গর্ব্বহারী ভগবানের বিধান: কোটি বাঞ্ছা বনাম কৃষ্ণের ইচ্ছা। জীবের ইচ্ছা ও ভগবানের ফল: অভিমান মুক্তির পথ। নিয়তির বিধান: কেন গর্ব্ব অভিমান টিকতে পারে না?
গর্ব্বহারী ভগবান কারো গর্ব্ব অভিমান থাকতে দেন
"জীবের ইচ্ছা কোটী বাঞ্ছা করে। কৃষ্ণের যে ইচ্ছা সেই ফল ফলে।।"
ইহা মহাজনের বাক্য, অভ্রান্ত।
~ বেদবাণী, ৩য় খণ্ড, পত্রাংশ ১৩৬।

গভীর অর্থবোধক:
গর্ব্বহারী ভগবানের বিধান: কোটি বাঞ্ছা বনাম কৃষ্ণের ইচ্ছা।
জীবের ইচ্ছা ও ভগবানের ফল: অভিমান মুক্তির পথ।
নিয়তির বিধান: কেন গর্ব্ব অভিমান টিকতে পারে না?
আকর্ষণীয় ও প্রশ্নবোধক:
আপনার কোটি বাঞ্ছার ফল কি সত্যিই আপনার হাতে?
কে আপনার জীবনের আসল ফলদাতা? - গর্ব্বহারী ভগবানের রহস্য।
অভিমান: পতনের কারণ নাকি ভগবানের লীলা?
সংক্ষিপ্ত ও সারগর্ভ:
গর্ব্বহারী ভগবান ও চরম সত্য।
কৃষ্ণের ইচ্ছা: জীবনের শেষ কথা।
বাঞ্ছা নয়, কৃষ্ণই ফলদাতা।
মুখ্য বিষয়: উক্তিটির দুটি অংশকে বিশ্লেষণ করা।প্রথম অংশ: "গর্ব্বহারী ভগবান কারো গর্ব্ব অভিমান থাকতে দেন" (আসলে হবে "গর্ব্বহারী ভগবান কারো গর্ব্ব অভিমান থাকতে দেন না")
ব্যাখ্যা: এর অর্থ হলো ঈশ্বর (ভগবান) অহংকার বা গর্বকে সহ্য করেন না। তিনি এমন সব পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন, যার মাধ্যমে মানুষের অহংকার চূর্ণ হয় এবং সে বাস্তবতার মুখোমুখি হয়।
গুরুত্ব: জীবনে আসা বাধা, ব্যর্থতা বা অপ্রত্যাশিত মোড় - এগুলি প্রায়শই ভগবানের একটি লীলা, যার উদ্দেশ্য হলো জীবকে নম্রতা শেখানো এবং 'আমিই সব করি' এই মিথ্যা অহং থেকে মুক্তি দেওয়া।
দ্বিতীয় অংশ: "জীবের ইচ্ছা কোটী বাঞ্ছা করে। কৃষ্ণের যে ইচ্ছা সেই ফল ফলে।।"
ব্যাখ্যা: মানুষ শত শত, কোটি কোটি ইচ্ছা পোষণ করতে পারে, কিন্তু ফলস্বরূপ কেবল সেটাই ঘটে যা ঈশ্বরের (কৃষ্ণের) ইচ্ছা।
গুরুত্ব: এটি কর্মফল এবং নিয়তির চূড়ান্ত সত্যকে নির্দেশ করে। এটি মানুষকে শেখায় যে নিজের চেষ্টার পাশাপাশি চূড়ান্ত ফল ভগবানের হাতে সমর্পণ করা উচিত। মানুষের স্বাধীনতা হলো চেষ্টা করা, কিন্তু তার ফলের ওপর তার কোনো একচ্ছত্র অধিকার নেই।
উপসংহারের মূল ভাবনা:
গর্ব্ব অভিমান ত্যাগ করে ঈশ্বরের চরণে আত্মসমর্পণের মাধ্যমে শান্তি লাভ করা যায়।
মানুষের কোটি বাঞ্ছা থাকলেও, ভগবানের ইচ্ছাই জীবনের চূড়ান্ত পরিণতি নির্ধারণ করে।
.png)
No comments: