গুরু ভাই বোনসহ সকল সনাতনী ভাই বোনদের জানাই স্বাগত ,উদ্দেশ্য গুরু দেবের অমৃত বানী সকলের মাঝে প্রচার করা।

শ্রীশ্রীঠাকুর রামচন্দ্রদেবের একটি শিক্ষা-প্রদ ঘটনা

শ্রীশ্রীঠাকুর রামচন্দ্রদেবের শিক্ষা: আশ্রিতের গৃহে প্রত্যাহার ও শিক্ষণীয় দর্শন

প্রকাশিত: 18 সেপ্টেম্বর, 2025 • বিভাগ: ভক্তিবাণী • লেখক: Subrata Majumder

শ্রীশ্রীঠাকুর রামচন্দ্রদেবের একটি শিক্ষা-প্রদ ঘটনা

এক আশ্রিতের ঘরে পূর্ব-প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাত্রা বাতিল—তার পেছনে লুকানো জীবন্ত প্রশিক্ষণ: ভেদবুদ্ধি, মাতৃ-আজ্ঞা, ভক্তির সমতা ও গুরু-অন্তর্দর্শিতা।

শ্রীশ্রীঠাকুর রামচন্দ্রদেবের শিক্ষা

-ঃ জনৈক আশ্রিতের গৃহে পূর্ব-প্রতিশ্রুতি ঠাকুর কর্তৃক প্রত্যাখ্যানঃ -

বহুদিন পর এক আশ্রিত ভক্ত ঠাকুরমহাশয়ের চরণে এলেন। সস্নেহে ঠাকুর তাঁকে বসতে বললেন এবং তাঁর মা ও পরিবারের কুশল সংবাদ জানলেন। আলাপচারিতার শেষে ভক্ত বিনীত অনুরোধ করলেন—ঠাকুর যেন তাঁর গৃহে পদার্পণ করেন।

সদয় সম্মতি দিলেন ঠাকুরমহাশয়। পরের দিন রবিবার সকাল ছ’টার মধ্যে ভক্ত তাঁকে নিতে আসবেন ঠিক হলো। উপস্থিত কয়েকজন ভক্তও সঙ্গী হওয়ার ইচ্ছা জানালেন, এতে ভক্ত অত্যন্ত আনন্দিত হলেন।

🍲 গৃহস্থের প্রস্তুতি ও মায়ের আপত্তি

বাড়িতে ফিরে ভক্ত তাঁর মাকে জানালেন—

  • ঠাকুরমহাশয়ের জন্য আলাদা লুচি, হালুয়া, ডাল ভোগ হবে।
  • অন্য ভক্তদের জন্য থাকবে মুড়ি, নারিকেল, চিনি ও চা

এতে তাঁর জননী প্রবল আপত্তি করলেন। তিনি বললেন, “ঠাকুরমহাশয়ের সঙ্গে যারা আসছেন, তাঁদেরও সমান সমাদর করা উচিত। ভিন্ন ব্যবস্থা ঠাকুর পছন্দ করবেন না।”

কিন্তু ভক্ত মায়ের কথায় কর্ণপাত করলেন না। তাঁর যুক্তি ছিল—“ওরা তো ঘরে লুচি-হালুয়া খান না, মুড়ি-নারিকেলই যথেষ্ট।”

🚕 পরদিন সকাল

সকাল পাঁচটা থেকেই ঠাকুর প্রস্তুত ছিলেন। সময় ঘনিয়ে এলেও ভক্ত উপস্থিত হলেন না। তখন ঠাকুর হঠাৎ বললেন—

“না, ওনার বাড়ি আর যাওয়া হইবে না।”

সকলেই বিস্মিত। এরই মাঝে আরেক ভক্ত ট্যাক্সি নিয়ে উপস্থিত হলেন এবং ঠাকুরমহাশয় তাঁর গৃহে যাওয়ার প্রস্তাবে সম্মতি দিলেন।

যাত্রাপথে প্রথম ভক্তও ট্যাক্সি নিয়ে ছুটে এলেন। তিনি ঠাকুরের চরণে নত হয়ে অনুরোধ করলেন—“ঠাকুর, মাত্র দশ মিনিট দেরি হলো, এখন চলুন।”

কিন্তু ঠাকুর সুকঠিন কণ্ঠে উত্তর দিলেন—“না।”

🕉️ কারণ ও শিক্ষা

যাত্রাপথে অন্য ভক্ত জিজ্ঞেস করলেন—“ঠাকুর, অমুকের তো বেশি দেরি হয়নি, তবুও কেন আপনি গেলেন না?”

ঠাকুর উত্তর দিলেন—

“উনি মায়ের কথা শোনেন না, ভেদবুদ্ধি ওনার মধ্যে প্রবল। সুতরাং, ওর বাড়ীতে যাই কী কইর্যা?”

🌼 শিক্ষণীয় বিষয়

  • মাতৃ-আজ্ঞা সর্বোচ্চ – মা যদি আপত্তি করেন, সেই অমান্য করে কোনো ধর্মকর্ম সফল হয় না।
  • ভক্তি মানে সমতা – ঠাকুরের ভক্তদের মধ্যে ভেদ করলে ঠাকুর কখনো সন্তুষ্ট হন না।
  • ভক্তিতে অহংকার নেই – “ঠাকুর শুধু আমার বাড়িতে আসবেন”—এমন ভাব ভক্তিকে কলুষিত করে।
  • গুরু সর্বদা অন্তর্দর্শী – বাহ্যিক আয়োজন নয়, অন্তরের সত্যিকেই ঠাকুর গ্রহণ করেন।

🌸 তাই ভক্তি হতে হবে ভেদহীন, বিনয়ী এবং মাতৃ-আজ্ঞা-পালননিষ্ঠ। তবেই ঠাকুরের কৃপা অবতীর্ণ হয়। 🌸

🙏 জয় রাম জয় গোবিন্দ 🙏

জয় রাম শ্রীশ্রী ঠাকুর ভক্তি শিক্ষা মাতৃ-আজ্ঞা ভেদবুদ্ধি বেদবাণী

লেখক: Subrata Majumder

আপনি চাইলে আমি এই পোস্টের জন্য উচ্চমানের ফিচার ইমেজ/কোট-কার্ড তৈরি করে দিতে পারি — সেটি পোস্টে বসিয়ে শেয়ারব্লুম বাড়ানো যাবে।

শ্রীশ্রীঠাকুর রামচন্দ্রদেবের একটি শিক্ষা-প্রদ ঘটনা শ্রীশ্রীঠাকুর রামচন্দ্রদেবের একটি শিক্ষা-প্রদ ঘটনা Reviewed by শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ নমঃ(SriSriramthakur O gan Ganer vhovon Youtube channel) on September 18, 2025 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.