বাণীর আলোকে পথ চলা
বেদবাণী ২য় খণ্ড / ১২৯ — নামভক্তির পথভগবানের নামের দাস হইয়া থাকিলে সংসারে সকল রকম উৎপাতই সহ্য করিয়া যাইতে হয়। উপস্থিত মতে কর্ম্মের পুরস্কার ভুক্ত না থাকিয়া কেবল নাম লইয়া পড়িয়া থাকিতে হয়। ভাগ্যে যাহা যাহা ঘটিবে তাহাই সন্তোষের বিষয় জানিয়া, ধৈর্য্য ধরিয়া প্রারব্ধ ভোগের বেগ ক্ষয় করিয়া যাইতে হয়। প্রারব্ধই সকল রকমের অবস্থান্তর করিয়া থাকে। দেহ কালের আবরণ হইতে উৎপন্ন হইয়া কাল হইতেই জীবের দেনা পাওনা ঘটাইয়া থাকে, কাল মুক্ত হইলেই দেহ মুক্ত হয়। চিন্তা ভাবনা না করিয়া আবাহন বিসর্জ্জন শূন্যেতে কর্ম্ম করিয়া যাইবেন। যাহা ভাগ্যের ফল আপনিই জাগিবে ..........আপন কর্ম্মশক্তি অনুসারে করিয়া যাইবেন। কাহারও কোন অনিষ্ট না করিয়া, সর্ব্বদা সত্যকে হৃদয়ে স্থান দিয়া কর্ম্মকার্য্য করিয়া যাইবেন নামই সত্য, নাম বৈ এ জগতে কিছুই নাই, থাকিবেও না। ....... কেবা কার স্ত্রী, কেবা কার পুত্র, সকলি নামের ভ্রম মাত্র জানিয়া কার্য্য কর্ম্ম করিয়া যাইতে হয়। বেদবাণী ২য় খন্ড/১২৯ জয়রাম, জয়গোবিন্দ, গুরু কৃপাহি কেবলম্
ভগবানের নামের দাস হয়ে থাকলে জীবনে সুখ–দুঃখ, উত্থান–পতন, নানা রকম সংসারী উৎপাত—সবকিছুই সহন করতে হয়।
কারণ নামভক্তের জীবন কোনো প্রত্যাশা বা পুরস্কারের লোভে চলে না।
তিনি কেবলই নামের উপর নির্ভর করেন—
“নামই সত্য, নাম ছাড়া এই জগতে আর কিছুই নেই।”
১. উপস্থিত কর্মের ফল ভোগ না করে নামেই স্থির থাকা
যখন কেউ সত্যিকারের ভক্ত হয়—
তখন সে কর্মফলের লোভে নয়,
নির্বিকার মনে নাম জপে।
যা ভাগ্যে আছে—
তাই ঘটবে।
এটাই প্রারব্ধ।
ভাগ্যের ঘটমান ফলকে
সন্তোষে গ্রহণ করা
ধৈর্য ধরে সহ্য করা
প্রারব্ধের বেগ ক্ষয় হওয়া পর্যন্ত এগিয়ে চলা
—এটাই নামভক্তির পথ।
২. প্রারব্ধ—জীবনের সব পরিবর্তনের কারণ
বাণীতে বলা হয়েছে—
প্রারব্ধই সকল অবস্থান্তর করায়।
দেহ–মন–সময়—সবই কালের আবরণ।
যখন দেহ কাল থেকে মুক্ত হয়,
তখন জীব সত্যমুক্তি পায়।
অতএব
অকারণ দুশ্চিন্তা নয়।
বিচার–চিন্তা–আবাহন–বিসর্জন—সবই শূন্যে সমর্পণ।
৩. নিজের কর্মশক্তি অনুযায়ী কাজ করে যাওয়া
ভাগ্যের ফল
আপনিজাগ্রত হবে।
মানুষের কাজ—
অন্যের ক্ষতি না করে,
সত্যকে হৃদয়ে রেখে
নিজ করণীয় কর্ম সম্পাদন করা।
এটাই প্রকৃত ধর্ম।
৪. সংসার—ভ্রমের জাল
বাণী বলে—
“কেবা কার স্ত্রী, কেবা কার পুত্র—
সকলই নামের ভ্রমমাত্র।”
দেহ–সম্পর্ক—সবই কালজন্মের খেলা।
সত্য একটাই—
নাম
যা ভক্তকে সব ভেদবিভ্রম থেকে মুক্ত করে।
৫. নামই চরম সত্য
নাম স্মরণেই
ভ্রম নষ্ট হয়
অহংকার দূর হয় দুঃখে শান্তি আসে
ভক্তি পরিপূর্ণ হয়
নামই একমাত্র আশ্রয়—
নামই সত্য—
নামই চূড়ান্ত মুক্তি।
সারকথা
-
নামভক্তকে কর্মফলের আশা বা দুঃখে ভাঙা চলবে না।
-
প্রারব্ধকে শান্ত মনে ভোগ করতে হবে।
-
সত্যকে ধরে কর্ম করতে হবে, কাউকে কোনো ক্ষতি না করে।
-
সমস্ত সম্পর্ক অস্থায়ী; নামই চিরন্তন।
-
শেষে, নামই জীবকে মুক্তি দেয়।
নামভক্তকে কর্মফলের আশা বা দুঃখে ভাঙা চলবে না।
প্রারব্ধকে শান্ত মনে ভোগ করতে হবে।
সত্যকে ধরে কর্ম করতে হবে, কাউকে কোনো ক্ষতি না করে।
সমস্ত সম্পর্ক অস্থায়ী; নামই চিরন্তন।
শেষে, নামই জীবকে মুক্তি দেয়।
জয় রাম • জয় গোবিন্দ
গুরু কৃপাহি কেবলম্
জয় গুরু • জয় ঠাকুর
By Subrata Majumder
ভগবানের নামের দাস হয়ে থাকলে জীবনে সুখ–দুঃখ, উত্থান–পতন, নানা রকম সংসারী উৎপাত—সবকিছুই সহন করতে হয়।
কারণ নামভক্তের জীবন কোনো প্রত্যাশা বা পুরস্কারের লোভে চলে না।
তিনি কেবলই নামের উপর নির্ভর করেন—
“নামই সত্য, নাম ছাড়া এই জগতে আর কিছুই নেই।”
১. উপস্থিত কর্মের ফল ভোগ না করে নামেই স্থির থাকা
যখন কেউ সত্যিকারের ভক্ত হয়—
তখন সে কর্মফলের লোভে নয়,
নির্বিকার মনে নাম জপে।
যা ভাগ্যে আছে—
তাই ঘটবে।
এটাই প্রারব্ধ।
ভাগ্যের ঘটমান ফলকে
সন্তোষে গ্রহণ করা
ধৈর্য ধরে সহ্য করা
প্রারব্ধের বেগ ক্ষয় হওয়া পর্যন্ত এগিয়ে চলা
—এটাই নামভক্তির পথ।
২. প্রারব্ধ—জীবনের সব পরিবর্তনের কারণ
বাণীতে বলা হয়েছে—
প্রারব্ধই সকল অবস্থান্তর করায়।
দেহ–মন–সময়—সবই কালের আবরণ।
যখন দেহ কাল থেকে মুক্ত হয়,
তখন জীব সত্যমুক্তি পায়।
অতএব
অকারণ দুশ্চিন্তা নয়।
বিচার–চিন্তা–আবাহন–বিসর্জন—সবই শূন্যে সমর্পণ।
৩. নিজের কর্মশক্তি অনুযায়ী কাজ করে যাওয়া
ভাগ্যের ফল
আপনিজাগ্রত হবে।
মানুষের কাজ—
অন্যের ক্ষতি না করে,
সত্যকে হৃদয়ে রেখে
নিজ করণীয় কর্ম সম্পাদন করা।
এটাই প্রকৃত ধর্ম।
৪. সংসার—ভ্রমের জাল
বাণী বলে—
“কেবা কার স্ত্রী, কেবা কার পুত্র—
সকলই নামের ভ্রমমাত্র।”
দেহ–সম্পর্ক—সবই কালজন্মের খেলা।
সত্য একটাই—
নাম
যা ভক্তকে সব ভেদবিভ্রম থেকে মুক্ত করে।
৫. নামই চরম সত্য
নাম স্মরণেই
ভ্রম নষ্ট হয়
অহংকার দূর হয়
দুখে শান্তি আসে
ভক্তি পরিপূর্ণ হয়
নামই একমাত্র আশ্রয়—
নামই সত্য—
নামই চূড়ান্ত মুক্তি।
সারকথা
-
নামভক্তকে কর্মফলের আশা বা দুঃখে ভাঙা চলবে না।
-
প্রারব্ধকে শান্ত মনে ভোগ করতে হবে।
-
সত্যকে ধরে কর্ম করতে হবে, কাউকে কোনো ক্ষতি না করে।
-
সমস্ত সম্পর্ক অস্থায়ী; নামই চিরন্তন।
-
শেষে, নামই জীবকে মুক্তি দেয়।
জয় রাম • জয় গোবিন্দ
গুরু কৃপাহি কেবলম্
জয় গুরু • জয় ঠাকুরBy Subrata Majumder
Reviewed by শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ নমঃ(SriSriramthakur O gan Ganer vhovon Youtube channel)
on
November 24, 2025
Rating:
.png)





.jpg)
No comments: