বেদবাণী তৃতীয় খণ্ড,শ্রীশ্রীরামঠাকুর,বেদবানী পত্রাংশ নং -
(১২৮) ভগবানের নিকট সর্ব্বদা থাকিতে চেষ্টা করাই ধর্ম্ম। প্রাক্তন বশত: নানান দেশ ঘুরিয়া নানান উপাধি ধারণ করিয়া বেড়াইয়া থাকে। কাহারও কোন ক্ষমতা নাই। যা’র যা’র যে যে প্রারব্ধ (ভাগ্য) ঘটিবে তাহা কেহই ত্যাগ করিতে কি রাখিতে পারে না, ভ্রমবশত: কর্ত্তাভিমানে মুগ্ধ হইয়ক এই জগতে নানান বাসনায় বন্ধন হইয়া থাকে। মরভূমে যেমন চতুর্দ্দিকেই জল ভ্রম হয়, অন্বেষণ দ্বারা ক্লান্তি বৈ আর পিপাসা লাঘব হয় না, ইহাও তাহাই। ইদং তীর্থমিদং তীর্থ আপন সুখের পিয়াসে ঘুরিয়া বেড়ায় কিন্তু কোনই উপায় হইতে আশা পরিপূর্ণ হয় না। (সর্ব্বতীর্থ ময়ং দেবী শ্রীগুরুপদ সেবনাৎ) যাহা হউক, যা’র যাহা প্রাক্তনে আছে তাহা ঘটিবেই, তা’র দেবার জন্য চেষ্টা করা বৃথাই আড়ম্বর মাত্র। …আপনি যদি শ্রীমানদের জন্য কোটি কোটি সংস্থান করিয়া যান, ভাগ্য না থাকিলে তাহাও তাহারা ভোগ করিতে পাইবে না। আর যদি আপনি কিছুই না করিয়া যান তাহা হইলেও ভাগ্যে থাকিলে তাহারা পরম আনন্দে জগতের ধন জন বৈভব সকলি প্রতিষ্ঠা করিতে পারিবেন, সন্দেহ নাই। যাহা হউক, ভগবানের নামে পড়িয়া থাকিলে ভগবান কোন অভাব রাখেন না, যেহেতুক [তিনি] স্বভাবময়।
“ভাগ্যের উপরে নয়—ভগবানের উপরে ভরসা রাখো | শ্রীশ্রী রামঠাকুরের বেদবাণী ব্যাখ্যা (পত্রাংশ ১২৮)”
“ভাগ্য, প্রারব্ধ, উপাধি — এ সবই ভ্রম।
ভগবানের নামে আশ্রয়ই একমাত্র পথ।”
আজ আমরা শুনব শ্রীশ্রী রামঠাকুরের বাণী,
‘বেদবাণী তৃতীয় খণ্ড, পত্রাংশ নং ১২৮’ থেকে —
এবং জানব, কীভাবে ভগবানের নামে স্থিত হয়ে
মানবজীবনের ভয় ও ভ্রমকে জয় করা যায়।
পরম প্রেমময় শ্রীশ্রী রাম ঠাকুরের লীলা অমৃত: বড় ভাল আম, বড় মিষ্ট আম সুধীর আনছে - দম্ভের দান, দণ্ডের সমান
“ভগবানের নিকট সর্ব্বদা থাকিতে চেষ্টা করাই ধর্ম্ম।
প্রাক্তন বশত: নানান দেশ ঘুরিয়া নানান উপাধি ধারণ করিয়া বেড়াইয়া থাকে।
কাহারও কোন ক্ষমতা নাই। যা’র যা’র যে যে প্রারব্ধ ঘটিবে, তাহা কেহই ত্যাগ করিতে কি রাখিতে পারে না...
ভ্রমবশত: কর্ত্তাভিমানে মুগ্ধ হইয়া, এই জগতে নানান বাসনায় বন্ধন হইয়া থাকে।
...ভগবানের নামে পড়িয়া থাকিলে ভগবান কোন অভাব রাখেন না, যেহেতুক তিনি স্বভাবময়।”
বিজয়া দশমী: বাংলার জয়ধ্বনি ও ভগবান রামের আশীর্বাদ
(From the book “বাণীর আলোকে পথ চলা – Sri Sri Ramthakur-er Potransho-er Byakhya”)
1️⃣ ভগবানের নিকট থাকাই ধর্ম:
ঠাকুর বলছেন, মানবজীবনের আসল সাধনা হল — সর্বদা ঈশ্বরস্মরণে থাকা। বাহ্যিক
উপাধি, সমাজে স্থান বা নাম নয়, প্রকৃত ধর্ম মানে ভগবানের সান্নিধ্যে থাকা।
2️⃣ প্রারব্ধ বা ভাগ্য অনিবার্য:
যা পূর্বকর্মে নির্ধারিত, তা ঘটবেই। কেউ তাকে পরিবর্তন করতে পারে না। তাই অতিরিক্ত চিন্তা বা অহংকার অর্থহীন।
3️⃣ কর্তৃত্ববোধ ও ভ্রম:
মানুষ ভাবে সে নিজেই সব করছে — কিন্তু এই ভাবই বন্ধনের কারণ। মরুভূমির মরীচিকার মতো, যা দেখতে জল, কিন্তু আসলে শূন্য।
4️⃣ তীর্থ থেকে তীর্থভ্রম নয়, গুরুপদই সর্বতীর্থ:
ঠাকুর বলেন — “সর্বতীর্থময়ং দেবী শ্রীগুরুপদ সেবনাৎ”। অর্থাৎ, প্রকৃত তীর্থ ভ্রম নয়, বরং গুরুপদ সেবাই সব তীর্থের ফল।
5️⃣ অর্থসম্পদ নয়, ভগবানের কৃপা:
আপনি যতই ধনসম্পদ রেখে যান, ভাগ্যে না থাকলে সন্তানরা তা পাবে না। আবার কিছু না রেখেও যদি ভাগ্যে থাকে, তারা প্রতিষ্ঠিত হবে।
তাই মূলমন্ত্র — “ভগবানের নামে থাকিলে ভগবান কোন অভাব রাখেন না।”
6️⃣ ভগবান স্বভাবময়:
তিনি নিজেই পূর্ণ। তাঁর স্মরণে যে থাকে, তার অভাব থাকতে পারে না, কারণ ঈশ্বরই সমস্তের আশ্রয় ও পরিপূর্ণতা।
“আমরা নিজের ভাগ্য নিয়ে যত চিন্তা করি,
ততই ঈশ্বর থেকে দূরে সরে যাই।
ভাগ্য নয়—ভগবানের ওপর বিশ্বাস রাখুন।
তাঁর নামে থাকুন, তাহলেই সব অভাব পূর্ণ হবে।”
✨ Display Text:
🕉️ “গুরুকৃপাহি কেবলম্…”
📘 বাণীর আলোকে পথ চলা – Sri Sri Ramthakur-er Potransho-er Byakhya
✍️ Written by Subrata Majumder
“যদি শ্রীশ্রী রামঠাকুরের বাণী ও ব্যাখ্যা আপনার হৃদয় স্পর্শ করে,
তাহলে ভিডিওটি Like, Share ও Subscribe করুন।”
🔔 “পবিত্র বাণীর আলো ছড়িয়ে দিতে পাশে থাকুন।”
📌 Subscribe Now | শেয়ার করুন | জয় রাম ঠাকুর!

No comments: