শ্রীশ্রীরামঠাকুরের সংক্ষিপ্ত পরিচয় . মন্নাথঃ শ্রী জগন্মাথ্যেমদগুরু; শ্রী জগৎগুরু মমত্মা সর্ব্বভূতাত্মা তষ্মৈশ্রীগুরুবে নমঃ ।।
শ্রীশ্রী রামঠাকুরের সংক্ষিপ্ত পরিচয়
মন্নাথঃ শ্রী জগন্মাথ্যেমদগুরু; শ্রী জগৎগুরু
মমত্মা সর্ব্বভূতাত্মা তষ্মৈশ্রীগুরুবে নমঃ।।
শ্রীগুরু শ্রীরাম ঠাকুরের জীবন কাহিনী অত্যাচার্য্যময়, অলৌকিক লীলা পূর্ণ, বিস্তীর্ণ, অনন্ত, অসীম। তাহা সম্যক সংগ্রহ করিয়া একত্র করা কঠিন ও দুরুহ ব্যাপার। তবে যখন তিনি যেখানে যাইতেন ভক্তেরা তাঁহার লীলা ও অলৌকিক ঘটনা দর্শন করিয়া পরবর্তীকালে তাহা লিখিয়া গিয়াছেন।
শ্রীশ্রীঠাকুর কিশোর বয়সে সর্ব্বস্ব ত্যাগ করিয়াছিলেন। তাঁহার কোন অভাব ছিল না। না ছিল কোন বস্ত্রের বালাই; না ছিল কোন ভেক বা সাধুর বাহ্যিক চাল চলন। গেরুয়া পোষাক, জঠা-জুঠা কিছুই ছিল না। এক বস্ত্রধারী, প্রয়োজনে একখানা চাদরই তাঁর সম্বল ছিল।
প্রায় ষাট-সত্তর বছর তিনি ভারত ও বহির্ভারতে পাহাড়-পর্বত ভ্রমণ করিয়াছেন। জীবনের শেষভাগে তিনি লোকালয়ে ফিরিয়া আসেন জীবজগতের মঙ্গল ও মুক্তির পথ প্রদর্শনের জন্য। অভিমানশূন্য হয়ে, ধনী থেকে দীন—সকলের গৃহে ও সংস্রবে তিনি নির্বিচারে ভ্রমণ করেন মুক্তির পথ প্রচারের জন্য।
কেহ তাঁহাকে কোনদিন অন্ন গ্রহণ করতে দেখেন নাই। স্নান, বস্ত্র পরিবর্তন বা অন্ন গ্রহণ লক্ষ লক্ষ ভক্তের মধ্যে কাহারো চোখে ধরা দেয় নাই। বরং ভক্তেরা বলিতেন—“বাবার দেহ ও বস্ত্র হইতে সুমধুর সুগন্ধি নির্গত হয়।”
ঠাকুরকে ভক্তেরা নানা নামে ডাকিতেন—সত্যনারায়ণ, সত্যপীর, কৈবল্যনাথ, রামসাধু বা রামভাই। তাঁহার অসংখ্য ছবি বিভিন্ন সময়ে ভক্তেরা তুলিয়াছেন, বিভিন্ন বয়স ও রূপে তাঁহার দর্শন লিপিবদ্ধ করিয়াছেন।
তাঁর বহু শিষ্য ছিলেন বিদ্বান, পণ্ডিত ও নামী ব্যক্তিত্ব। যেমন কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রভাত চন্দ্র চক্রবর্তী, ইন্দুভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মোহিনী শাস্ত্রী প্রমুখ। কাশী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ডক্টর গোপীনাথ শাস্ত্রীও তাঁহার শিষ্যত্ব গ্রহণ করিয়া বহু গ্রন্থ রচনা করেন।
শ্রীশ্রীরামঠাকুর ও কবি নবীন চন্দ্র সেনের মিলন
(গুরুশিষ্য সমাচার)
লেখকঃ শ্রী সুরেন্দ্র বিজয় চৌধুরী এম.এ., বি.এল.
চলমানঃ ০১

No comments: