আমি বীজমন্ত্রের প্রয়োজন দেখি না – ঠাকুর মহাশয়ের দিব্যবাণী
শ্রীশ্রী ঠাকুরের করুণাকৃপা লাভের আকুল বাসনায় একজন ভক্ত বীজমন্ত্র প্রাপ্তির জন্য গভীর মিনতি জানালেন। তাঁর অন্তর ব্যাকুল হয়ে উঠল গুরুকৃপা পাওয়ার প্রত্যাশায়। সেই সময় ঠাকুর মহাশয় দিব্যদৃষ্টি নিয়ে স্থিরভাবে তাঁর দিকে চেয়ে রইলেন।
ভক্তটি যেন যন্ত্রচালিতের মতো ঠাকুরের পবিত্র পাদপদ্মে মাথা রাখলেন। উঠে দাঁড়াতেই ঠাকুর বললেন—
“আমি আপনরেরে নাম দেওয়ার জন্য বইসা আছি। নাম নেন।”
কিন্তু ভক্তের আকাঙ্ক্ষা বীজমন্ত্র। তিনি বিনয়ের সঙ্গে বললেন— “না, আমি নাম শুনিব না। আমাকে বীজমন্ত্র দিন।”
ঠাকুরের দিব্য ব্যাখ্যা : নাম ও বীজমন্ত্র
“আমি বীজমন্ত্রের প্রয়োজন দেখি না।”
এরপর ঠাকুর কৃপাপূর্বক বোঝালেন— নাম জন্ম-মৃত্যুর অতীত। নামের মধ্য দিয়াই গুরুর কৃপা সর্বক্ষণ বর্ষিত হয়। নামই ভক্তকে ঈশ্বরের দরবারে পৌঁছে দেয়, নামই গুরুর স্বরূপরূপী শক্তি।
এই সুন্দর উপদেশ শোনার পরে ভক্তের অন্তর গলে গেল। তিনি কাতর কণ্ঠে মিনতি করে বললেন—
“আমি নাম নিব।”
ঠাকুর তখন কৃপা করে নাম প্রদান করলেন এবং বললেন—
“এই নামের মধ্যে আমারে পাইবেন।”
ভক্ত তখন তাঁর দেহ-মন-প্রাণ শ্রীগুরুর শ্রীপাদপদ্মে সম্পূর্ণ সমর্পণ করলেন।
গৃহে প্রত্যাবর্তন ও নবজন্ম
দীক্ষালাভের পর গৃহে এসে পিতামাতার চরণবন্দনা করে আশীর্বাদ গ্রহণ করলেন। তিনি লক্ষ করলেন— মাতৃগর্ভ থেকে জন্ম ও সদগুরুর দীক্ষারূপ নবজন্ম—দুটি-ই বৃহস্পতিবার।
রামভাই স্মরণে — ফনীন্দ্রকুমার মালাকার
এই পুরো ঘটনাটি রামভাইকে স্মরণ করে লিখেছেন ফনীন্দ্রকুমার মালাকার। এটি গুরুকৃপা, নামমাহাত্ম্য ও ভক্তির এক অনন্য দৃষ্টান্ত।
🔱 শ্রীশ্রী রামঠাকুরের উপদেশ থেকে শিক্ষাঃ
- নাম সর্বশ্রেষ্ঠ সাধন।
- নামের মধ্য দিয়েই গুরুকৃপা প্রবাহিত হয়।
- দীক্ষা মানেই নবজন্ম।
- সদগুরুর প্রতি সম্পূর্ণ সমর্পণই মুক্তির পথ।
জয় গুরু জয় রাম
জয় পরমদয়াল শ্রীশ্রী ঠাকুর
Reviewed by শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ নমঃ(SriSriramthakur O gan Ganer vhovon Youtube channel)
on
November 14, 2025
Rating:






.jpg)
No comments: