💥💥 একটা প্রচলিত কথা আছে - বিপদ কখনও একা আসে না।শ্রীশ্রী ঠাকুর রামচন্দ্র 🌹
সেই কথাটা আমার উপর ফলিল।পূর্ব বর্ণিত ঘটনার অল্পদিন পরেই আমার মাতৃবিয়োগ ঘটিল, সঙ্গে সঙ্গেই আমাকে এক নবপ্রবর্তিত কাজে নিয়োগ করিয়া G. P. O. তে বদলি করা হইল। ডিউটি আরম্ভ হইল বেলা ২টা হইতে রাত্রি ১০টা। কাজেই ১টায় বাড়ী হইতে বাহির হইতে হইতে আর বাড়ী ফিরিতে রাত্রি ১১টা বাজিয়া যাইত। বেলতলার বাসা হইতে যাতায়াতের অসুবিধা হইত।
সেই হেতু রসা রোডের সংলগ্ন মহিম হালদার স্ট্রীটে একটি বাড়ী ঠিক করিয়া সেইখানে চলিয়া গেলাম। ইহার পরই আমার বড় ছেলে এক মোটর গাড়ীর নীচে পড়িয়া ভীষণভাবে আহত হইল। এই সব উপর্যুপরি ঘটনার তাড়নায় পড়িয়া মনটা খুব খারাপ হইয়া পড়িল। তার উপর গুরুদশা। ছেলের গাড়ী চাপা পড়া একটা অভাবনীয় ঘটনা।
সেতু তখন ছোট্ট ছেলে নয়: বেশ বড় হইয়াছে, কলেজে তৃতীয় বার্ষিক শ্রেণীতে পড়ে। কলেজে আসা যাওয়া ছাড়া বড় একটা বাইরে থাকে না। কচিৎ কখন গেলেও তাহার মা'র নিকট বলিয়াই যাইত। বিশেষ কারণ না থাকিলে বাড়ীর সন্ধ্যা কীর্ত্তণ-আরতির সময় হাজির থাকিতই। একদিন রাত্রি প্রায় ১১টায় অফিস হইতে বাসায় ফিরিয়া শুনিলাম যে শ্রীমান তাহার চাঁদপুরের এক পুরাতন বন্ধুর সহিত বেড়াইতে বাহির হইয়াছে তখনও ফিরে নাই: সন্ধ্যারতিতেও যোগদান করে নাই।
কলিকাতা শহরে বাড়ীর বাহিরে প্রতি মুহূর্তেই বিপদ। পিতা মাতার মন অমঙ্গলের আতঙ্কেই উদ্বেল। অবশ্য তৎকালে কলিকাতার রাস্তাঘাট বর্তমানের ন্যায় এত বিপদ-সস্কুল ছিল না। তাহা হইলেও অমঙ্গল চিন্তার হাত হইতে কিছুতেই রক্ষা পাইতেছিলাম না।
সম্ভাব্য স্থানসমূহে খোঁজ করিয়া কোন প্রকার হদিস না পাইয়া থানা ও বিভিন্ন হাসপাতালে টেলিফোনে অনুসন্ধান করিয়া জানিলাম দুর্গাপ্রসাদ মজুমদার নামে একটি ছেলে মোটর চাপায় আহত হইয়া শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে নীত হইয়াছে। এক ডাক্তারের গাড়ীতেই নাকি চাপা পড়িয়াছে এবং সেই ডাক্তারই তাহার গাড়ীতে করিয়া আনিয়া ভর্তি করাইয়া দিয়া গিয়াছে।
তখনই অক্ষয়দা'র (অক্ষয় কুমার মজুমদার) বাড়ী যাইয়া সকল ঘটনা বলিলাম এবং তাঁহাকে সঙ্গে নিয়া হাসপাতালে গেলাম। দেখিলাম তাহার হাতে পায়ে মাথায় ব্যাণ্ডেজ, সে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়িয়া আছে, তেমন কোন যত্ন নেওয়া হইতেছে না। উপস্থিত ডাক্তারের কাছে সব পরিচয় দিয়া কোন প্রকার একটু ভাল ব্যবস্থা করা গেল।
এই সংবাদ ডাক্তারদা'র কানে পৌঁছিল। পরদিন তিনি হাসপাতালে গিয়া শ্রীমানকে একটি কেবিনের ব্যবস্থা করিয়া দিলেন। যে ডাক্তারের গাড়ীর নীচে চাপা পড়িয়াছে তিনি ঐ হাসপাতালেরই একজন ডাক্তার এবং ডাক্তারদা'র ছাত্র। এই সব যোগাযোগের সংঘটন হওয়ায় চিকিৎসার একটু সুব্যবস্থা করা হইল, দিন রাত্রির জন্য একটি নার্স রাখা হইল। এই দিনই শ্রীশ্রীঠাকুরের কাছে শ্রীমানের প্রাণভিক্ষা ও তাহার মঙ্গল যাচ্ঞা করিয়া এক পত্র দিলাম। তিনি ছিলেন সেই সময় চট্টগ্রামে।
সেবা যত্নে দুর্ঘটনার চতুর্থ দিবসে সংজ্ঞা ফিরিয়া আসিল, কিন্তু ভুল বকিতে আরম্ভ করিল, কাহাকেও চিনিতে পারে নাই। ডাক্তারগণ বলিল যে মস্তিষ্কেই সব চেয়ে বেশী আঘাত লাগিয়াছে। কয়েক দিন হাসপাতাল, বাড়ী আর অফিস করিতে লাগিলাম। কিন্তু ঠাকুরের নিকট হইতে কোন সংবাদ কিংবা চিঠি পাইলাম না। তখন মনে হইতেছিল শ্রীমানের জীবন সংশয়, অথবা প্রাণরক্ষা পাইলেও পাগল হইয়াই থাকিবে। যাহা হউক, তিন সপ্তাহ চিকিৎসার ফলে
কিছু ভাল হইল এবং হাসপাতাল হইতে বাসায় নিয়া আসিলাম।
কিন্তু দুশ্চিন্তার হাত এড়াইতে পারিলাম না। শ্রীমানকে বাড়ীর তিন তলার একটি কোঠায় রাখার ব্যবস্থা করা হইয়াছিল। একদিন দুপুর বেলায় আমি অফিসে, অন্য ছেলেরা ইস্কুলে, আমার স্ত্রী শ্রীমানের ঘরের দরজায় বসিয়া ঠাকুরের চিন্তা করিতেছে এমন সময় তাহার (আমার স্ত্রীর) অনুভূতি হইল কে যেন পিছনে দাঁড়াইয়া আছে। পিছন ফিরিয়া দেখে যে ঠাকুর দাঁড়াইয়া আছেন। ঠাকুরকে দেখিয়াই হতভম্ব হইয়া নিজকে সামলাইয়া নিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন- "ঠাকুর মশায়। হঠাৎ কোথা হইতে আসিলেন? একা একা কি করিয়া আসিলেন, এই বাড়ী ত আপনি চিনেন না, আর ত কোন দিন আসেন নাই।” ঠাকুর যেন রৌদ্রে পুড়িয়া লাল হইয়া গিয়াছেন। ঠাকুর বলিলেন- "স্মরণ করিয়াছেন তাই আসিয়াছি, স্মরন করিলে আর বাড়ী চিনিবার প্রয়োজন হয় না, ঠিকানায়ই বাড়ী চিনাইয়া দেয়।”
ঠাকুরকে সকল ঘটনা সংক্ষেপে নিবেদন করা হইল। কেবল "জানি" কথাটি বলিয়াই ঠাকুর নীরব। শ্রীমানের মাথায় গায়ে হাত বুলাইয়া আশীর্ব্বাদ করিলেন আর বলিলেন- "রাস্তায় হাটার সময় নাম করিতে পার না, তাহা হইলে ত আঘাত লাগিত না।" শ্রীশ্রীঠাকুর তখনই যাওয়ার জন্য ব্যস্ত হইলেন।
আমার স্ত্রীর প্রশ্নের উত্তরে জানাইলেন যে তিনি পূর্ব্বদিন রাত্রিতে ১১ নং আর্ল স্ট্রীটে উঠিয়াছেন, এখন সেই খানেই যাইবেন। তিনি দ্রুত নীচে নামিয়া যাইতে লাগিলেন। ঠাকুর একবার "এখন আসি" বলিলে কাহারও সাধ্য হইত না যে তাহার ব্যতিক্রম করায়। ঠাকুরের সহিত আমার স্ত্রীও দ্রুত নীচে নামিল। এই বাড়ী হইতে বাহির হওয়ার একটিই মাত্র সদর দরজা ছিল। সেই দরজায় বাড়ীওয়ালার ২৫/২৬ বৎসরের একটি ছেলে বসা ছিল। তাহার সহিত আমার স্ত্রীর কোন দিন কথা বলিবার কারণ না ঘটিলেও সেই দিন তাহাকে একখানা ট্যাক্সি ডাকিয়া দিতে অনুরোধ করিল।
সে বলিল যে এই দুপুরের সময় ট্যাক্সি পাওয়া যাইবে না। কিন্তু কথা বলিতে বলিতেই একখানা ট্যাক্সি আসিয়া বাড়ীর দরজায় দাঁড়াইল। ঠাকুর তৎক্ষণাৎই উঠিয়া বসিলেন; আমার স্ত্রী ঠাকুরের হাতে গাড়ী ভাড়ার জন্য দুইটি টাকা দিল। টাকা দুইটি তিনি ড্রাইভারের হাতে তখনই দিয়া গাড়ী চালাইতে বলিলেন। গাড়ী চলিয়া গেল। ছেলেটি অনুসন্ধিৎসু হইয়া আমার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করিল- এই বৃদ্ধ কে, আপনার কি হয়, কখন আসিয়াছেন, আবার এখনই চলিয়া গেলেন কেন? ইত্যাদি ইত্যাদি'। আমার স্ত্রী তাহার প্রশ্নের উত্তর দিতে যাইয়া বলিলেন- ইনি আমার বাবা, আমার ছেলের অসুখ, আধ ঘন্টা আগে তাহাকে দেখিতে আসিয়াছিলেন, আবার এখন অন্যত্র চলিয়া গেলেন।
ছেলেটি বিস্মিত ভাবে আমার স্ত্রীর মুখের দিকে একটু তাকাইয়া থাকিয়া বলিল- ওঁকে ত এই কয় দিনের মধ্যে আর দেখি নাই। আজও এক ঘণ্টার অধিক সময় এই খানেই বসিয়া আছি ভিতরে যাওয়ার সময়ে ত দেখি নাই। আপনার হয়ত সময়ের ভুল হইয়াছে। কতক্ষণ পরে ড্রাইভার ফিরিয়া আসিয়া বলিল- "মা! আমি আপনার বুড়া বাবাকে হারাইয়া ফেলিয়াছি। তিনি গাড়ীতে উঠিয়াই আমার হাতে দুইটি টাকা দিলেন। হাজরা মোড়ে একটা বড় দোকানের সামনে গাড়ী থামাইয়া দোকানে ঢুকিলেন।
অনেকক্ষণ পর্যন্ত তিনি না আসায় দোকানে যাইয়া বুড়া বাবার চেহারার বর্ণনা দিয়া জিজ্ঞাসা করিলাম- "তিনি কোথায়?" তাহারা কিছুই বলিতে পারিল না, কেবল বলিল- এমন লোক কেহ দোকানে আসে নাই।" কুঞ্জ বাবুর বাড়ীতে পর দিন প্রাতে যাইয়া ঠাকুরের বিষয় অনুসন্ধান করিলাম। তাঁহারা স্বামী-স্ত্রী উভয়েই জানাইলেন যে পর্যায়ক্রমে এই ঘরের দরজায় পাহারায় রত আছেন, কাহারও ঘরে যাইবার হুকুম নাই, তিনি গোপনে আছেন। তবে তিনি কাল ঐ সময় ঘরের বাহির হন নাই, ইহা নিশ্চিত। এই হেঁয়ালি আজও হেঁয়ালিই রহিয়া গিয়াছে।
এই ঘটনাটি লিপিবদ্ধ করিবার উদ্দেশ্য আমার আর কিছুই নহে; শ্রীশ্রীঠাকুর অনেক সময় কথাচ্ছলে বলিয়াছেন যে, "যখনই কোন প্রকার প্রসঙ্গ হয় কিংবা স্মরণ হয় তখনই মনে করিবেন আমি সেই স্থানে উপস্থিত আছি, সেই সময়ে ভ্রমশূন্য হইয়া কাজ করিবেন।"
এই বাক্যের সত্যতা প্রমাণের নির্দেশই হইল এই ঘটনা। অবশ্য এই বাক্য দৃঢ় ভাবে হৃদয়ে আঢ্য করিয়া রাখা আমাদের ন্যায় সাধারণ জীবের পক্ষে সহজ-সাধ্য নহে। তাঁহার আশীর্ব্বাদে আমার ছেলে সুস্থ হইয়া উঠিয়াছে এবং মস্তিষ্কেরও সুস্থতা ঘটিয়াছে। এই ঘটনার অল্প কাল পরই আমাকে চট্টগ্রাম বদলি করা হইল।
সেই সময় দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ ভীষণ আকার ধারণ করিয়াছে। চট্টগ্রাম, কলিকাতা প্রভৃতি স্থানে বোমা পড়িতেছে। ঠাকুর সেই সময় আমাদের প্রাণে সাহস দেওয়ার জন্যই মনে হয়, চট্টগ্রাম গেলেন এবং পোষ্টাফিসের দ্বিতলে আমার সরকারী বাস ভবনে অবস্থান করিলেন।
সেই সময় সাইরেণ বাজিলেই আমাদের ট্রেঞ্চে যাইয়া আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ ছিল। একদিন এই প্রকার সাইরেণ বাজিয়াছে, সকলকে ট্রেঞ্চে পাঠাইয়া ঠাকুরকেও ট্রেঞ্চে যাইবার জন্য নিবেদন করিলাম। তিনি বলিলেন- "এই আদেশ আপনাদের জন্য, আমার জন্য না।
আপনারা যান। আমার মাথায় বজ্র পড়িবে, সে বজ্র আজও তৈয়ার হয় নাই। বোমা এখানে পড়িবে না, দুই একটা এদিক সেদিক পড়িবে। যাহারা সত্যকে ধরিয়া সত্যনারায়ণের আশ্রয়ে থাকিবে তাহাদের কিছু হইবে না।" সেই দিন ৩/৪টি বোমা পড়িয়াছে, কিন্তু আমাদের সীমানার মধ্যে একটিও পড়ে নাই। ইহা হইতে বুঝা যায় তিনি আশ্রিতের প্রতি কত দয়ার্দ্র এবং তাহাদের কত ভাবেই না রক্ষা করিয়া থাকেন।
কয়েক দিন অবস্থান করিয়া স্থান ত্যাগ করিলেন। আমাকে নানা কথায় অভয় দিয়া আসিলেন। সেই অভয় বাক্য ভরসা করিয়াই আরও এক বৎসর কাল ঐ স্থানে থাকিয়া ঢাকা বদলি হইলাম। অনেক দিনই বিমান আক্রমণ হইয়াছে এবং বোমা পড়িয়াছে কিন্তু আমি নিরুদ্বেগেই তাঁহার অমোঘ বাক্য ভরসা করিয়া স্থির ছিলাম। আজ এই জীবন সন্ধ্যায়ও যেন তাঁহার অভয় বাণী ভরসা করিয়া শেষ দিন কয়টা কাটাইয়া যাইতে পারি, ইহাই তাঁহার পবিত্র শ্রীচরণ যুগলে প্রার্থনা।
🍂সমাপ্ত 🍂 জয় রাম জয় রাম জয় রাম
শ্রীশ্রী ঠাকুর রামচন্দ্রের অলৌকিক কৃপা ও অভয় বাণী
মূল কাহিনী
একটা প্রচলিত কথা আছে - বিপদ কখনও একা আসে না। সেই কথাটা লেখকের জীবনে সত্য হয়ে দেখা দিল। মাতৃবিয়োগের পরেই তাঁকে নতুন কাজে নিযুক্ত হয়ে G.P.O.-তে বদলি হতে হয়। এদিকে বড় ছেলে দুর্গাপ্রসাদ মজুমদার মোটরগাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হয়। হাসপাতাল, অফিস ও বাড়ির দৌড়াদৌড়ি চলতে থাকে।
এই সময়ে লেখক শ্রীশ্রী ঠাকুর রামচন্দ্রের কাছে ছেলের প্রাণভিক্ষা চেয়ে পত্র পাঠান। ঠাকুর তখন চট্টগ্রামে। হঠাৎ একদিন লেখকের স্ত্রী অনুভব করলেন, কে যেন পিছনে দাঁড়িয়ে আছে। ফিরে তাকিয়ে দেখলেন – ঠাকুর রামচন্দ্র। ঠাকুর বললেন, “স্মরণ করিয়াছেন তাই আসিয়াছি, স্মরণ করিলে আর বাড়ী চিনিবার প্রয়োজন হয় না, ঠিকানায়ই বাড়ী চিনাইয়া দেয়।”
ঠাকুর শ্রীমানের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন – “রাস্তায় হাঁটার সময় নাম করতে পার না? তাহা হইলে ত আঘাত লাগিত না।” এরপর ট্যাক্সিতে চড়ে ঠাকুর চলে যান। কিন্তু ট্যাক্সিচালক পরে জানায়, তিনি ঠাকুরকে হাজরা মোড়ে নামিয়ে দিয়ে খুঁজে পাননি। অথচ চট্টগ্রামে ঠাকুর তখন অন্যত্র অবস্থান করছিলেন। এই ঘটনাটি ঠাকুরের অলৌকিক শক্তির প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হয়।
পরে শ্রীমান ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময়ে ঠাকুর চট্টগ্রামে এসে আশ্রিতদের অভয় দেন – “যাহারা সত্যকে ধরিয়া সত্যনারায়ণের আশ্রয়ে থাকিবে, তাহাদের কিছু হইবে না।” সত্যিই বোমা পড়লেও তাঁদের এলাকায় পড়ে না।
ব্যাখ্যা
এই কাহিনী শুধুমাত্র একটি অলৌকিক ঘটনা নয়; বরং শ্রীশ্রী ঠাকুর রামচন্দ্রের ভক্তদের প্রতি অদৃশ্য কৃপাশক্তির প্রতিফলন। গুরুদেবের প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস এবং স্মরণই ভক্তকে সুরক্ষা দেয় – এ কথা এই ঘটনার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়।
ঠাকুর নিজেই বলেছেন – “যখনই কোন প্রকার প্রসঙ্গ হয় কিংবা স্মরণ হয় তখনই মনে করিবেন আমি সেই স্থানে উপস্থিত আছি।” ভক্তরা যদি এই বাক্যটি হৃদয়ে ধারণ করেন, তবে জীবনের ভয় ও দুশ্চিন্তা দূর হয়।
শিক্ষণীয় দিক
- গুরু বা ঈশ্বরের প্রতি স্মরণশক্তি ও বিশ্বাস আমাদের জীবনের বড় অস্ত্র।
- কঠিন সময়ে মানসিক স্থিরতা ও আস্থা শক্তি দেয়।
- ঠাকুরের আশ্রয় নিলে ভয় ও বিপদে সাহস বজায় থাকে।
- দৈনন্দিন জীবনে নামস্মরণ ও প্রার্থনা আমাদের মনের জোর বাড়ায়।
শেষ স্ক্রিপ্ট
🍂 সমাপ্ত 🍂
জয় রাম জয় রাম জয় রাম

No comments: