বেদবাণী প্রথম খণ্ড: প্রারব্ধ, ত্যাগ ও গুরু-শরণের সত্য বাণী
(১) যাহা ভগবান করেন তাহার হাত ছাড়ান জীবের সাধ্য নাই।
(২) প্রারব্ধ সূত্রে যাহা যখন যার উপস্থিত করে তার তাহাই ভোগ হয়, ইহার জন্য অনুতাপ এবং প্রয়াস করিতে নাই।
(৩) সংসারের তরঙ্গে লক্ষ্য রাখিয়াই জীব বদ্ধ হয়। লাভ-লোকসান, সুখ-দুঃখ, শান্তি-অশান্তি সব তরঙ্গময়। কেবল শূন্যভাবে আকাশমুখী চিন্তা করিলে পরম শান্তি আসে।
(৪) ত্যাগ, সত্য, শৌচ, দয়া পরস্পর যুক্ত। সহিষ্ণুতা দ্বারা স্থৈর্য, আরোগ্য ও ঐশ্বর্য আসে। শেষে ত্যাগই প্রকৃত সম্পদ।
(৫) সংসারের মধ্যে কেবল সত্যের বন্ধনই পরম পদ। “জীবে দয়া, নামে রুচি, বৈষ্ণব সেবন” — এই বাণীই সকল জীবের আশ্রয়।
(৬) প্রারব্ধ চর্যায় গুরুই বিপদ থেকে রক্ষা করেন।
(৭) সাধ্য অনুসারে ভগবৎ চিন্তা করতে হয়। সব ভার গুরুতে ন্যস্ত করিলে হর্ষ ও বিষাদে প্রভাবিত হওয়া যায় না।
(৮) বোঝা আর না বোঝা — উভয়ই ভ্রান্তি। এই দুইয়ের অভাবই শান্তি।
(৯) জগতের ভোগ, ত্যাগ ও দোষত্রুটি স্বাভাবিক; কিন্তু উদার হৃদয় মলিন হয় না।
(১০) দেহই বাসনাময় বন্ধন। মুক্তি কেবল ভগবানের শরণে। সাধনা দ্বারা নয়, প্রারব্ধের ফলেই ভোগ ও আরোগ্য আসে।

No comments: