গুরু মাত্রই সদগুরু নন, তবে সকল সদগুরুই কার্যত এক ভগবৎ স্বরূপ।সত্যিকারের সদগুরু হলেন সেই, যিনি নিজের মুক্ত অবস্থান থেকে শিষ্যকে মোক্ষপথে পরিচালিত করতে পারেন।
🌺 বেদবাণী ১৪ 🌺
বেদবাণী:
বেদবাণী আত্মস্থ করার বিষয় ভক্ত যারা করেন আস্বাদন,
ভগবানের কথা প্রাণমন দিয়ে গ্রহণ করাটাই ভক্তের আরাধন।
বিচার যুক্তি আর তর্কের খাতিরে বিদ্বান পন্ডিতগণ যাতে বিদ্যা ঝাড়ে,
এসব কেবলই কালক্ষেপণ, প্রাপ্তি শূন্য, জন্ম জন্মান্তরের কৃচ্ছসাধন তপস্যার ঘরে।
বেদবাণী শ্রেষ্ঠ অধ্যাত্ম জ্ঞান ভান্ডার গুরুদেব শ্রীরামঠাকুরের বাণীর সম্ভারে।।
— শ্রীশ্রী রামঠাকুর
💠 ব্যাখ্যা 💠
এই বেদবাণীতে শ্রীশ্রী রামঠাকুর ভক্তির প্রকৃত সারমর্ম ব্যাখ্যা করেছেন। ভক্ত সেইজন, যিনি যুক্তি বা তর্ক নয়, হৃদয়ের গভীরতা থেকে ভগবানের বাণী গ্রহণ করেন। তর্ক ও বিদ্যাবিতণ্ডা কেবল জ্ঞান-অহংকার বাড়ায়, কিন্তু ভক্তির পথে সত্য উপলব্ধি আসে যখন মানুষ গুরুদেবের বাণীকে আত্মস্থ করে। বেদবাণী আসলে এক অমৃত জ্ঞানধারা — যা আত্মার মুক্তির পথ নির্দেশ করে।
📖 সূত্র:
বাণীর আলোকে পথ চলা (Banir Aloke Poth Chala) – শ্রীশ্রী রামঠাকুরের েদবাণী ব্যাখ্যা
লিখেছেন: শ্রী সুব্রত মজুমদার
🌼 জয় গুরু 🌼 জয় রাম ঠাকুর 🌼
🌸 মহাপ্রসাদম 🌸
জয় রাম জয় রাম জয় গোবিন্দ
বেদবাণী:
১| গুরু মাত্রই সদগুরু নন, তবে সকল সদগুরুই কার্যত এক ভগবৎ স্বরূপ।
সংসারে শিষ্যের বিত্ত ও সম্পদহরণকারী গুরুরই আধিক্য,
সন্তাপহরণকারী গুরুর বড়ই অভাব।
গুরু মুক্ত পুরুষ না হলে আশ্রিতের বম্ধনমুক্ত করবেন কি প্রকারে?
জয় রাম জয় রাম জয় গোবিন্দ
💠 ব্যাখ্যা 💠
এই বেদবাণীতে গুরু-তত্ত্বের গভীর সত্য উন্মোচিত হয়েছে। সব গুরু সদগুরু নন — কারণ সত্যিকারের সদগুরু হলেন সেই, যিনি নিজের মুক্ত অবস্থান থেকে শিষ্যকে মোক্ষপথে পরিচালিত করতে পারেন। ভৌতিক সম্পদ লোভে যারা গুরুবেশে মানুষের ধন বা বিশ্বাস হরণ করেন, তাঁরা আসলে অজ্ঞানতায় আবদ্ধ। সদগুরু সেই, যিনি শিষ্যের “সন্তাপহরণকারী” — অর্থাৎ, দুঃখ, মোহ ও সংসার-বন্ধন থেকে মুক্তি দেন। গুরু মুক্ত না হলে শিষ্যের মুক্তি কখনো সম্ভব নয়। তাই বলা হয়, “গুরুরূপে ভগবানের আবির্ভাব।”
📖 সূত্র:
বাণীর আলোকে পথ চলা (Banir Aloke Poth Chala) – শ্রীশ্রী রামঠাকুরের পদবাণীর ব্যাখ্যা
লিখেছেন: শ্রী সুব্রত মজুমদার
🌼 জয় গুরু 🌼 জয় রাম ঠাকুর 🌼

No comments: