অক্ষয় কুমার মজুমদার মহাশয় ভবানীপুরের বাড়িতে থাকাকালীন ঠাকুরমশাই ওনাকে নিয়ে বাড়ির অনতিদূরে এক দোকানে সিংহাসন কিনতে গিয়েছিলেন। ঠাকুরমশাই এই সিংহাসন পছন্দ করে কাঁধে তুলে বাড়িতে এনে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ঠাকুরমশাই নিজ কাঁধে সিংহাসন তোলা মাত্র অক্ষয় কুমার মজুমদার মহাশয় প্রবল বাঁধা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন ঠাকুরমশাই আপনি এ কি করছেন, আমার কাঁধে দিন। ঠাকুরমশাই নাছোড়বান্দা, এতে অক্ষয় কুমার মজুমদার মহাশয় অত্যন্ত লজ্জিত ও কুন্ঠাবোধ করলেও ঠাকুরমশাইকে একাজে বিরত করতে পারেননি।
@এই সেই সিংহাসন।
আসলে ঠাকুরমশাই সবসময় সব কাজ নিজ হাতে করতে ভালবাসতেন এবং যখন যে পরিবারে অবস্থান করতেন তখন সেই পরিবারের একজন দায়িত্বশীল অভিবাবক সদস্য হয়ে যেতেন। কোনো কাজকেই ছোটো বলে গণ্য করতেন না। হয়তো এটাও তারই এক উদাহরণ। ঠাকুরমশাই ভক্তদের মধ্যে এই শিক্ষাও বিতরণ করেছেন যে কোন কাজই ছোটো নয় যদি সৎপথে করা যায় এবং পরিশ্রমের বিকল্প কিছু নেই। এভাবে প্রতি সময়ে প্রতি মূহুর্তে ঠাকুরমশাই এর কর্মজীবনে বারবার এমন কর্মের নিদর্শন বিদ্যমান।
 
ঠাকুর সবার আহারের পরে ভৃত্যকে ভাত-তরকারি দিয়া একটি থালায় কিছু ভাত-তরকারি লইয়া জঙ্গলের দিকে চলিলেন। সদানন্দবাবু তাঁহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ গিয়া দেখিলেন যে, জঙ্গলের মধ্যে ঠাকুর থালাটি হাতে লইয়া দাঁড়াইয়া রহিয়াছেন, এমন সময় একটি কৃষ্ণকায় গাভী আসিয়া থালা হইতে ভাত-তরকারি খাইতে আরম্ভ করিল। ঠাকুরের এই কার্য্য দেখিয়া সদানন্দবাবু আশ্চর্য্যান্বিত হইয়া গরুটির খাওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত চুপ করিয়া দাঁড়াইয়া ছিলেন। ঠাকুর শূন্য থালা-হাতে ফিরিলে সদানন্দবাবু জিজ্ঞাসা করিলেন, "নিজে না খাইয়া ঐ গাভীটিকে খাওয়াইলেন?" ঠাকুর বলিলেন, "আমার খাওয়ার প্রয়োজন হয় না।" সদানন্দ বাবু বলিলেন, "আমার ভাত নষ্ট করেন কেন? " ঠাকুর বলিলেন, "আমি খাইলেও ত আপনার চাউল খরচ হইত, তাই আমি না খাইয়া গরুটিকে খাওয়াইলাম, ইহাতে আপনার কোন ক্ষতি হয় নাই।" সদানন্দবাবু ঠাকুরকে জিজ্ঞেসা করিলেন, " আহারের যদি প্রয়োজন না থাকে তবে কেন আপনি চাকুরী করেন?" ঠাকুর বলিলেন, "চাকুরি করি আমার মাতার ভরণ পোষণের জন্য।"জয়রাম 
"শ্রীগুরু শ্রীশ্রীরামঠাকুর" - শ্রীরোহিনী কুমার মজুমদার
ঠাকুর সবার আহারের পরে ভৃত্যকে ভাত-তরকারি দিয়া একটি থালায় কিছু ভাত-তরকারি লইয়া জঙ্গলের দিকে চলিলেন। সদানন্দবাবু তাঁহার পশ্চাৎ পশ্চাৎ গিয়া দেখিলেন যে, জঙ্গলের মধ্যে ঠাকুর থালাটি হাতে লইয়া দাঁড়াইয়া রহিয়াছেন, এমন সময় একটি কৃষ্ণকায় গাভী আসিয়া থালা হইতে ভাত-তরকারি খাইতে আরম্ভ করিল। ঠাকুরের এই কার্য্য দেখিয়া সদানন্দবাবু আশ্চর্য্যান্বিত হইয়া গরুটির খাওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত চুপ করিয়া দাঁড়াইয়া ছিলেন। ঠাকুর শূন্য থালা-হাতে ফিরিলে সদানন্দবাবু জিজ্ঞাসা করিলেন, "নিজে না খাইয়া ঐ গাভীটিকে খাওয়াইলেন?" ঠাকুর বলিলেন, "আমার খাওয়ার প্রয়োজন হয় না।" সদানন্দ বাবু বলিলেন, "আমার ভাত নষ্ট করেন কেন? " ঠাকুর বলিলেন, "আমি খাইলেও ত আপনার চাউল খরচ হইত, তাই আমি না খাইয়া গরুটিকে খাওয়াইলাম, ইহাতে আপনার কোন ক্ষতি হয় নাই।" সদানন্দবাবু ঠাকুরকে জিজ্ঞেসা করিলেন, " আহারের যদি প্রয়োজন না থাকে তবে কেন আপনি চাকুরী করেন?" ঠাকুর বলিলেন, "চাকুরি করি আমার মাতার ভরণ পোষণের জন্য।"
জয়রাম 



"শ্রীগুরু শ্রীশ্রীরামঠাকুর" - শ্রীরোহিনী কুমার মজুমদার
কৃপাধন্য_অক্ষয়_কুমার_মজুমদার :
Reviewed by শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ নমঃ(SriSriramthakur O gan Ganer vhovon Youtube channel)
on
October 18, 2025
Rating:

No comments: