হঠাৎ শুনিতে পাইলাম একটি কীর্ত্তনের দল — একটি রাতের সাক্ষ্য
“সারারাত খুব কীর্তন হইয়াছে, ঘুমের প্রশ্নই উঠে না।” — শ্রীশ্রী ঠাকুর
একবার অনেক মানুষ মিলিয়া গভীর আড্ডা শেষে প্রায় একটার দিকে ঠাকুর বিশ্রাম নিলেন। পরদিন ভোরে উঠে দেখলাম ঠাকুর বিছানার ওপর বসিয়াছেন। জিজ্ঞাসা করলে বললেন সারারাত কীর্ত্তন হইয়াছিল তাই ঘুম হয়নি। আমি বিস্মিত হয়ে বলিলাম— “আমরা তো কিছুই শুনিতে পাই নাই”।
কিছুদিন পরে আবার এমনই এক রাত্রে আমার কাছে ঘুম এলে চুপ করে শুইলাম। হঠাৎ মনে হল দূর হইতে কীর্ত্তনের সুমধুর কণ্ঠ আসিতেছে; উঠিয়া দরজা খুলিতে গেলাম—কিন্তু বাহিরে কীর্ত্তনের কোনো চিহ্ন ছিল না। আবার শুইলে শোনা গেল কীর্ত্তন, মনে হইল দলটা পেছনের গলির ফাঁকে আসিতেছে, উঠিলাম—অপরাজেয় নীরবতা।
একপর্যায়ে বুঝলাম—এটি আশেপাশের কোনো বাস্তব শোরগোল নয়; বরং মন-অবস্থা বা স্বরূপের সঙ্গে যুক্ত এক আধ্যাত্মিক অনুভব। কীর্ত্তনের সুরে শোনাইয়া কখনো অনিষ্টহীন ঘুম এসে পড়িল। সকালের প্রশ্নে ঠাকুর মৃদুভাবে জিজ্ঞেস করিলেন—“ক্যান আপনি শোনেন নাই?” এবং প্রকাশ করিলেন যে তিনি প্রায়ই এই রাত্রিকালীন কীর্ত্তন শুনিয়া থাকেন।
শিক্ষা ও প্রকাশ
- কীর্ত্তন সবসময় বাহ্যিক নয় — কখনো তা অন্তরজাগ্রতির রূপে প্রकट হয়।
- গুরুদেবের অভিজ্ঞতা আমাদের অন্তরের উচ্চতাকে স্পর্শ করে; সবকিছুই অত্যন্ত সূক্ষ্ম।
- মন-ভ্রান্তি ও প্রত্যক্ষতা আলাদা: অনেকে নীরবতায় শুনতে না পেলেও গুরুর অন্তর-দৃষ্টি উপলব্ধি করে থাকেন।
Reviewed by শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ নমঃ(SriSriramthakur O gan Ganer vhovon Youtube channel)
on
November 14, 2025
Rating:






.jpg)
No comments: