🌼 দয়াল গুরু শ্রীশ্রী রামঠাকুরের বাণী ও লীলা 🌼
“বাণীর আলোকে পথ চলা (Banir Aloke Poth Chala)” – Sri Sri Ramthakur-er Potransho-er Byakhya
Compiled & Explained by : Subrata Majumder
শ্রীশ্রী রামঠাকুর — বংশের বড়: এক স্মৃতিকথা
জয় রাম • জয় গুরু • জয় গোবিন্দ । শুভ সন্ধ্যা । 🙏🙏🙏
আমি বংশের বড়, আর আমি জানলাম না তুমি বিয়া করছ ?
— শ্রীশ্রী রামঠাকুর
শ্রীশ্রী রামঠাকুর নিজ বংশধর সম্পর্কে মন্তব্য করিতেন — নিচে একটি উদাহরণ দেওয়া হল। অনেক উদাহরণের মধ্যে থেকে এটি নেওয়া হয়েছে যা মানবিক সহজাত রুচি ও সততা প্রকাশ করে।
ঘটনাপ্রবাহ
শ্রীশ্রী রামঠাকুরের বড় দুই ভাই লোকান্তরিত (বহুদূরে প্রসারিত) হয়েছেন। তৎসময়ে ঠাকুর নিজে ছিলেন বংশের বড়। একদিন ঠাকুরের দ্বিতীয় জ্যেষ্ঠ সহোদর ভ্রাতা শ্রীমন জগবন্ধু চক্রবর্ত্তীর কনিষ্ঠ পুত্র, শ্রীযুক্ত বীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্ত্তী, বিবাহোত্তর সস্ত্রীক (স্ত্রীকে নিয়ে) ঠাকুর দর্শনে যান।
উভয়ে ঠাকুরকে প্রণাম করার পর শ্রীশ্রী রামঠাকুর বললেন —
“আমি বংশের বড়, আর আমি জানলাম না তুমি বিয়া করছ? বিয়ার নিমন্ত্রণপত্র কার নামে ছাপাইছ?”
এই সরল ও সরাসরি প্রশ্নে ঠাকুরের আন্তরিকতা ও পারিবারিক সূক্ষ্ম মূল্যবোধ প্রকাশ পায় — ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও পারিবারিক গুর্ত্তব নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গিটি অত্যন্ত মানবিক ও অনুপ্রেরণাদায়ক।
উক্তি সূত্র: শ্রী বিশ্বনাথ চক্রবর্ত্তী, "কুইজ অন শ্রীরামঠাকুর", পৃষ্ঠা ৪১।
বিশেষ সংযুক্তি: এই ব্লগপোস্টটি প্রস্তুত করার সময় রেফারেন্স ও ব্যাখ্যার সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে — “বাণীর আলোকে পথ চলা (Banir Aloke Poth Chala) – Sri Sri Ramthakur-er Potransho-er Byakhya” — Subrata Majumder।
দয়াল গুরু শ্রীশ্রী রামঠাকুরের — শ্রীহস্তে লিখিত বেদবাণী
জয় গুরু । গুরু কৃপাহি কেবলম্ ।
লোক সকল অখণ্ড, অব্যয়, অকল্প, সম্পদ হইতে খণ্ড খণ্ড বর্ণ বিবর্ণ অস্থায়ী পদের তত্ত্ব না জানিয়াই উপস্থিত—
ব্যাস কাশীতে পূর্বপারে মরভূমে আটক পড়িয়া করম বিপাকে গতাগতি পুনঃ পুনঃ ভোগে ভুগিয়া, ভাগ্য হইতে যাহা ভোগ হয় তাহাতেই মুগ্ধ হইয়া সত্য যে অপরিবর্তনশীল তাকে ভুলিয়া যায় এবং অপরিচিত হেতু হইয়া পরে বলিয়াই বৃথা আশায় বৃথা কর্ম্মপাশে আবদ্ধ হইয়া সঙ্কর ঋণ দায়ীতে দেনা পাওনায় জড়িয়া পরে।
মায়ের কোলে যখন উত্তানশায়ী ছিলাম তখন তো কোথায়ও যাই নাই এবং কিছু চাইও নাই, অভাব কি ভাবের পরিচয়ও ছিল না। তাহা ছাড়িয়া স্বয়ং কর্ত্তা হইয়া এই ঘোরতর অভাবের সাগরে গতাগতি চাহিয়াও পূর্ণ হয় না, অভাবেরই প্রচার হইয়া থাকে। এই সকলই মনের জল্পনা কল্পনা জানিবে।
ঘুমায় যখন তখন কেহই থাকে না, কোন প্রয়োজনও থাকে না। যে থেকে সে সত্য জানিবে, তাহার কোন ভাব অভাব নাই। তার কারণ, মন্ থাকে না। মনেই ভুলাইয়া সত্যকে ছাড়িয়া অসত্যবস্তুতে আকর্ষণ করিয়া থাকে।
— শ্রীশ্রী রামঠাকুর
উৎস: বেদবাণী, ১/৩৪৪।
প্রকাশনী নোট: এই পোস্টে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন্তর্ভুক্ত — “বাণীর আলোকে পথ চলা (Banir Aloke Poth Chala) – Sri Sri Ramthakur-er Potransho-er Byakhya” — Subrata Majumder।
ফিচার ইমেজ (প্রস্তাব): ঠাকুর বা বেদবাণীর শ্রুতিলিপির বাউনড স্কেচ / প্রাচীন পাণ্ডুলিপির ক্ষুদ্র অংশ। (আপনি চাইলে এখানে আপনার ইমেজ URL বসান)
SEO / শেয়ারিং তথ্য (প্রস্তাব):
- SEO Title: দয়াল গুরু শ্রীশ্রী রামঠাকুরের — শ্রীহস্তে লিখিত বেদবাণী (বেদবাণী ১/৩৪৪)
- Meta Description: শ্রীশ্রী রামঠাকুরের অন্তর্দৃষ্টি—মনের আবিঘাত ও অব্যয়ের ভাণ্ডার সম্পর্কে বেদবাণী (বেদবাণী ১/৩৪৪)। জয় গুরু, গুরু কৃপাহি কেবলম্।
- Suggested Labels / Tags: শ্রীশ্রীরামঠাকুর, বেদবাণী, গুরুবাণী, আত্মচিন্তা, ধর্মীয় লেখা
- Suggested Hashtags
শ্রীশ্রী রামঠাকুরের নির্দেশ — মহাপ্রসাদ ও যজ্ঞবিধান
জয়রাম 卐 জয়গুরু 🌼 শুভ সকাল
দিব্য নির্দেশ:
শ্যামা দা জানতে চাইলেন —
“পূজা অন্তে তিনদিন যজ্ঞ করতে হবে কি?”
শ্রীশ্রী রামঠাকুর বললেন:
“হ্যাঁ, তিনদিন বিধান অনুযায়ী যজ্ঞ হইব। যজ্ঞ কে করবেন, পরে জানামু।”
যোগেশ বাবু জিজ্ঞাসা করলেন —
“মহাপ্রসাদ কয় দিন বিতরণ করতে হবে?”শ্রীঠাকুর বললেন:
“তিন দিন।”অখিল বাবু প্রশ্ন করলেন —
“মহাপ্রসাদ কিসের হবে?”উত্তরে শ্রীঠাকুর বললেন:
“১৭, ১৮ ও ১৯ চৈত্র প্রসাদ বিতরণ করবেন। মহাপ্রসাদ সচরাচর যা দিয়া কইরা থাকেন, তা দিয়াই হইব। ফল-ফলারি, মালসা ভোগ, খিচুড়ি ও তরকারি। সাধ্যাতিরিক্ত কিছু করবেন না। প্রসাদ থাইকা যেন কেহ বঞ্চিত না হন — তা হইলে মহা অনর্থ ঘটব।”
ঠাকুরের বিশেষ নির্দেশ:
- এই বিষয়ে খুব সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হইব।
- কোন কারণেই বিরক্ত প্রকাশ করবেন না।
- এক ডেগ মহাপ্রসাদ, তরকারি, ফল-ফলারি আহনিশি মজুত রাখবেন।
- খিচুড়ি ও তরকারি সব সময় চুলার উপর রাখবেন, যেন গরম থাকে।
- অসময়ে যাহারা আসিবে, তাহাদের হাসিমুখে প্রসাদ দিবেন।
- এইভাবে বহু পরীক্ষা চলিবে — সাবধান।
- গুরুদায়িত্বশীল কর্মীরা সারারাত প্রসাদ দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকিবেন।
- প্রভাতে অবশিষ্ট প্রসাদ জলে বিসর্জন দিবেন।
“মহাপ্রসাদ সচরাচর যা দিয়া কইরা থাকেন, তা দিয়াই হইব। ফল-ফলারি, মালসা ভোগ, খিচুড়ি ও তরকারি।”
— শ্রীশ্রী রামঠাকুর
উৎস: শ্রী ফনীন্দ্র কুমার মালাকার লিখিত “রামভাই স্মরণে”, পৃষ্ঠা ৮৪।
বিশেষ সংযুক্তি: এই ব্লগপোস্টের অন্তর্ভুক্ত ব্যাখ্যা রচনায় সহায়তা করেছে — “বাণীর আলোকে পথ চলা (Banir Aloke Poth Chala) – Sri Sri Ramthakur-er Potransho-er Byakhya” — Subrata Majumder।
ফিচার ইমেজ প্রস্তাব: প্রসাদ বিতরণ বা যজ্ঞের পবিত্র দৃশ্যের বিমূর্ত চিত্র।
🔹 SEO তথ্য (প্রস্তাব):
- SEO Title: শ্রীশ্রী রামঠাকুরের নির্দেশ — মহাপ্রসাদ ও যজ্ঞবিধান
- Meta Description: শ্রীশ্রী রামঠাকুরের পবিত্র নির্দেশ: “মহাপ্রসাদ সচরাচর যা দিয়া কইরা থাকেন, তা দিয়াই হইব।” তিনদিনের যজ্ঞ ও প্রসাদ বিতরণ বিষয়ে ঠাকুরের দিকনির্দেশনা।
- Labels: শ্রীশ্রীরামঠাকুর, বেদবাণী, প্রসাদ, যজ্ঞ, গুরুবাণী, রামভাই স্মরণে
- Hashtags: #শ্রীশ্রীরামঠাকুর #জয়গুরু #মহাপ্রসাদ #যজ্ঞবিধান #বাণীরআলোকে
জয়রাম । জয়গুরু । 🌼

No comments: