অক্ষর ব্রহ্ম তত্ত্ব ও তত্ত্বদর্শীর মাহাত্ম্য – শ্রীমদ্ভাগবত গীতার আলোকে"
🌟 Intro
কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শেষে, অর্জুনের অনুরোধে শ্রীকৃষ্ণ পুনরায় সেই অমৃত জ্ঞান শ্রবণ করাতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বললেন— “আমি তখন যোগে ছিলাম, এখন জানতে চাইলে, কোনো তত্ত্বদর্শীর কাছে যাও।” কিন্তু কেন শুধুই তত্ত্বদর্শী? কেন নয় ঋষি, মহর্ষি, সাধু, সন্ন্যাসী?
📜 Main Script
শ্রীকৃষ্ণ বলেন, “আমি অক্ষরের মধ্যে ওঙ্কার, একাক্ষর ব্রহ্ম।”
এই একাক্ষর ব্রহ্ম তত্ত্ব চৌষট্টি অব্যক্ত অক্ষর দ্বারা গঠিত, যা আমাদের ভাষার ১৬ স্বর + ৩২ ব্যঞ্জন = ৬৪ অক্ষরের মধ্যেই নিহিত।
এই তত্ত্ব বাহ্যিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নয়, হৃদয়চক্রে দর্শন করে জানতে হয়।
তত্ত্বদর্শী সেই যোগী, যিনি সুষ্ম থেকেও অতিসুষ্ম, গুপ্ত থেকেও অতিগুপ্ত ব্রহ্মতত্ত্ব উপলব্ধি করেন।
তিনি জানেন, “ব্রহ্ম সত্য, জগৎ মিথ্যা”—এই মিথ্যা মানে যা আমরা দেখি, তা নয়, বরং যা আমরা ভাবি, তার পরিবর্তন ঘটে।
ঈশ্বরের নামের মধ্যেই আছে তাঁর রূপ, কর্ম, শক্তি—যা এক একটি অক্ষরের মধ্য দিয়ে প্রকাশিত।
যেমন “ধর্ম” শব্দেই আছে ধর্মের তত্ত্ব, “কৃষ্ণ” নামেই আছে কৃষ্ণের রূপ ও গতি।
এই তত্ত্ব উপলব্ধি করতে হলে, দেহকে সুস্থ রাখতে হবে, কারণ হৃদয়চক্রে দর্শনের জন্য স্বাস্থ্যই সম্পদ।
🔍 Explanation Highlights
বিষয় | ব্যাখ্যা |
---|---|
তত্ত্বদর্শী | যিনি ব্রহ্মতত্ত্বের চৌষট্টি অব্যক্ত অক্ষর হৃদয়ে দর্শন করেন |
একাক্ষর ব্রহ্ম | ওঙ্কার, যা সকল অক্ষরের উৎস |
দৃশ্যমান অক্ষর | বাংলা বর্ণমালার ৬৪ অক্ষর, যার মধ্যেই ব্রহ্মতত্ত্ব নিহিত |
হৃদয়চক্র | আধ্যাত্মিক উপলব্ধির কেন্দ্র, যেখানে তত্ত্ব দর্শন হয় |
স্বাস্থ্য | তত্ত্ব উপলব্ধির পূর্বশর্ত, কারণ দেহই সাধনার মাধ্যম |
🕉️ End Script
এই জ্ঞান কোনো বই, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাওয়া যায় না। এটি হৃদয়ের গভীরে, সুষ্ম থেকেও অতিসুষ্ম স্তরে উপলব্ধি করতে হয়। তাই শ্রীকৃষ্ণ বলেছিলেন— “তত্ত্বদর্শীর কাছে যাও।” নমস্কার সকল ঈশ্বর-স্বরূপ মানবের প্রতি।

No comments: