঃখ, শান্তি অশান্তি কোলাহল,
এসব থেকে পরিত্রাণের উপায় পতি নামে সব সঁপি আশ্রয় শ্রীপদযুগল।
অচিন্ত্য ভাবে সর্ব্বদা অকর্তা হইয়া স্বধর্ম পালনে যত্নশীল থাকা,
ভগবান যিনি পতি কৃপা করেন,তিনি ভক্তবৎসল সত্য সর্ব্বদা।।

পতিব্রতা ধর্ম্ম — শ্রীশ্রী রামঠাকুরের বাণীর আলোকে ব্যাখ্যা

পতিব্রতা ধর্ম্ম — শ্রীশ্রী রামঠাকুরের বাণীর আলোকে ব্যাখ্যা

লেখাঃ সুব্রত মজুমদার — "বাণীর আলোকে পথ চলা (Banir Aloke Poth Chala) – Sri Sri Ramthakur-er Potransho-er Byakhya"

প্রারম্ভিক বিষয়

এই পৃষ্ঠাটি শ্রীশ্রী রামঠাকুরের দর্শন ও বাণীর সূক্ষ্ম ভাবধারায় "পতিব্রতা ধর্ম্ম"—এর প্রতিটি পঙ্‌ক্তির ব্যাখ্যা—ধাপে ধাপে উপস্থাপন করে।

১. "পতি অর্থাৎ ভগবানকে লাভ করিতে যে ধর্ম্ম আচরণ, পতিব্রতা ধর্ম্ম তাহাই অপরাপর নাম সাবিত্রীব্রত, সত্যব্রত হন।"

সংক্ষেপে: পতি এখানে কেবল সংসারিক স্বামী নয়—পরম পতি ভগবান। পতিব্রতা ধর্ম্ম মানে সমগ্র আত্মার দ্বারা ঈশ্বরকে নিবেদন ও সঁর্পণ করা।

  • পতিব্রতা = আত্মসমর্পণ, ভগবানের চরণে অখণ্ড আনুগত্য।
  • সাবিত্রীব্রত ও সত্যব্রত—ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক প্রতীক; সত্যের প্রতি অটল থাকা, পতি-ভক্তির প্রমাণ।
  • ঠাকুরের দৃষ্টিতে, পতিব্রতা হল চিরস্থায়ী সুখের মূল।

২. "সংসার অভাবের স্মারক, মনের সুখ দুঃখ উদয় হয় তাতে,"

সংক্ষেপে: সংসার মানুষের জীবনে অভাব ও অসম্পূর্ণতার প্রতিচ্ছবি—যার ফলে মন অনবরত সুখ ও দুঃখের ওঠানামা করে।

  • সংসার মানেই পরিবর্তনশীলতা—অপ্রতুলতা ও ক্ষণস্থায়ী প্রাপ্তি।
  • ঠাকুরের বাণীতে সংসারকে মানব-মনকে পরিক্ষার ক্ষেত্র বলা হয়েছে।

৩. "মনের তৃপ্তির জন্য সংসার মায়াপাশে বাস দ্বন্দ্ব সংঘাতে।"

সংক্ষেপে: মানুষ তৃপ্তি খুঁজতে গিয়ে মায়ার জালে জড়ায়; সেই মায়া হলো দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের উৎস।

  • মায়া = প্রদর্শিত সুখ-অভ্যাস; কিন্তু মায়া ভিতরে দ্বন্দ্ব তৈরি করে।
  • পতিব্রতা হল সেই মায়াজালেই থেকেও ভগবানকে কেন্দ্র করে মনকে স্থির করা।

৪. "যতকাল বাস কেবলই জন্ম মৃত্যু, সুখ দুঃখ, শান্তি অশান্তি কোলাহল,"

সংক্ষেপে: সংসারে থাকা মানেই রব—জন্ম-মৃত্যুর চক্র, সুখ-দুঃখ, শান্তি-অশান্তি—এই সব চলতেই থাকবে যতক্ষণ মন মায়ায় আবদ্ধ।

  • মন যে দিকে আকৃষ্ট হয়, জীবনও সেই রং ধারণ করে—ঠাকুরের কথা অনুসারে।
  • পতিব্রতার মাধ্যমে এই কোলাহলকে অন্তরে প্রশমিত করা যায়।

৫. "এসব থেকে পরিত্রাণের উপায় পতি নামে সব সঁপি আশ্রয় শ্রীপদযুগল।"

সংক্ষেপে: মুক্তির একমাত্র পথ—পরম পতি (ভগবান) নামে আপনার সব দুঃখ-ভয়-আকাঙ্ক্ষা সঁপে দেওয়া।

  • আত্মসমর্পণকেই পতিব্রতার কেন্দ্রীয় অনুশাসন মনে করা হয়।
  • শ্রীপদযুগল—ভগবানের পল্লব: শ্রীচরণে আশ্রয় নিলে ভক্তকে কৃপা প্রকাশ হয়।

৬. "অচিন্ত্য ভাবে সর্ব্বদা অকর্তা হইয়া স্বধর্ম পালনে যত্নশীল থাকা,"

সংক্ষেপে: নিজের কর্তৃত্ববোধ পরিত্যাগ করে, নিষ্কামভাবে—ভগবানের অনুগ্রহে—নিজের স্বধর্ম পালন করা।

  • অকর্তা হওয়া মানে কর্ম করো, কিন্তু কর্তার ভাব রেখে যোগসূত্র গড়বে না।
  • স্বধর্ম পালনে যত্ন—দায়িত্ব পালন করো, কিন্তু ফলের আশা ত্যাগ করো।

৭. "ভগবান যিনি পতি কৃপা করেন, তিনি ভক্তবৎসল সত্য সর্ব্বদা।।"

সংক্ষেপে: পরম পতি ভক্তের প্রতি সদা করুণাময় ও মমতাশীল—ভক্ত যদি আন্তরিক পতিব্রতা ধারণ করে, ভগবান নিজে করুণায় সাড়া দেন।

  • ঠাকুরের বাণীতে ভক্তবৎসলতা ঈশ্বরের এক উচ্চ গুণ—ভগবান ভক্তকে হারায় না।
  • অন্তিম বিশ্বাস ও আত্মসমর্পণই ভক্তকে ভগবানের নিকট তুলে দেয়।

সংক্ষেপে সারাংশ

পতিব্রতা ধর্ম্ম—শ্রীশ্রী রামঠাকুরের দৃষ্টিতে—হচ্ছে আত্মার ঊর্ধ্বগতির পথ: সংসারের মায়ার মাঝেও জীবকে ভগবানের পত্রে সাম্যবদ্ধ করা; কর্তৃত্ববোধ ত্যাগ করে, নিষ্কামভাবে স্বধর্ম পালন করে, ভগবতার চরণে সম্পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করাই শেষ কথা।

লেখক ও ব্যাখ্যাকার: সুব্রত মজুমদার।
এই ব্যাখ্যা প্রকাশে অন্তর্ভুক্ত গ্রন্থ: “বাণীর আলোকে পথ চলা (Banir Aloke Poth Chala) – Sri Sri Ramthakur-er Potransho-er Byakhya”.
পতিব্রতা ধর্ম্ম — শ্রীশ্রী রামঠাকুরের বাণীর আলোকে ব্যাখ্যা

পতিব্রতা ধর্ম্ম — শ্রীশ্রী রামঠাকুরের বাণীর আলোকে ব্যাখ্যা

লেখাঃ সুব্রত মজুমদার — "বাণীর আলোকে পথ চলা (Banir Aloke Poth Chala) – Sri Sri Ramthakur-er Potransho-er Byakhya"

সর্ব্বদাই নাম করিতে থাকুন, নামই সকল অভাবে দূর করে। গুরু চিন্তা দিবানিশি করিলে তাহার ব্রহ্মপদভাণ্ড হয়, কোন অভাব থাকে না, অপার আনন্দই পাইয়া থাকে।

- শ্রী শ্রী রামঠাকুর

প্রারম্ভিক বিষয়

এই পৃষ্ঠাটি শ্রীশ্রী রামঠাকুরের দর্শন ও বাণীর সূক্ষ্ম ভাবধারায় "পতিব্রতা ধর্ম্ম"—এর প্রতিটি পঙ্‌ক্তির ব্যাখ্যা—ধাপে ধাপে উপস্থাপন করে।

১. "পতি অর্থাৎ ভগবানকে লাভ করিতে যে ধর্ম্ম আচরণ, পতিব্রতা ধর্ম্ম তাহাই অপরাপর নাম সাবিত্রীব্রত, সত্যব্রত হন।"

সংক্ষেপে: পতি এখানে কেবল সংসারিক স্বামী নয়—পরম পতি ভগবান। পতিব্রতা ধর্ম্ম মানে সমগ্র আত্মার দ্বারা ঈশ্বরকে নিবেদন ও সঁর্পণ করা।

  • পতিব্রতা = আত্মসমর্পণ, ভগবানের চরণে অখণ্ড আনুগত্য।
  • সাবিত্রীব্রত ও সত্যব্রত—ঐতিহাসিক ও আধ্যাত্মিক প্রতীক; সত্যের প্রতি অটল থাকা, পতি-ভক্তির প্রমাণ।
  • ঠাকুরের দৃষ্টিতে, পতিব্রতা হল চিরস্থায়ী সুখের মূল।

২. "সংসার অভাবের স্মারক, মনের সুখ দুঃখ উদয় হয় তাতে,"

সংক্ষেপে: সংসার মানুষের জীবনে অভাব ও অসম্পূর্ণতার প্রতিচ্ছবি—যার ফলে মন অনবরত সুখ ও দুঃখের ওঠানামা করে।

  • সংসার মানেই পরিবর্তনশীলতা—অপ্রতুলতা ও ক্ষণস্থায়ী প্রাপ্তি।
  • ঠাকুরের বাণীতে সংসারকে মানব-মনকে পরিক্ষার ক্ষেত্র বলা হয়েছে।

৩. "মনের তৃপ্তির জন্য সংসার মায়াপাশে বাস দ্বন্দ্ব সংঘাতে।"

সংক্ষেপে: মানুষ তৃপ্তি খুঁজতে গিয়ে মায়ার জালে জড়ায়; সেই মায়া হলো দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের উৎস।

  • মায়া = প্রদর্শিত সুখ-অভ্যাস; কিন্তু মায়া ভিতরে দ্বন্দ্ব তৈরি করে।
  • পতিব্রতা হল সেই মায়াজালেই থেকেও ভগবানকে কেন্দ্র করে মনকে স্থির করা।

৪. "যতকাল বাস কেবলই জন্ম মৃত্যু, সুখ দুঃখ, শান্তি অশান্তি কোলাহল,"

সংক্ষেপে: সংসারে থাকা মানেই রব—জন্ম-মৃত্যুর চক্র, সুখ-দুঃখ, শান্তি-অশান্তি—এই সব চলতেই থাকবে যতক্ষণ মন মায়ায় আবদ্ধ।

  • মন যে দিকে আকৃষ্ট হয়, জীবনও সেই রং ধারণ করে—ঠাকুরের কথা অনুসারে।
  • পতিব্রতার মাধ্যমে এই কোলাহলকে অন্তরে প্রশমিত করা যায়।

৫. "এসব থেকে পরিত্রাণের উপায় পতি নামে সব সঁপি আশ্রয় শ্রীপদযুগল।"

সংক্ষেপে: মুক্তির একমাত্র পথ—পরম পতি (ভগবান) নামে আপনার সব দুঃখ-ভয়-আকাঙ্ক্ষা সঁপে দেওয়া।

  • আত্মসমর্পণকেই পতিব্রতার কেন্দ্রীয় অনুশাসন মনে করা হয়।
  • শ্রীপদযুগল—ভগবানের পল্লব: শ্রীচরণে আশ্রয় নিলে ভক্তকে কৃপা প্রকাশ হয়।

৬. "অচিন্ত্য ভাবে সর্ব্বদা অকর্তা হইয়া স্বধর্ম পালনে যত্নশীল থাকা,"

সংক্ষেপে: নিজের কর্তৃত্ববোধ পরিত্যাগ করে, নিষ্কামভাবে—ভগবানের অনুগ্রহে—নিজের স্বধর্ম পালন করা।

  • অকর্তা হওয়া মানে কর্ম করো, কিন্তু কর্তার ভাব রেখে যোগসূত্র গড়বে না।
  • স্বধর্ম পালনে যত্ন—দায়িত্ব পালন করো, কিন্তু ফলের আশা ত্যাগ করো।

৭. "ভগবান যিনি পতি কৃপা করেন, তিনি ভক্তবৎসল সত্য সর্ব্বদা।।"

সংক্ষেপে: পরম পতি ভক্তের প্রতি সদা করুণাময় ও মমতাশীল—ভক্ত যদি আন্তরিক পতিব্রতা ধারণ করে, ভগবান নিজে করুণায় সাড়া দেন।

  • ঠাকুরের বাণীতে ভক্তবৎসলতা ঈশ্বরের এক উচ্চ গুণ—ভগবান ভক্তকে হারায় না।
  • অন্তিম বিশ্বাস ও আত্মসমর্পণই ভক্তকে ভগবানের নিকট তুলে দেয়।

সংক্ষেপে সারাংশ

পতিব্রতা ধর্ম্ম—শ্রীশ্রী রামঠাকুরের দৃষ্টিতে—হচ্ছে আত্মার ঊর্ধ্বগতির পথ: সংসারের মায়ার মাঝেও জীবকে ভগবানের পত্রে সাম্যবদ্ধ করা; কর্তৃত্ববোধ ত্যাগ করে, নিষ্কামভাবে স্বধর্ম পালন করে, ভগবতার চরণে সম্পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করাই শেষ কথা।

লেখক ও ব্যাখ্যাকার: সুব্রত মজুমদার।
এই ব্যাখ্যা প্রকাশে অন্তর্ভুক্ত গ্রন্থ: “বাণীর আলোকে পথ চলা (Banir Aloke Poth Chala) – Sri Sri Ramthakur-er Potransho-er Byakhya”.
পতিব্রতা ধর্ম — শ্রীশ্রী রামঠাকুরের বাণীর আলোকে ব্যাখ্যা

পতিব্রতা ধর্ম

অনন্যাশ্চিন্তয়ন্তো মাং যে জনা পর্য্যুপাসতে।
তেষাং নিত্যাভিযুক্তানাং যোগক্ষেমং বহাম্যহম॥

অর্থঃ — যারা একনিষ্ঠচিত্তে কেবল আমাকেই স্মরণ ও উপাসনা করে, তাদের যোগক্ষেম (অর্থাৎ প্রয়োজন ও রক্ষা) আমি নিজেই বহন করি।

এই যে ভাব — ইহা ছাড়া আর কিছুই চায় না, জানে না, অন্য কিছুর দরকার নাই। মহা ঐশ্বর্য্যের প্রলোভনের আবাহনকেও তুচ্ছ করে। তাহাকেই পতিব্রতা ধর্ম্ম বলে।

গুরু ভাবনা ও পতিব্রতা

শাস্ত্রে বলা হয়েছে — “গুরু ধ্যানং তথা নিত্যং দেহী ব্রহ্মময়ো ভবেৎ”। অর্থাৎ, যিনি নিত্য গুরু ধ্যান করেন, তিনি ব্রহ্মময় হয়ে ওঠেন।

গুরু ব্রহ্মা গুরুঃ বিষ্ণু গুরুর্দ্দেব গুরুর্গতিঃ।
গুরুরেব পরং ব্রহ্ম তস্মৈ শ্রীগুরুবে নমঃ॥

এই মন্ত্রগুলি পতিব্রতা ধর্মের মূল চেতনা জাগাইয়া রাখে — গুরুতে, ভগবানে, পরম প্রেমে একনিষ্ঠ থাকা। এই ভাবই অদ্বৈত ভাব, যেখানে গুরু ও ঈশ্বর একাত্ম।

বেদবাণী (১ / ৫৭)

“অর্থাৎ অদ্বৈত ভাব হৃদয়ে রাখা।” — এই বাণী শ্রীশ্রী রামঠাকুরের একান্ত দর্শন প্রকাশ করে। তিনি পতিব্রতা ধর্মকে শুধু সংসারধর্ম নয়, বরং আত্মা ও পরমাত্মার অবিচ্ছেদ্য ঐক্যের পথ হিসেবে দেখিয়েছেন।

সর্ব্বদাই নাম করিতে থাকুন, নামই সকল অভাবে দূর করে। গুরু চিন্তা দিবানিশি করিলে তাহার ব্রহ্মপদভাণ্ড হয়, কোন অভাব থাকে না, অপার আনন্দই পাইয়া থাকে।

- শ্রী শ্রী রামঠাকুর

সারাংশ: পতিব্রতা ধর্ম মানে একনিষ্ঠ ভক্তি, অদ্বৈত চেতনা ও গুরু-ভগবানের চরণে সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ। শ্রীশ্রী রামঠাকুরের মতে, এই পথেই সংসারের দ্বন্দ্ব থেকে মুক্তি ও পরম আনন্দ লাভ সম্ভব।

লেখক: সুব্রত মজুমদার
গ্রন্থসূত্র: “বাণীর আলোকে পথ চলা (Banir Aloke Poth Chala) – Sri Sri Ramthakur-er Potransho-er Byakhya”
শ্রীপদযুগল—ভগবানের পল্লব: শ্রীচরণে আশ্রয় নিলে ভক্তকে কৃপা প্রকাশ হয় শ্রীপদযুগল—ভগবানের পল্লব: শ্রীচরণে আশ্রয় নিলে ভক্তকে কৃপা প্রকাশ হয় Reviewed by শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ নমঃ(SriSriramthakur O gan Ganer vhovon Youtube channel) on October 19, 2025 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.