“শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার ১৫১টি ঐশ্বরিক বাণী – ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখনিশ্রুত জীবনের সেরা উপদেশ” (Shrimad Bhagavad Gita 151 Divine Teachings by Lord Krishna)
🌸 শুভ সকাল প্রিয় বন্ধুরা! 🌸
রাত্রে ঘুমোতে যাওয়ার আগে আর সকালে ঘুম থেকে উঠেই যদি তোমরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী শ্রবণ করো,ও পড়ো যা তোমার জীবন সম্পূর্ণরূপে বদলে যাবে।
এই বাণীগুলি শুধু শব্দ নয় — এগুলি জীবনের পথনির্দেশ, মনকে শুদ্ধ করার শক্তি এবং আত্মাকে জাগ্রত করার মন্ত্র।
আজ আমরা শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার মূল সত্তা থেকে ১৫১টি ভাবনা তোমাদের সামনে রেখেছি —
প্রতিটি ভাবনা যেন জীবনের এক একটি দিশা, এক একটি আলোকরশ্মি।
🌼 ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রথম উপদেশ:
“কর্মই ধর্ম।”
ফল নয়, কর্তব্যই তোমার লক্ষ্য হোক।
🌼 দ্বিতীয় উপদেশ:
যে নিজের মনকে জয় করেছে, সে জগৎ জয় করতে পারে।
🌼 তৃতীয় উপদেশ:
বিশ্বাস রাখো — ভগবান সব জানেন, সব সময়ে পাশে আছেন।
🌼 চতুর্থ উপদেশ:
যে মানুষ দুঃখ দেয়, সে কখনো সুখী হতে পারে না; কিন্তু যে ক্ষমা করে, সে শান্তির আসল অর্থ জানে।
🌼 পঞ্চম উপদেশ:
সত্যের আলো নিজে জ্বলে, মিথ্যা যতই ঢেকে রাখো তবু সে দীপ্ত থাকে।
🌼 ষষ্ঠ উপদেশ:
সময় কখনো থেমে থাকে না, তাই কর্মে স্থির থাকো — তাতেই মুক্তি।
🌼 সপ্তম উপদেশ:
যা আজ তোমার, কাল তা অন্যের হবে — অতএব দান করো, ভাগ করে নাও, ভালোবাসা ছড়িয়ে দাও।
🌼 অষ্টম উপদেশ:
মন শান্ত রাখার চেয়ে বড় সম্পদ এই জগতে আর কিছু নেই।
🌼 নবম উপদেশ:
অহংকারে নয়, ভক্তিতে ভগবানকে পাওয়া যায়।
🌼 দশম উপদেশ:
যে গীতার জ্ঞান অন্যের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়, সে শ্রীকৃষ্ণের প্রিয়তম ভক্ত।
শেষ ভাবনা:
শ্রীকৃষ্ণ বলেন —
“তোমার অতীত আমি পাল্টাতে পারি না, কিন্তু যদি তুমি বর্তমানকে সৎভাবে বাঁচো, আমি তোমার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করে তুলব।”
🌼 তাই বন্ধু, প্রতিদিন সকালে এই বাণীগুলি শ্রবণ করো, হৃদয়ে ধারণ করো।
তোমার জীবন আলোকিত হবে, মন শান্ত হবে, আত্মা মুক্তি পাবে।
জয় শ্রীকৃষ্ণ।
জয় গীতা।
শ্রীমদভগবত গীতা নামে পরিচিত এর মাহাত্ব অপার অপরিমেয় এর প্রকৃত মাহাত্ব কেউই পুরোপুরি বর্ণনা করতে পারে না শেষ মহেশ গণেশ পর্যন্ত এর সমস্ত গুণগান সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করতে পারেন না তাহলে আমরা সাধারণ মানুষ তো আরো সীমাবদ্ধ এমন বলা হয়ে থাকে যে ঘরে প্রতিদিন শ্রীমদ ভগবত গীতার পাঠ হয় কিংবা তা শোনা হয় সেই ঘরে স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণের আগমন ঘটে।
এই গীতাকে পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের পড়া ও বোঝা একান্ত প্রয়োজনীয় যাতে তারা জীবনের সুখ, শান্তি ও সফলতা লাভ করতে পারে। শ্রীমদ ভগবত গীতায় মোট 18 টি অধ্যায় রয়েছে এবং এই 18 টি অধ্যায়ে মোট 700 টি
শ্লোক রয়েছে। এই কারণেই আমরা আজ শ্রী শ্রীমদ ভগবত গীতার ঐশ্বরিক জ্ঞান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে 151 টি গুরুত্বপূর্ণ ভাবনার কথা জানবো। যেগুলো আমরা খুব সহজ ও সরল ভাষায় তোমাদের বোঝাতে চেষ্টা করব। আর আমাদের পূর্ণ বিশ্বাস প্রতিদিন এই ভাবনাগুলি শ্রবণ করলে তোমার জীবনের বর্তমান এবং ভবিষ্যতের সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ সম্ভব হবে। চলো শ্রীমদ ভগবত গীতার সেই সবচেয়ে শক্তিশালী 151 টি ভাবনার দিকে এগিয়ে চলি এবং সেগুলিকে আমাদের জীবনে গ্রহণ করার চেষ্টা করি। শ্রীমদ ভগবত গীতার প্রথম ও সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ উপদেশ হলো কর্মই সর্বোচ্চ
ধর্ম। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গীতায় অর্জুনকে উপদেশ দিয়ে বলেন, মানুষ জন্ম নিয়েছে কেবল কর্ম করার জন্য। আর কর্ম ছাড়া কেউ কখনো থাকতে পারে না। মানুষকে ফলের চিন্তা না করে কেবলমাত্র নিজের কর্তব্য পালনে মনোনিবেশ করা উচিত। সবসময় সৎকর্ম করা উচিত। কারণ কর্ম সেই ফসল যা মানুষকে যেভাবেই হোক কেটে নিতে হবে। যেমন কর্ম হবে ঠিক তেমনিই তার ফলও হবে। কর্মের হিসেব খুব সহজ। ভালো করো ভালো ফল পাবে। খারাপ করো খারাপ ফল পাবে। মানুষ যে রূপে ঈশ্বরকে স্মরণ করে ঈশ্বরও তাকে সেই রূপেই দর্শন দেন। নিজের শক্তিকে দুশ্চিন্তায় ব্যয় না করে সমস্যার সমাধান খুঁজতে ব্যবহার করাটাই
বুদ্ধিমানের কাজ। অসৎ জিনিস দেখা আর শোনা থেকেই আসলে অসৎতা শুরু হয়। যে মানুষ এই মূল্যবান মানব জীবন পেয়েও ঈশ্বরের নাম কীর্তন করে না সে দুর্বুদ্ধি মানুষ। যিনি মোক্ষের সিড়ি পেয়েও সেটায় চড়ার চেষ্টা করে না। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেন, হে মানব, যদি তুমি এই সংসারের সকল দুঃখ থেকে মুক্তি চাও, তবে আমার ভক্তি করো। যে আমার ভক্তি করে না সে এই জীবনেও নয়, মৃত্যুর পরেও শান্তি পায় না। যারা অসৎকর্মে লিপ্ত অধম প্রকৃতির। যাদের বুদ্ধি মায়ায় আচ্ছন্ন তারা কখনোই আমার পূজা করে না বা আমাকে পাওয়ার চেষ্টা করে না। নিজেকে ভগবানের প্রতি সম্পূর্ণরূপে
সমর্পণ করো। এটাই সবচেয়ে বড় আশ্রয়। যে কেউ এই আশ্রয়কে চিনে নিতে পারে সে সব রকমের ভয়, চিন্তা ও দুঃখ থেকে মুক্ত হয়। ভগবানের উপর বিশ্বাস রাখো সেই শিশুর মত যাকে যদি কেউ বাতাসে ছুড়ে দেয় তবুও সে হাসে ভয় পায় না। কারণ সে জানে কেউ তাকে পড়তে দেবে না। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেন, তুই মন ছোট করিস না। যেখানে তোর নিজেরই মুখ ফিরিয়ে নেবে সেখানে আমি তোর পাশে থাকবো। জীবনে কখনো কারো সঙ্গে নিজের তুলনা করিস না। তুই যেমন আছিস তেমনটাই শ্রেষ্ঠ। প্রেরণার সবচেয়ে বড় উৎস হলো তোর নিজের ভাবনা। তাই সবসময় ভালো ভাব, বড় ভাব আর
নিজেকে জয় করার জন্য নিজেকেই অনুপ্রাণিত কর। যে দুঃখ ভোগ করে সে ভবিষ্যতে সুখী হতে পারে। কিন্তু যে দুঃখ দেয় সে কখনো সুখী হতে পারে না। তাই নিজের মধ্যে করুণা রাখিস ক্রোধ নয়। কারণ ফুল তো মেঘের বৃষ্টি নিয়ে খেলে। তার গর্জন নিয়ে নয়।
মানুষ যতই মিষ্টি কথা বলুক, যদি সে মিথ্যা হয় তাহলে সে একদিন তোর জন্য বিষ হয়ে উঠবে। আর একজন সত্যবাদী যতই তোর কাছে কঠোর মনে হোক, সে একদিন তোর জীবনের ওষুধ হয়ে উঠবে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেন, মন শান্ত রাখার চেয়ে বড় সম্পদ এই দুনিয়ায় আর কিছু নেই। যে ব্যক্তি নিজের মন শান্ত রাখতে
শিখে গেছে তার চেয়ে ধনী কেউ হতে পারে না। সময় কখনো মানুষের তৈরি পথে চলে না। মানুষকে সময়ের দেখানো পথে চলতে হয়। একেই বলে নিয়তি। জীবন তখনই কঠিন লাগে যখন আমরা নিজের পরিবর্তনের বদলে পরিস্থিতি বদলাতে চাই। সত্য কখনো দাবি করে না যে সে সত্য। কিন্তু মিথ্যে সর্বদা দাবি করে যে শুধুমাত্র সেই সত্য। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেন, যেমন আলো অন্ধকারে দীপ্তি দেয় তেমনি সত্য নিজ আলোয়ে জ্বলে। তাই মানুষের সর্বদা সত্যের পথেই চলা উচিত। ভগবান বলেন, হে অর্জুন, কি হারিয়ে গেছে যে তুই কাঁদছিস? কি এনেছিলিস যা তুই হারিয়ে ফেলেছিস? তুই কি সৃষ্টি করেছিলিস যা নষ্টহয়ে গেছে। তুই যা পেয়েছিস এখান থেকেই পেয়েছিস। যা দিয়েছিস এখানেই দিয়েছিস। যা আজ তোর তা কাল অন্য কারো হয়ে যাবে। কারণ পরিবর্তনই এই জগতের নিয়ম। সময়ের সাথে সাথেই জগতের সবকিছু বদলায়।
সবকিছুই পরিবর্তনের নিয়ম মেনেই চলে। এই দেহ তোর নয়। তুই এই দেহের মালিকনস। এই শরীর পাঁচটি মৌলিক উপাদান দিয়ে তৈরি। অগ্নি, জল, বায়ু, মাটি আর আকাশ। একদিন এই শরীর সেই পঞ্চতত্ত্বেই বিলীন হয়ে যাবে। এই দুনিয়ায় ভাগ্যের চেয়ে আর সময়ের আগে কিছুই কারোর কপালে জোটে না আর কোনদিন জুটবেও না। জীবনে নিজের বাক্য সংযম রাখা খুব জরুরি। কারণ কথার দ্বারা দেওয়া আঘাত
কখনোই সহজে সারে না। কৃষ্ণ বলেন, ধর্মের জন্য যুদ্ধ করতে শেখো। অধর্মীর কাল হয়ে উঠতে শেখো আর আপনজনের জন্য ত্যাগ করতে শেখো। সত্য সবসময় জলের উপর তেলের বিন্দুর মত। যতই মিথ্যের জল ঢালা হোক না কেন, তা সবসময় উপরে ভেসে থাকে। সজন মানুষের উচিত সদা উত্তম আচরণ করা। কারণ সাধারণ মানুষ তাদের পথচিহ্ন অনুসরণ করেই নিজের পথ খোঁজে। যদি কারোর ভালো করতে না পারো তাহলে খারাপও করো না। কারণ এই দুনিয়া দুর্বল হতে পারে। কিন্তু যিনি এই দুনিয়া তৈরি করেছেন তিনি নন। যে ব্যক্তি শ্রীমদভগবত গীতা পড়ে এবং সেই অনুযায়ী জীবন পরিচালনা
করে তার সমস্ত পাপের প্রভাব মুছে যায়। জীবনে আমরা কতটা সঠিক আর কতটা ভুল একথা কেবল দুইজন জানে। এক তো সেই পরমাত্মা আর দুই আমাদের নিজ অন্তরাত্মা। মৃত্যু একটি অটল সত্য যা কখনোই পরিবর্তন করা যায় না। এই জগৎ সৃষ্টির আদিকাল থেকেই জন্ম মৃত্যুর চক্র চলে আসছে। যেমন একজন মানুষ পুরনো পোশাক ছেড়ে নতুন পোশাক পরিধান করে তেমনি আত্মাও পুরনো ও নিরর্থক দেহ ত্যাগ করে নতুন দেহ ধারণ করে। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। এই সত্যকে গ্রহণ করে ভয় মুক্ত হয়ে বর্তমানকে পূর্ণভাবে বাঁচতে শেখা উচিত। জ্ঞানী মানুষ কখনো মৃতর জন্য শোক করেন না
আবার জীবিতের জন্যও শোক করেন না। কারণ তারা জানেন যে চলে গেছে সে আবার ফিরে আসবে এবং যে আজ আছে একদিন সেও চলে যাবে। শ্রীকৃষ্ণ বলেন জীবনে যদি কখনো সুযোগ আসে তবে কাউকে সহায়তা করতে সারথী হও স্বার্থপর নয়। যেমন একটি প্রদীপ নিজের আলো কম না করেও হাজারো প্রদীপ জ্বালাতে পারে তেমনি আনন্দ ভাগ করলে তা কখনো কমে না। যার হৃদয় ধর্মে পরিপূর্ণ সে ধর্মের উপদেশ দেয়। আর যে অধর্মে ডুবে থাকে তার উপদেশও অধর্মের হয়। মানুষ দুঃখী হয় এই কারণে নয় যে সে ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না বরং সে ঈশ্বরের কথা শোনে না বলেই দুঃখ পায়। সময় হলে সকল কিছুই মানুষকে প্রাপ্ত
হয়। কিন্তু সময়ের আগে কিছু পেতে চাওয়াই দুঃখের মূল কারণ। ক্রোধ হলো সেই দরজা যা মানুষকে নরকের পথে নিয়ে যায়। ক্রোধ মানুষের চিত্তকে অশান্ত করে তোলে এবং সেই অস্থিরতায় সে নিজেকেই ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে। শ্রীকৃষ্ণ বলেন, যতই রাগ আসুক না কেন, ক্রোধ থেকে বিরত থাকা উচিত। নিজের মনে শান্ত থাকার চেষ্টা করতে হবে। এই জগতে কেউই নিজে থেকে মহান নয়। তার কর্মই তাকে মহান করে তোলে। সঠিক কর্ম মানে এমন ফল নয় যা সবসময় শুভ হয়। বরং সঠিক কর্ম সেই যার উদ্দেশ্য কখনো অশুভ নয়। মানুষ সবসময় নিজের ভাগ্যকে দোষারোপ করে। অথচ সে জানে
যে ভাগ্যের চেয়েও শ্রেষ্ঠ তার কর্ম যা সে নিজে হাতে গড়ে নিতে পারে। আজ যা তোমার আছে তা কাল কারো ছিল এবং পরশু আবার কারো হবে। তুমি এসেছিলে খালি হাতে আবার ফিরে যাবে খালি হাতে। অতীতের জন্য দুঃখ করে লাভ কি? বর্তমানের জন্য অহংকার করে কি হবে? ভবিষ্যতের জন্য মোহ রেখেই বা কি হবে? বুদ্ধিমান ব্যক্তিকে ক্রোধ ও লোভ পরিত্যাগ করতে হয়। কারণ এগুলো আত্মার পতন ঘটায়। মানুষ হৃদয় থেকে যা দান করতে পারে তা হাত দিয়ে কখনো সম্ভব হয় না। আর যে কিছু না বলেও যা বলে দিতে পারে তা কখনো শব্দ দিয়ে বলা যায় না। মনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ
প্রয়োজন। মানুষের মন বায়ুর মত চঞ্চল। এই মনই মানুষকে কামনা বাসনার পথে ভাসিয়ে নিয়ে যায়। তাই জীবনে সফল হতে হলে মনকে আয়ত্তে আনা আবশ্যক। মনকে নিয়ন্ত্রণে রাখলে মস্তিষ্কের শক্তি একাগ্র হয় এবং তা কাজের সফলতা এনে দেয়। গীতার মতে যে ব্যক্তি নিজের মনকে আয়ত্তে এনেছে সে মন থেকে উদ্ভূত অপ্রয়োজনীয় চিন্তা ও ইচ্ছা থেকেও মুক্ত থাকে এবং নিজের লক্ষ্যে সহজেই পৌঁছে যায়। কিন্তু যদি মনকে আয়ত্তে না আনো তবে এই মনই তোমার সবচেয়ে বড় শত্রুতে পরিণত হবে। কোন মানুষ তার সময়ের আগে কিংবা ভাগ্যের বেশি কিছু পায় না। তবে
তবুও চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। সবসময় সন্দেহ করা মানুষ কখনোই শান্তি পায় না। তাই সন্দেহ থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন। অতিরিক্ত সন্দেহে মনের শান্তি নষ্ট হয় এবং মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে নিজের সম্পর্কগুলো ধ্বংস করে ফেলে। দেহের সৌন্দর্য মনকে আকর্ষণ করে। কিন্তু স্বভাবের সৌন্দর্য হৃদয়কে আকর্ষণ করে। তাই মানুষের স্বভাব সবসময় নির্মল হওয়া উচিত। ইতিহাস বলে গতকাল সুখ ছিল। বিজ্ঞান বলে আগামীকাল সুখ আসবে। কিন্তু ধর্ম বলে যদি মন সৎ আর হৃদয় পবিত্র হয় তবে প্রতিদিন সুখ থাকে। কে কি করছে কেন করছে কিভাবে করছে এসব থেকে যত দূরে থাকবে তত
বেশি শান্ত থাকবে। শ্রীকৃষ্ণ বলেন, যে ব্যক্তির মধ্যে জ্ঞানের অভাব আছে এবং যার মনে ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস নেই, সে জীবনে কখনো আনন্দ বা সফলতা লাভ করতে পারে না। ক্ষমা করতে শেখো, নীরব থাকতে শেখো। তুমি এমন এক শক্তিতে পরিণত হবে যার সামনে পাহাড়ও পথ ছেড়ে দেবে। বেশি খুশি হলে বা বেশি দুঃখে থাকলে কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়। কারণ এই দুই অবস্থায় মানুষ কখনো সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। কান বলেন, যখনই এই পৃথিবীতে পাপ, অহংকার ও অধর্ম বৃদ্ধি পাবে তখনই আমি তার বিনাশ করতে এবং পুনরায় ধর্ম প্রতিষ্ঠা করতে অবতার গ্রহণ করব। যারা আত্মিকভাবে জাগ্রত
তাদের পথ হচ্ছে নিঃস্বার্থ কর্মের। যারা ঈশ্বরের সঙ্গে যুক্ত তাদের পথ স্থিরতা ও শান্তির। মোহই পতনের কারণ মানুষের সমস্ত দুঃখের মূল হচ্ছে তার মোহ। যত বেশি মোহ করবে তত বেশি কষ্ট পাবে। পশ্চাতপ অতীতকে পাল্টাতে পারে না এবং চিন্তা ভবিষ্যৎকে গড়তে পারে না। তাই বর্তমানেই সূক্ষ যাই জীবনের আসল আনন্দ। মানব কল্যাণ হলো গীতার মূল উদ্দেশ্য। তাই নিজের কর্তব্য পালন করতে গিয়ে মানুষের মঙ্গলকেই প্রাধান্য দেওয়া উচিত। হে অর্জুন, যে ব্যক্তি আমার অলৌকিক জন্ম ও কর্মকে সত্যভাবে উপলব্ধি করে সে দেহত্যাগের পর পুনর্জন্ম নেয় না
এবং আমার পরমধামে পৌঁছে যায়। যে ব্যক্তি সমস্ত ইচ্ছাকে ত্যাগ করে সমস্ত আবেগ থেকে মুক্ত হয়ে যায় সে অপার শান্তি লাভ করে। শ্রীকৃষ্ণ বলেন, যে তোমার পাশে থাকে তার পাশে থাকো। যে তোমাকে ঠকায় তাকে ছেড়ে দাও। যেখানে তোমার সম্মান নেই সেখানে কখনো যেও না। হলে মানুষ তোমাকে দুর্বল এবং মূর্খ ভাববে। যেখানে বৃষ্টি নেই সেখানে ফসল শুকিয়ে যায়। আর যেখানে সংস্কার নেই সেখানে ভাগ্যও শুকিয়ে যায়। ঈশ্বর আমাদের যা কিছু দিয়েছেন সেটাই আমাদের জন্য যথেষ্ট এবং সেটাই চিরন্তন সত্য। সংযম, সদাচার, স্নেহ এবং সেবা এই গুণগুলো সত্য
সঙ্গ ছাড়া আসে না। ঈশ্বরের প্রতি প্রার্থনা মানুষকে পরিস্থিতি বা ভাগ্য বদলাবে কিনা সেটা নিশ্চিত নয়। কিন্তু সেই প্রার্থনা মানুষকে অন্তর থেকে বদলায়, তার চরিত্রে পরিবর্তন আনে। যে সমস্ত মানুষ বলে যে তাদের সময় নেই, প্রকৃতপক্ষে তাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের তালিকায় তোমার নামটাই নেই। কথা এতটাই মধুর হওয়া উচিত, যাতে যদি কোনদিন তা ফিরিয়ে নিতে হয়, তবু কখনো তেত না লাগে। নিজের মধ্যে সামান্য আত্মসম্মান থাকা প্রয়োজন। না হলে মানুষ তোমাকে সেখানেও দমন করার চেষ্টা করবে, যেখানে তোমার অধিকার থাকা উচিত। যতক্ষণ না তুমি
নিজেকে হার মানাও, ততক্ষণ দুনিয়ার কোন শক্তিই তোমায় হারাতে পারে না। নীরবতা হলো সবচেয়ে বড় জবাব। আর ক্ষমা করে দেওয়া হলো সবচেয়ে বড় শাস্তি। যে মানুষের মধ্যে ধৈর্যের শক্তি থাকে, তার শক্তির কোন তুলনা হয় না। আমাদের অহেতুক দুশ্চিন্তা আর মনের ভয়, এমন এক রোগ যা আমাদের আত্মার শক্তিকে ছিন্নভিন্ন করে দেয়। মানুষকে জীবনের চ্যালেঞ্জ থেকে পালানো উচিত নয় এবং ভাগ্য বা ঈশ্বরের ইচ্ছাকে অজুহাত বানিয়ে চলা উচিত নয়। দুর্বল তুমি নও। তুমি তো সময়ের সন্তান। আর সময় কারোর এক জায়গায় থাকে না। তুমি শুধু তোমার কর্ম করে যাও। যে
কখনো সংকট দেখেনি সে নিজের শক্তির আসল পরিচয় জানে না। যে মানুষ অন্যের কষ্ট বোঝে, যার মধ্যে দয়া আছে, যার হৃদয় ভালো তাদের আবার জন্ম নিতে হয় না। কাউকে কিছু দিয়ে অহংকার করো না। কে জানে তুমি দিচ্ছ না। শুধু আগের জন্মের ঋণ শোধ করছো। অহংকারী মানুষের বংশ, ঐশ্বর্য আর মর্যাদা এই তিনটেই একে একে হারিয়ে যায়। বিশ্বাস না হলে কৌরব আর কংশের উদাহরণ দেখো। যদি কারো উপর বিশ্বাস করতে চাও তবে তার কথায় নয় তার আচরণে নজর দাও। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেন যে মানুষ আমাকে চিনে যায় সে জন্ম আর মৃত্যুর বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে যায়। যা
তোমার ভাগ্যে আছে তা তোমার কাছে নিজেই এসে যাবে। আর যা তোমার নয় তা এসেও সরে যাবে। যেমন হাওয়া নৌকাকে দিগভ্রষ্ট করে দেয়। তেমনি মানুষের বাসনা তার বুদ্ধিকে বিভ্রান্ত করে তোলে। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেন, যে মানুষ সুখ-দুঃখ, মান অপমান সব অবস্থায় শান্ত থাকে, সেই মানুষই আমার কাছে অতি প্রিয়। সময় এক অদ্ভুত ব্যাপার। যদি তার সঙ্গে চলো সে তোমার ভাগ্য বদলে দেয়। আর যদি তার সঙ্গে না চলো তবে সে তোমার জীবনটাই বদলে দেয়। মানুষ কাঁদলে দুর্বল হয় একথা ঠিক নয়। বরং কান্নায় যিনি ভেঙে পড়েন তিনিই সবচেয়ে শক্তিশালী হয়ে ওঠেন। আমাদের যা
আছে তাতেই খুশি থাকা উচিত। কারণ আমরা যেমন জীবনযাপন করছি সেটাই অনেকের স্বপ্ন। পাথর হয়তো শেষ আঘাতে ভেঙে পড়ে। কিন্তু প্রথম আঘাত কখনো বৃথা যায় না। সে মানুষটিকে কখনো বিশ্বাস করো না যার স্বভাবই হলো কষ্ট দেওয়া বা প্রতারণা করা। যদি চাও সবাই তোমায় ভালোবাসুক তবে ভালোবাসার সূচনা তোমাকেই করতে হবে। কারণ প্রকৃতির নিয়ম যা বপন করবে তাই ফলবে। অনেক সময় কোন কিছু আকারে রাখা তোমার ক্ষতি করে দিতে পারে। তাই যা চলে যেতে চায় তাকে চলে যেতে দাও। চোখের জল যদিও ওজনে হালকা কিন্তু ঝরে পড়লে মনটা অনেক হালকা হয়ে যায়। মানুষ
ভুল করে অন্যদের চোখে ধুলো দিতে পারে। কিন্তু ভগবান তো সব হিসেব রাখেন। তোমার সততা আর অন্যের ভুল কখনো বোঝাতে যেও না। সময় একদিন সব নিজেই বুঝিয়ে দেবে। ঈশ্বরের সৃষ্ট একটি গাছের নিচে যেমন ধনী বসতে পারে তেমনি গরীবও বসতে পারে। দুজনই একরকম বাতাস আর ছায়া পায়। কোন তফাত নেই। এর মানে ঈশ্বর সব মানুষকে এক চোখে দেখেন। সেই মানুষটিকে কখনো উপেক্ষা করো না যে তোমায় ভালোবাসে। তোমার যত্ন নেয় তোমায় মনে করে কারণ একদিন যখন তোমার চোখ খুলবে তখন তুমি বুঝবে যে তুমি তারা গুনতে গুনতে চাঁদকে হারিয়ে ফেলেছো ধৈর্য রাখো সঠিক
সময় এলেই তুমি সবকিছু পাবে যার জন্য তুমি এতদিন পরিশ্রম করেছো অনেক সময় ঈশ্বর তোমায় ধনী করেন এই কারণে কারণ তিনি নিজে গিয়ে সবার দরজায় দরজায় সাহায্য করতে পারেন না তাই যা কিছু তোমার আছে তা ভাগ করে নিতে শেখো ধ্যান মানে হলো ভেতর থেকে হাসা। আর সেবা মানে হলো এই হাসিটাকে অন্যদের কাছে পৌঁছে দেওয়া। যখন আগামীকাল কি হবে তা জানো না তখন আজকের দিন কেন নষ্ট করছো? যে মুহূর্তে হাসা যায় সেই মুহূর্তে কাল নিয়ে কান্না করে সময় নষ্ট করার মানে নেই। সৌভাগ্যবান তারাই যারা সব ভালো পায় তা নয়। বরং সৌভাগ্যবান তারাই যারা যা পায় তা ভালো
করে নেয়। যদি শান্তি চাই তবে অন্যের কাজে আর অন্যের ভুলে মন দেওয়া বন্ধ করে দাও। শুধু নিজের জীবন আর ভালো জিনিসগুলোর দিকেই মন দাও। তুমি জলের মত হও যে নিজের পথ নিজেই তৈরি করে নেয়। পাথরের মত কঠিন হয় না যে নিজে তো থেমে যায়। অন্যের পথেও বাধা হয়ে দাঁড়ায়। যেমন অল্প একটু ওষুধ ভয়ঙ্কর রোগকে শান্ত করে দিতে পারে। ঠিক তেমনি ঈশ্বরের সামান্য স্মরণও অসংখ্য কষ্ট আর দুঃখের নাশ করে দিতে পারে। তুমি যদি নিজে সুখী হও সেটা খুব ভালো কথা। কিন্তু যদি তোমার কারণে অন্য কেউ সুখী হয় তবে তার চেয়েও বড় আনন্দ আর কিছুই হতে পারে
না। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেন, যদি কেউ তোমাকে কষ্ট দেয় তবে মন খারাপ করো না। কারণ মানুষ সবসময় সেই গাছে পাথর ছড়ে যেটার ফল সবচেয়ে মিষ্টি হয়। একবার ভাবো তো মানুষও কখনো কোন তালা তৈরি করে না চাবি ছাড়া তাহলে তিনি তো ঈশ্বর তিনি এমন কোন সমস্যা সৃষ্টি করবেন কেন যার কোন সমাধান নেই এই রূপ এই অর্থ এই ধন দৌলত এই ছলচাতুরি সবকিছুই একদিন ধ্বংস হয়ে যাবে একমাত্র তোমার সৎকর্মই তোমার সঙ্গে যাবে যে মানুষ সহজ সরল স্বভাতের তাকে কখনো দুর্বল ভেবে ভুল করো না কারণ তার সরলতা তার চারিত্রিক সংস্কার দুর্বলতা নয়। সময়ের চেয়েও বেশি মূল্যবান হয় অনুভূতি।
তাই সেই মানুষদের উপরই তা খরচ করো যারা তা বোঝে। যে সত্য কথা বলে আর সঠিক পথে চলে সেই মানুষই অধিকাংশ সময় এই পৃথিবীতে তিক্ত মনে হয়। কারো প্রতি অহংকার করো না। সবাইকে আপন করে মিশে থাকো। সে তোমার আত্মীয় হোক কিংবা বন্ধু। আঘাত শুধু শরীরে লাগলেই টের পাওয়া যায় না। আত্মায় লাগলে তার বেদনা আরো গভীর হয়, আরো তীব্র হয়। যে দান কোন শর্ত ছাড়া কর্তব্য হিসেবে নিঃস্বার্থভাবে কাউকে দেওয়া হয় সেটাই প্রকৃত দান। নিন্দার ভয় পেয়ে কখনো তোমার লক্ষ্য থেকে মুখ ফিরিও না। কারণ লক্ষ্য পূরণ হলেই নিন্দুকদের মত পাল্টে যায়। যদি
তুমি কাউকে একবার ক্ষমা করো তাহলে তুমি বুদ্ধিমান। যদি দ্বিতীয়বার ক্ষমা করো তাহলে তুমি হৃদয়বান কিন্তু যদি তৃতীয়বারও তাকে ক্ষমা করো তাহলে তুমি এই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় মূর্খ জীবনের সবচেয়ে দামি জিনিস হলো তোমার বর্তমান একবার সেটা চলে গেলে পৃথিবীর সমস্ত ধন সম্পদ দিয়েও আর তা কেনা সম্ভব নয় শ্রীকৃষ্ণ বলেন মানুষ চাইলে তার জীবন খুব সহজভাবে কাটাতে পারে কিন্তু সে তা করতে পারে না সে সারাক্ষণ দুশ্চিন্তায় ডুবে থাকে। সে অতীতের কথা ভেবে কষ্ট পায়। সে মৃত্যুকে ভয় পায়। সে জীবনে যেমন ঠিকঠাক ভাবে বাঁচতে পারে না, মৃত্যুকেও ঠিকভাবে
গ্রহণ করতে পারে না। শ্রীকৃষ্ণ বলেন, তোমার অতীত আমি পাল্টাতে পারি না। কিন্তু তোমার বর্তমান যদি তুমি সৎভাবে বাঁচো তাহলে তোমার ভবিষ্যৎ আমি নিশ্চিতভাবে উজ্জ্বল করে তুলবো। ঈশ্বরের কাছে কিছু চেয়ে না পেলে অভিমান করো না। কারণ ঈশ্বর কখনো সেটা দেন না যা তোমার কাছে ভালো লাগে। বরং তিনি সেটাই দেন যা সত্যিকারের ভালো তোমার জন্য। যেমন সমুদ্র পার হতে হলে নৌকাই একমাত্র উপায় তেমনি স্বর্গে পৌঁছানোর একমাত্র সোপান হল সত্য। আমরা কিছু না বললেও তিনি শুনে নেন। তাই তার নাম পরমাত্মা। আর তিনি কিছু না বললেও আমরা যদি অনুভব করতে পারি সেটাই
শ্রদ্ধা। কান বলেন আমি এই পৃথিবীর মাটির কোমল গন্ধ আমি আগুনের তাপ আমি সব জীবের প্রাণ আর সন্ন্যাসীদের আত্মসংযমও আমি ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বলেন যে ব্যক্তি মৃত্যুর সময় আমায় স্মরণ করে শরীর ত্যাগ করে সে আমার চিরন্তন ধামে পৌঁছায় হে মানব যদি তুমি সংসারের সব দুঃখ থেকে মুক্তি পেতে চাও তবে আমার ভক্তি করো যে আমার ভক্তি করে না সেই জীবনেও শান্তি পায় না না মৃত্যুর পর। ভগবান বলেন, যে ব্যক্তি গীতার এই গুঢ় জ্ঞানকে ভক্তদের মাঝে পৌঁছে দেয় তাদের মধ্যে প্রচার করে সে আমার অত্যন্ত প্রিয় হয়। যেমন এই জ্ঞানের মাধ্যম আমরা হয়েছি তেমনি তুমিও
মাধ্যম হও। এই অমূল্য জ্ঞানকে যতটা সম্ভব বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দাও এবং ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রিয় ভক্ত হয়ে ওঠো। বন্ধুরা যদি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের এই বাণী তোমার ভালো লেগে থাকে তবে মন্তব্যে জয় শ্রী রাধে কৃষ্ণ লিখতেই হবে।
Summary
The video transcript elaborately presents the profound teachings of the Bhagavad Gita, a sacred scripture spoken directly by Lord Krishna to Arjuna on the battlefield of Kurukshetra. It emphasizes the transformative power of regularly listening to or reading the Bhagavad Gita’s divine messages, suggesting that doing so can profoundly change one’s life by providing peace, clarity, and success. The scripture contains 18 chapters and 700 shlokas, offering timeless wisdom that addresses human dilemmas, morality, spirituality, and purpose.
Central to the Gita’s teachings is the concept that karma (action) is the highest dharma (duty). Humans are born to perform righteous actions without attachment to the results. One must focus on duty with sincerity and avoid worrying about outcomes, as every action yields corresponding fruits. The Gita teaches to remember God sincerely and have unwavering faith, surrendering fully to the divine as the ultimate refuge. This surrender frees one from fear, anxiety, and worldly sorrow.
The transcript also highlights key spiritual and ethical lessons such as maintaining a calm and peaceful mind, rejecting anger and jealousy, practicing forgiveness, and controlling desires and emotions. It stresses that truth shines like light in darkness and that one should always follow the path of righteousness regardless of difficulties. The transient nature of life and bodily existence is underscored, encouraging detachment from materialism and attachment to the eternal soul.
The Gita’s wisdom urges individuals to embrace change, avoid comparisons with others, cultivate compassion, and live selflessly for the welfare of humanity. Importantly, it teaches that inner transformation through devotion, knowledge, and disciplined action leads to liberation and eternal peace. Moreover, the transcript calls for spreading the Gita’s knowledge widely, as those who share and live its teachings become beloved by Lord Krishna.
In summary, the video is a motivational and spiritual guide based on the Bhagavad Gita, inviting viewers to absorb its divine messages daily to overcome life’s challenges, achieve mental tranquility, spiritual awakening, and ultimately attain Moksha (liberation).
Highlights
- 🌟 The Bhagavad Gita is a divine scripture spoken by Lord Krishna, containing 18 chapters and 700 shlokas of profound spiritual wisdom.
- 🕉️ Karma (selfless action) is the highest duty; focus on performing righteous deeds without attachment to results.
- 🙏 Complete surrender and devotion to God lead to liberation from fear, sorrow, and worldly suffering.
- 🧘♂️ Maintaining a peaceful and controlled mind is essential for success and happiness in life.
- 🌱 Truth and righteousness always prevail, while falsehood and deceit ultimately fail.
- 🔄 Life is transient; the soul is eternal, and embracing change is key to spiritual growth.
- 📚 Sharing and living by the Gita’s teachings brings divine blessings and transforms one’s life.
Key Insights
-
🌿 Karma Yoga – The Path of Selfless Action: The Gita’s core teaching is that every human is born to perform their duties without attachment to the fruits of actions. This detachment from results reduces anxiety and fosters inner peace. The law of karma ensures that good deeds bring positive outcomes and bad deeds bring suffering, emphasizing moral responsibility and ethical living.
-
🛡️ Faith as the Ultimate Refuge: Lord Krishna advises complete trust and surrender to the divine as the greatest protection against life’s fears and uncertainties. Like a child who fears no fall because a parent will catch them, faith in God provides emotional strength and resilience. This surrender dissolves ego and fear, opening the door to spiritual freedom.
-
🧠 Control of Mind and Emotions: The mind is described as restless and fickle, constantly pulled by desires and distractions. Mastery over the mind through meditation, discipline, and positive thinking is crucial for personal success and spiritual liberation. Without this control, the mind becomes one’s biggest enemy, leading to confusion and suffering.
-
🔥 Transient Nature of the Physical Body: The Gita teaches that the body is composed of five elements and is temporary, while the soul is eternal and immutable. Understanding this truth helps reduce attachment to material possessions and bodily identity, encouraging a focus on spiritual development and preparation for the cycle of birth and death.
-
💖 Compassion and Forgiveness as Strengths: The teachings emphasize the importance of kindness, compassion, and forgiveness. These virtues purify the heart and promote harmony, while anger, pride, and envy cause inner turmoil and societal discord. Forgiveness is portrayed as a sign of both wisdom and strength, contributing to one’s spiritual progress.
-
🕊️ Truth and Righteousness as the Guiding Lights: Truth is likened to light that dispels darkness, and righteousness is the only path leading to lasting peace and fulfillment. The Gita encourages steadfastness in truth, even when faced with opposition or hardship, reinforcing the idea that integrity is more valuable than temporary success.
-
💫 Spreading the Wisdom of the Gita: The video stresses the duty of those who understand the Gita’s profound knowledge to share it with others. By propagating these teachings, one not only helps others find peace and purpose but also becomes beloved by Lord Krishna. This underlines the communal and selfless aspect of spiritual growth.
-
🕉️ Detachment From Outcomes and Embrace of Present Moment: One of the most practical lessons is the encouragement to live fully in the present moment without undue worry about past failures or future uncertainties. This acceptance leads to a more balanced and joyful life, freeing the individual from unnecessary mental suffering.
-
🌊 The Power of Devotion and Bhakti: Devotion or Bhakti towards God is presented as a transformative force that purifies the heart and mind and grants liberation. It is not mere ritual but heartfelt love and surrender that connect the individual soul to the supreme consciousness, bringing ultimate peace.
-
🌞 Equanimity in Success and Failure: The Gita teaches maintaining mental equanimity regardless of external circumstances such as success, failure, praise, or insult. This balanced attitude prevents emotional disturbance and helps maintain clarity for wise decision-making.
-
🕊️ Self-Respect and Self-Worth: Maintaining self-respect and dignity is vital. The teachings warn against allowing others to diminish one’s worth or respect, emphasizing inner strength and confidence as necessary for a fulfilling life.
-
🎯 Purposeful Living and Duty: The video stresses that living with awareness of one’s duties and responsibilities, while prioritizing the welfare of others, is the highest form of life. This purposeful living leads to harmony and spiritual satisfaction.
-
🌻 Overcoming Attachment and Ego: The Gita warns that attachment, ego, and material desires are the root causes of suffering and bondage. Freedom comes from renouncing these attachments while engaging in righteous action.
-
🔔 The Role of Time and Patience: Time is an unstoppable force that shapes destiny. Patience and perseverance aligned with time’s flow help one achieve goals. Impatience causes unnecessary suffering, whereas patience is a virtue that brings success.
-
🕊️ Inner Peace as the Greatest Wealth: The ultimate treasure is inner peace and tranquility of mind. No material wealth can compare with a calm and steady mind. Spiritual practices and righteous living cultivate this priceless wealth.
The video is a comprehensive spiritual guide that distills the essence of the Bhagavad Gita into practical advice for daily living, encouraging viewers to adopt its teachings to overcome fear, doubt, and sorrow, and lead a life of peace, purpose, and devotion.
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার ১৫১টি ঐশ্বরিক বাণী – ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মুখনিশ্রুত জীবনের সেরা উপদেশ”
(Shrimad Bhagavad Gita 151 Divine Teachings by Lord Krishna)
🌺 ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণীসমূহ (ক্রম অনুসারে):
১. কর্মই সর্বোচ্চ ধর্ম — ফলের চিন্তা না করে কর্তব্য পালন করো।
২. যেমন কর্ম, তেমনই ফল। ভালো করো, ভালো ফল পাবে।
৩. যে রূপে ঈশ্বরকে স্মরণ করবে, ঈশ্বরও সেই রূপেই দর্শন দেবেন।
৪. শক্তি দুশ্চিন্তায় নয়, সমস্যার সমাধানে ব্যবহার করো।
৫. অসৎ দেখা-শোনা থেকেই অসৎতা শুরু হয়।
৬. ভগবানের নাম না জপে যে বাঁচে, সে মোক্ষের সিঁড়ি থেকেও দূরে থাকে।
৭. ঈশ্বরভক্তিই দুঃখ থেকে মুক্তির একমাত্র পথ।
৮. ভগবানে সম্পূর্ণ সমর্পণই মুক্তির আসল আশ্রয়।
৯. ভরসা রাখো সেই শিশুর মত, যাকে ছুঁড়ে দিলেও সে হাসে।
১০. মন ছোট করো না — কৃষ্ণ বলেন, “আমি তোমার পাশে আছি।”
১১. নিজের সঙ্গে তুলনা করো, অন্যের সঙ্গে নয়।
১২. প্রেরণার উৎস তোমার নিজের ভাবনা।
১৩. যে দুঃখ ভোগ করে, সে সুখী হতে পারে; যে দুঃখ দেয়, সে নয়।
১৪. করুণা রাখো, ক্রোধ নয়।
১৫. সত্য কঠোর মনে হতে পারে, কিন্তু সে জীবনের ওষুধ।
১৬. মন শান্ত রাখা পৃথিবীর সর্বোচ্চ সম্পদ।
১৭. সময়ের আগে কিছুই কারো কপালে জোটে না।
১৮. জীবন কঠিন লাগে, যখন আমরা পরিবর্তন এড়াতে চাই।
১৯. সত্য নিজের আলোয় জ্বলে, মিথ্যে দাবি করে সে-ই সত্য।
২০. “কি হারিয়েছো?” — কৃষ্ণ বলেন, “সবই তো পরিবর্তনের নিয়মে।”
২১. শরীর নয়, আত্মাই চিরন্তন।
২২. পাঁচভূতে তৈরি দেহ একদিন সেই পাঁচভূতেই মিশে যাবে।
২৩. ভাগ্যের আগে বা পরে কিছুই পাওয়া যায় না।
২৪. কথার আঘাত কখনো সারে না — বাকসংযম শিখো।
২৫. ধর্মের জন্য যুদ্ধ করো, অধর্মীর কাল হও।
২৬. সত্য জলের উপর তেলের বিন্দুর মতো ভেসে থাকে।
২৭. উত্তম আচরণই মানুষকে মহান করে।
২৮. অন্যের ভালো না পারলে, খারাপও করো না।
২৯. গীতার জ্ঞান জীবনের পাপ মোচন করে।
৩০. মৃত্যু সত্য, আত্মা অমর।
৩১. জ্ঞানীরা জীবিত-মৃত কারো জন্য শোক করেন না।
৩২. সহায় হও, স্বার্থপর নয় — প্রদীপের মতো আলো ভাগ করো।
৩৩. ধর্মী হৃদয়ই ধর্মের উপদেশ দিতে পারে।
৩৪. দুঃখ আসে, কারণ মানুষ ঈশ্বরের কথা শোনে না।
৩৫. সময়ের আগে কিছু পেতে চাওয়াই দুঃখের মূল।
৩৬. ক্রোধ নরকের দ্বার।
৩৭. মনকে আয়ত্তে আনলে মনই বন্ধু, না আনলে শত্রু।
৩৮. সন্দেহ মনের শান্তি নষ্ট করে।
৩৯. স্বভাবের সৌন্দর্য হৃদয় জয় করে।
৪০. সুখ বর্তমানেই — যদি মন সৎ হয়।
৪১. অন্যের কাজ থেকে দূরে থাকো, তবেই শান্তি।
৪২. ক্ষমা আর নীরবতা মানুষকে শক্তিশালী করে।
৪৩. রাগে বা আনন্দে সিদ্ধান্ত নিও না।
৪৪. পাপ বাড়লে আমি অবতার গ্রহণ করি — ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য।
৪৫. মোহই মানুষের পতনের কারণ।
৪৬. বর্তমানেই জীবনের আনন্দ।
৪৭. নিঃস্বার্থ কর্মই মোক্ষের পথ।
৪৮. ঈশ্বরের অলৌকিক কর্ম জানলে পুনর্জন্ম হয় না।
৪৯. সব ইচ্ছা ত্যাগ করলেই শান্তি আসে।
৫০. যেখানে সম্মান নেই, সেখানে যেও না।
৫১. সংস্কারহীন জায়গায় ভাগ্য শুকিয়ে যায়।
৫২. প্রার্থনা ভাগ্য বদলায় না, কিন্তু মানুষ বদলায়।
৫৩. মধুর কথা বলো, যাতে ফিরিয়ে নিতে গেলেও তেতো না লাগে।
৫৪. আত্মসম্মান রাখো, নইলে সবাই তোমাকে দমন করবে।
৫৫. যতক্ষণ তুমি হার মানাও না, কেউ তোমাকে হারাতে পারবে না।
৫৬. নীরবতা জবাব, ক্ষমা শাস্তি।
৫৭. ধৈর্যই শক্তির সর্বোচ্চ রূপ।
৫৮. ভয় আর দুশ্চিন্তা আত্মাকে দুর্বল করে।
৫৯. দুর্বল তুমি নও — তুমি সময়ের সন্তান।
৬০. যে অন্যের কষ্ট বোঝে, সে আর জন্ম নেয় না।
৬১. দান করে অহংকার করো না — এটা পুরোনো ঋণ শোধ।
৬২. অহংকার বংশ, ঐশ্বর্য ও মর্যাদা নষ্ট করে।
৬৩. বিশ্বাস কথায় নয়, আচরণে বোঝো।
৬৪. যে কৃষ্ণকে জানে, সে জন্মমৃত্যুর বন্ধন ছাড়ে।
৬৫. তোমার ভাগ্যের জিনিস নিজে থেকেই আসবে।
৬৬. বাসনা বুদ্ধিকে বিভ্রান্ত করে।
৬৭. সুখে-দুঃখে সম থাকাই ভগবানের প্রিয়তা।
৬৮. সময়ের সঙ্গে চললে সে ভাগ্য বদলায়।
৬৯. কান্না দুর্বলতা নয়, শক্তির পরিচয়।
৭০. যা আছে তাতেই খুশি থাকো।
৭১. প্রতিটি প্রচেষ্টাই ফল আনে, কোনোটাই বৃথা যায় না।
৭২. প্রতারককে বিশ্বাস করো না।
৭৩. ভালোবাসার সূচনা নিজে করো।
৭৪. যা চলে যেতে চায়, তাকে যেতে দাও।
৭৫. চোখের জলে মন হালকা হয়।
৭৬. ভগবান সব হিসেব রাখেন — সততা রক্ষা করো।
৭৭. ঈশ্বর সবাইকে সমানভাবে ভালোবাসেন।
৭৮. ভালোবাসাকে অবহেলা করো না, একদিন আফসোস হবে।
৭৯. সঠিক সময়ে সবই পাওয়া যায়।
৮০. ঈশ্বর ধন দেয় যাতে তুমি ভাগ করে নিতে পারো।
৮১. ধ্যান মানে ভেতর থেকে হাসা, সেবা মানে সেই হাসি বিলানো।
৮২. আগামীকাল অজানা — আজকে বাঁচো।
৮৩. যা আছে, সেটাই অনেকের স্বপ্ন।
৮৪. শান্তি পেতে অন্যের ভুলে মন দিও না।
৮৫. জলের মত হও, নিজের পথ নিজে গড়ো।
৮৬. ঈশ্বরের সামান্য স্মরণেই অসীম শান্তি আসে।
৮৭. নিজের সুখের চেয়ে অন্যের সুখে আনন্দ খোঁজো।
৮৮. ফলওয়ালা গাছেই পাথর পড়ে — কষ্টে ভয় পেও না।
৮৯. ঈশ্বর কখনো সমস্যার সৃষ্টি করেন না সমাধান ছাড়া।
৯০. কেবল সৎকর্মই চিরসঙ্গী।
৯১. সরলতা দুর্বলতা নয় — এটি সংস্কারের শক্তি।
৯২. অনুভূতি সময়ের চেয়ে মূল্যবান।
৯৩. সত্য মানুষকে তিক্ত মনে হয়, কিন্তু সে-ই শ্রেষ্ঠ।
৯৪. সবাইকে আপন করে মিশে থাকো।
৯৫. আত্মার আঘাত সবচেয়ে গভীর।
৯৬. নিঃস্বার্থ দানই প্রকৃত দান।
৯৭. নিন্দা ভয় পেও না — সফলতা এলে তারা বদলাবে।
৯৮. বারবার ক্ষমা করো না — আত্মসম্মান রাখো।
৯৯. বর্তমানই জীবনের সবচেয়ে দামি সম্পদ।
১০০. দুশ্চিন্তা জীবনের নষ্টতা, ভয় মৃত্যুর আগমন।
১০১. অতীত পাল্টানো যায় না, বর্তমান বদলালে ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয়।
১০২. ঈশ্বর ভালো দেয়, আনন্দ নয় — কল্যাণের জন্য।
১০৩. স্বর্গে পৌঁছানোর পথ সত্য।
১০৪. তিনি শোনেন, এমনকি আমরা না বললেও।
১০৫. শ্রদ্ধা মানে অনুভব করা, দেখা নয়।
১০৬. “আমি মাটির গন্ধ, আগুনের তাপ, জীবের প্রাণ।” — কৃষ্ণ।
১০৭. মৃত্যুর সময় কৃষ্ণ স্মরণ মানেই মোক্ষ।
১০৮. ভগবদ্ভক্তি জীবন ও মৃত্যুর শান্তির পথ।
১০৯. গীতার জ্ঞান প্রচারকারী ভক্তরা কৃষ্ণের অতি প্রিয়।
১১০. ঈশ্বর কখনো তোমার পাশে থেকে তোমাকে ফেলে যান না।
১১১. যিনি প্রেম দেন, তিনিই পরম সত্য।
১১২. ভক্তি মানে ঈশ্বরের মধ্যে নিজেকে বিলানো।
১১৩. অহংকার যত বাড়ে, শান্তি তত কমে।
১১৪. জীবন এক যাত্রা — গন্তব্য নয়।
১১৫. যা ত্যাগ করো, তাই মুক্তি আনে।
১১৬. সুখ খুঁজো নিজের মধ্যে।
১১৭. মৃত্যু শেষ নয়, নবযাত্রার শুরু।
১১৮. ঈশ্বর সবসময় ন্যায়বিচার করেন।
১১৯. যতই রাত হোক, ভোর আসবেই।
১২০. ধৈর্য ও বিশ্বাসে চূড়ান্ত সাফল্য আসে।
১২১. প্রার্থনা দুর্বলতার নয়, শক্তির পরিচয়।
১২২. আত্মনিয়ন্ত্রণই প্রকৃত বিজয়।
১২৩. মানুষের প্রকৃত পরিচয় তার আচরণে।
১২৪. সবকিছুরই সময় আছে।
১২৫. নিজের কাজ করো, ফল ঈশ্বরের হাতে ছেড়ে দাও।
১২৬. প্রেমে ভয় নেই — ভয় থাকলে সেটা আসক্তি।
১২৭. সেবা আত্মাকে পরিশুদ্ধ করে।
১২৮. ঈশ্বর তোমার প্রতিটি নিঃশ্বাসে আছেন।
১২৯. কৃতজ্ঞতাই জীবনের আসল সৌন্দর্য।
১৩০. অহংকার মানুষকে অন্ধ করে।
১৩১. নিঃস্বার্থ ভালোবাসাই ঈশ্বরের রূপ।
১৩২. জ্ঞান আলো, অজ্ঞান অন্ধকার।
১৩৩. মন যেখানে ভগবানে স্থির, সেখানেই মুক্তি।
১৩৪. যা হারিয়েছো তা একদিন ফিরে আসবে অন্য রূপে।
১৩৫. সুখ বাহিরে নয়, অন্তরে।
১৩৬. নীরবতা মানে শান্তি, নয় দুর্বলতা।
১৩৭. ঈশ্বরের প্রেমই চিরন্তন।
১৩৮. ধন নয়, ধর্মই মানুষের প্রকৃত সম্পদ।
১৩৯. মানুষই নিজের ভাগ্য নির্মাতা।
১৪০. ভগবানের পথে বাধা নেই, পরীক্ষা আছে।
১৪১. মৃত্যু ভয় নয়, মোক্ষের দ্বার।
১৪২. সত্য জানলে মিথ্যে নিজেই মুছে যায়।
১৪৩. যত কম চাও, তত বেশি শান্তি।
১৪৪. প্রেমের পরিণতি হলো আত্মা।
১৪৫. ঈশ্বর সর্বত্র — তাই কারো প্রতি হিংসা রেখো না।
১৪৬. প্রতিটি দিন নতুন সুযোগ।
১৪৭. নিজের ভেতর আলো জ্বালাও, বাইরের অন্ধকার দূর হবে।
১৪৮. কৃতজ্ঞ মনেই ঈশ্বর বাস করেন।
১৪৯. জীবন যত সহজ করো, তত মধুর হবে।
১৫০. যে গীতা শোনে, তার ঘরে কৃষ্ণ স্বয়ং আগমন করেন।
১৫১. যে এই বাণীগুলো জীবনে গ্রহণ করে, তার জীবনে শান্তি ও সফলতা নিশ্চিত।

No comments: