গুরু ভাই বোনসহ সকল সনাতনী ভাই বোনদের জানাই স্বাগত ,উদ্দেশ্য গুরু দেবের অমৃত বানী সকলের মাঝে প্রচার করা।

শ্রীশ্রী রামঠাকুর — গুরুগণ ও ভোগ নিবেদন

 

শ্রীশ্রী রামঠাকুর — গুরুগণ ও ভোগ নিবেদন

শ্রীশ্রী রামঠাকুর — গুরুগণ ও ভোগ নিবেদন

• পৃষ্ঠা সংখ্যা ২০১

শ্রীগুরুকে ভোগ নিবেদন করিলে সকল দেবদেবী সন্তুষ্ট হন। উৎসবাদিতে তিন পাত্রে ভোগ সমভাবে দিতে হয় — তিন পাত্র অর্থাৎ পরমগুরু, শ্রীগুরু এবং গুরুগণ (৭২ গুরুগণ)।

— শ্রীশ্রী রামঠাকুর।

জয় গুরু জয় রাম। শুভ সকালের শুভেচ্ছা।

সেইদিন সদানন্দদাদা আরও বলিয়াছিলেন যে, শ্রীশ্রীঠাকুর বলিতেন যে, নিত্যভোগ এক পাত্রেই দেয়া যাইতে পারে। শ্রীগুরুকে ভোগ নিবেদন করিলে সকল দেবদেবী সন্তুষ্ট হন। উৎসবাদিতে তিন পাত্রে সমভাবে দিতে হয়। তিন পাত্র অর্থাৎ পরমগুরু, শ্রীগুরু এবং গুরুগণ।

এইখানে তাঁহাকে প্রশ্ন করা হইয়াছিল যে, গুরুগণ বলিতে কাহারা বা কাদেরকে বুঝায়? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি একটি ঘটনার উল্লেখ করিয়া যাহা বলিয়াছিলেন তাহা এই রকম:

শ্রীশ্রীঠাকুর রামচন্দ্রদেব একবার কলিকাতায় কালিঘাটের সন্নিকটে জনৈক আশ্রিত ভদ্র মহিলার গৃহে শুভবিজয় করিতেছিলেন। সেখানে একদিন ঠাকুর মহাশয় এক ফর্দ কাগজে কয়েকজন মহাত্মার নাম লিখিয়া গৃহকর্তী ভদ্র মহিলার হাতে কাগজখানা দিয়া তিনি কহিলেন,

“মা, এইখানে বাহাত্তর জন মহাত্মার নাম লিখ্যা দিলাম, এনারা সকলেই আপনাদের পূজনীয়।”

ভদ্রমহিলাকে ঠাকুর মহাশয় যখন ওই কথাগুলি বলিতেছেন, শ্রদ্ধেয় প্রভাত চক্রবর্ত্তী মহাশয় তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন। শ্রীমুখে ওইরূপ কথা শুনিয়া প্রভাতবাবু ঠাকুরকে জিজ্ঞাসা করিলেন,

“এই মহাত্মাগণ যখন আমাদের পূজনীয় তখন এনাদের সকলকে বিধিমতে পূজা করা আমাদের কর্ত্তব্য।”

ঠাকুর মহাশয় তাহার উত্তরে বলিলেন,

“হ, এনারা সকলেই আপনাদের এই পথের সহায় সম্বল। এই মহাত্মাগণের কৃপায় আপনারা সকলেই ধন্য।”

জানা গিয়াছে ইহার পরে একদিন কালিঘাটের ঐ ভদ্র মহিলার উৎসাহ ও অনুরোধে তাঁহার গৃহে শ্রীশ্রীঠাকুর প্রদত্ত বাহাত্ত্বোর জন মহাত্মার নামের তালিকাখানা সম্মুখে রাখিয়া শ্রীযুক্ত প্রভাত চক্রবর্ত্তী মহাশয় প্রত্যেক মহাত্মার নামে নামে বিধিমত পূজা করিয়াছিলেন। প্রভাতবাবুর সেই পূজা সম্পূর্ণ হইতে রাত্রি প্রায় ভোর হইয়া যায়।

নিষ্ঠাবান প্রভাতবাবু একবার পূজায় বসিলে কোনরূপ ফাঁকি তাঁহার চরিত্রে ছিল না। ঠাকুর মহাশয়ের লিখিত নামের তালিকানুযায়ী প্রত্যেক মহাত্মাকে বিধিমতে ষোড়শোপচারে পূজা করিতে কয়েক ঘন্টা কাটিয়া যায়।

পূজা শেষ হইতে বিলম্ব দেখিয়া পূজা দর্শনার্থী সকলে একে একে যে যাহার গৃহে প্রত্যাবর্ত্তন করেন। ছোট ছোট শিশুরা প্রসাদ না পাইয়া চলিয়া গিয়াছে শুনিয়া সেদিন পূজা শেষে প্রভাতবাবুর আক্ষেপের শেষ ছিল না।

পরবর্তীকালে তাহা শুনিয়া ঠাকুর মহাশয় উক্তি করিয়েছিলেন,

“গুরুগণেভ্যো নমঃ বলিয়া সকলকে এক সাথে ফুল তুলসী দান করলেও এনারা সন্তুষ্ট হন।”

শ্রীশ্রীঠাকুরের শ্রীমুখে ঐরূপ কথা শুনিবার পরে তখনকার ঠাকুরের আশ্রিত বর্গদের মনে দৃঢ় ধারণা হইয়াছিল যে, এই সকল মহাত্মাগণ সূক্ষ্ম ভাবে শ্রীশ্রী ঠাকুরের নিত্য সঙ্গীরূপে থাকেন। এই মহাত্মাগণই গুরুগণ বলিয়া খ্যাত।

এই প্রেক্ষিতে সদানন্দ দা নিকট জানিয়াছিলাম যে, তিনি ঠাকুর মহাশয় দ্বারা লিখিত মহাত্মাদের নামের সে ফর্দখানা সংগ্রহ করিতে অনেক চেষ্টা করিয়াও ব্যর্থ হইয়াছেন। প্রভাতবাবুর সহিত তাঁহার সাক্ষাৎ হয় নাই। সেই রহস্যের কথা পূর্বে বলা হইয়াছে।

অনেক খোঁজ খবর করিয়া সদানন্দ বাবু কালিঘাট

শ্রীশ্রী রামঠাকুর — গুরুগণ ও ভোগ নিবেদন শ্রীশ্রী রামঠাকুর — গুরুগণ ও ভোগ নিবেদন Reviewed by শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ নমঃ(SriSriramthakur O gan Ganer vhovon Youtube channel) on October 29, 2025 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.