গুরু ভাই বোনসহ সকল সনাতনী ভাই বোনদের জানাই স্বাগত ,উদ্দেশ্য গুরু দেবের অমৃত বানী সকলের মাঝে প্রচার করা।

শ্রীশ্রীরামঠাকুরের লীলানুধ্যান :--- শ্রীশ্রীরামঠাকুর নিজের বিগ্রহকে নিজেই প্রণাম করতেন।

 শ্রীশ্রীরামঠাকুরের লীলানুধ্যান :---
শ্রীশ্রীরামঠাকুর নিজের বিগ্রহকে নিজেই প্রণাম করতেন।

নিজের শ্রীপটে বিভিন্ন জায়গায় নিজেই প্রণাম করেছেন পূজো করেছেন।
করিমগঞ্জের ক্ষিতি ভূষণ সেন মহাশয়ের বাড়ীতে ঠাকুরের অবস্থানের সময় ঠাকুর এই লীলা দেখিয়েছেন।
ক্ষিতি বাবুর বাড়ীতে ঢুকতে একটি প্রশস্ত বারান্দা এবং একমাথায় ঠাকুরঘর।
ওই ঠাকুরঘরে শ্রীশ্রীঠাকুরের একখানা শ্রীপট আছে। শ্রীশ্রীঠাকুর এই শ্রীপটে পূজো করেছিলেন।
ডাঃ ক্ষিতি ভূষণ সেন মহাশয় ও তাঁর সহধর্মিণী চারুপ্রভা সেন মহাশয়াকে নাম প্রদানের পর শ্রীশ্রীঠাকুর নিজ টিনের স্যুটকেশ খুলে কাঁচ দিয়ে বাঁধানো শ্রীশ্রীকৈবল্যনাথের একখানা শ্রীপট ক্ষিতিবাবুর স্ত্রী চারুপ্রভা সেন মহাশয়া-র হাতে দিয়ে বলেছিলেন --

"মা, এই নেন। এই আপনার গুরু।
এই পট আসনে বসাইয়া পূজা করবেন। কোন চিন্তা নাই। আমি সর্বক্ষণ আছি। আমি আপনাগো বাড়িতে যামু।"
ঘরে আসার রাস্তা ওই বারান্দা দিয়েই ছিল।
শ্রীশ্রীঠাকুর ওই বাড়ীতে ওই ঠাকুর ঘরের সামনে দিয়েই আসতেন বা বেরোতেন।
ঠাকুরঘরের সামনে দাঁড়িয়ে শ্রীশ্রীঠাকুর নিজেই নিজের বিগ্রহকে হাত জোড় করে প্রণাম করতেন।
এ এক বিরল ঘটনা।

কোন মহাপুরুষ নিজের বিগ্রহকে নিজেই পূজা করেন বা নমস্কার করেন এমন ঘটনা জানা যায় না।
বিগ্রহতে যে শ্রীশ্রীঠাকুর অবস্থান করেন সে কথা ঠাকুর নিজেই নমস্কার করে বুঝিয়ে দিয়েছেন।
তিনি বোঝালেন শ্রীশ্রীঠাকুর এবং তাঁর বিগ্রহ সমান।
তাঁর ছবিতে তিনি সমভাবে প্রকাশিত।
এছাড়া গৃহে প্রবেশ ও বাইরে বেরোনোর সময় প্রতিবারই ঠাকুরকে নমস্কার করে ঢোকার পদ্ধতি, শির অবনত করে ঠাকুরের কাছে আত্ম সমর্পণ করে গৃহ থেকে নির্গমন ও প্রবেশ - ঠাকুর আমাদের বোঝালেন।
ঠাকুর সরল সহজ করে শ্রীমদ্ভাগবদগীতা ও শ্রীশ্রীচণ্ডী ইত্যাদি পাঠ করে বুঝিয়ে দিতেন।
ডাঃ ক্ষিতি ভূষণ সেনকে তিনি কখনো ডাক্তারবাবু আবার কখনো বা ক্ষিতিবাবু বলেই ডাকতেন।
ঠাকুরকে নিয়ে সকালে ভ্রমণের আগে

ক্ষিতি বাবু চণ্ডী পাঠ করতেন। কিন্তু চণ্ডীর একটা জায়গায় অর্থ বুঝতে অসুবিধা হয়েছিল।
একথা ক্ষিতি বাবু কাউকে বলেন নি।
সকালে ঠাকুরকে নিয়ে হাঁটতে বেরোনোর কিছুক্ষণ পরে ঠাকুর নিজে থেকেই বললেন
"ডাক্তারবাবু শ্রীশ্রীচণ্ডীর ওই জায়গাটা আপনের বুঝতে অসুবিধা হইছিল। আমি তার অর্থ এইভাবে হইব বইলা দিতাছি।"
ক্ষিতি বাবু বললেন -- "আপনি কিভাবে জানলেন যে ওই বিশেষ জায়গাটা বুঝতে আমার অসুবিধা হইছে?"
ঠাকুর বললেন--- "ওই যে বায়োস্কোপ দেখেন না? চোখের সামনে দিয়ে সব আসে যায়, আমিও ওই বায়োস্কোপের মতই সব দেখতে পাই।"
এর থেকেই প্রতীয়মান হয় শ্রীশ্রীঠাকুর সর্ব বিদ্যা বিশারদ, পরম জ্ঞানী এবং অন্তর্যামী।
প্রতিটি আশ্রিতের মনের কথা তিনি জানেন বলেই শ্রীশ্রীচণ্ডীর অবোধ্য অংশটি ডাক্তারবাবুকে দয়াল ঠাকুর নিজে থেকেই বুঝিয়ে বলেছেন।
জয়রাম।।জয়রাম🙏🏻🙏🏻
গুরু কৃপাহী কেবলম্ 🙏🏻🙏🏻




শ্রীশ্রীরামঠাকুরের লীলানুধ্যান :--- শ্রীশ্রীরামঠাকুর নিজের বিগ্রহকে নিজেই প্রণাম করতেন। শ্রীশ্রীরামঠাকুরের লীলানুধ্যান :--- শ্রীশ্রীরামঠাকুর নিজের বিগ্রহকে নিজেই প্রণাম করতেন। Reviewed by শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ নমঃ(SriSriramthakur O gan Ganer vhovon Youtube channel) on October 19, 2025 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.