শ্রীশ্রী রামঠাকুরের লীলা মাধুরী: এক ঝলক অলৌকিক দর্শন
শ্রীশ্রী রামঠাকুরের লীলা প্রসঙ্গগুলি তাঁর সহজ অথচ গভীর আধ্যাত্মিকতার পরিচয় বহন করে। একবারের ঘটনা। ফেণী থেকে রেলপথে শ্রীশ্রীঠাকুরকে নিয়ে চাঁদপুরের দিকে (বা কুমিল্লা, ঠিক মনে নেই) যাত্রা করা হয়েছে। ট্রেনটি ছিল ইন্টার ক্লাসের।
১. রেলগাড়ীর বাণী: 'জগজ্জননী'
গুণবতী স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ার পর শ্রীশ্রীঠাকুর তাঁর এক শিষ্যকে লক্ষ্য করে জানতে চাইলেন, "বলেন ত গাড়ী কি বলিতেছে?"
শিষ্যটি সাধারণের মতোই উত্তর দিলেন, "গাড়ী তো 'ঝকড় ঝকড়' শব্দ করিতেছে।"
শ্রীশ্রীঠাকুর হাসিমুখে মাথা নেড়ে বললেন, "না, তাহা নহে। গাড়ীখানা বলিতেছে— 'জগজ্জননী, জগজ্জননী'।"
এই কথা বলেই তিনি এমনভাবে হাসতে লাগলেন যে সেই হাসি যেন সমস্ত পরিবেশকে পবিত্র করে তুলল। প্রায়শই তিনি এমনভাবে এক একটি গভীর কথা বলে হাসিতে কুটপাট হয়ে যেতেন। তাঁর এই সরলতা ও হাসিই ছিল তাঁর অলৌকিকতার আবরণ।
২. ক্ষীণ দেহে অসীম শক্তি
শ্রীশ্রীঠাকুরের দেহ ছিল অত্যন্ত ক্ষীণ— যেন শুধু হাড় ও চামড়া। কিন্তু সেই শ্রীদেহে যে অসীম শক্তি নিহিত ছিল, তা কেবল ভক্তরাই অনুভব করতে পারতেন। এই প্রসঙ্গে তাঁর শ্রীচরণ সেবার এক অভিজ্ঞতা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
শিষ্যটির বহুবার তাঁর শ্রীচরণযুগল সেবা করার সৌভাগ্য হয়েছিল। একদিন সেবার সময় ঠাকুর বললেন, "আরও জোরে টিপিতে হয়।"
শিষ্যটি ভাবলেন, এর চেয়ে জোরে টিপলে ক্ষীণ দেহে তিনি কষ্ট পাবেন। তাই শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে টিপেও তাঁর মনে হলো না যে ঠাকুরের ইচ্ছামতো চাপ দেওয়া যাচ্ছে।
তখন তিনি উপলব্ধি করলেন— এই ক্ষীণ দেহেও কোনো ব্যথা অনুভব না করা কেবল সর্ব্বশক্তিমানেরই পরিচায়ক। এমন শক্তিধর হয়েও তিনি ভক্তদের নিকট নিজেকে এত প্রচ্ছন্ন রাখতেন যে, তাঁর মহিমা সাধারণের পক্ষে সহজে উপলব্ধি করা সম্ভব ছিল না।
উৎস: "শ্রীশ্রীঠাকুর রামচন্দ্রদেবের অমৃত বাণী ও লীলা প্রসঙ্গ"
(সংগ্রহ ও পরিমার্জনা: সুব্রত মজুমদার, অ্যাডমিন, শ্রীশ্রীরামঠাকুর ও গান ইউটিউব চ্যানেল এবং আমিন বেদবানী,
শ্রীশ্রী রামঠাকুরের অলৌকিক লীলা মাধুরী: ভক্তি ও শক্তির প্রচ্ছন্ন প্রকাশশ্রীশ্রী রামঠাকুরের অলৌকিক লীলা মাধুরী: ভক্তি ও শক্তির প্রচ্ছন্ন প্রকাশ
ট্রেনে 'জগজ্জননী'র সুর শোনা থেকে শুরু করে ক্ষীণ দেহে অসীম শক্তি ধারণ করা— শ্রীশ্রী রামঠাকুরের এই লীলাগুলি তাঁর আধ্যাত্মিক মহিমা ও ভক্তের প্রতি গভীর ভালোবাসার সাক্ষ্য বহন করে। এই লীলাপ্রসঙ্গগুলি তাঁর সরলতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা সর্ব্বশক্তিমত্তারই পরিচায়ক।
১. রেলগাড়ীর বাণীরহস্য: 'জগজ্জননী'র ডাক ()
এই পর্বে শ্রীশ্রীঠাকুর তাঁর শিষ্যকে রেলগাড়ীর শব্দের পেছনের আধ্যাত্মিক অর্থ বুঝিয়ে দিচ্ছেন। এটি ঠাকুরের সহজ উপলব্ধির একটি চমৎকার উদাহরণ।
১.১. গুণবতী স্টেশনের পর জিজ্ঞাসা ()
ফেণী থেকে চাঁদপুর বা কুমিল্লার উদ্দেশ্যে যাত্রা করছিলেন শ্রীশ্রীঠাকুর। গুণবতী স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ার পরই তিনি একজন শিষ্যকে জিজ্ঞেস করলেন, "বলেন ত গাড়ী কি বলিতেছে?" শিষ্যটি সাধারণের মতোই ঝকড় ঝকড় শব্দের কথা বলেন।
১.২. ঠাকুর কর্তৃক রহস্য উন্মোচন ()
শিষ্যের উত্তর শুনে ঠাকুর হাসিমুখে উত্তর দেন, "না, তাহা নহে। গাড়ীখানা বলিতেছে— 'জগজ্জননী, জগজ্জননী'।" এই কথা বলেই তিনি নির্মল হাসিতে মগ্ন হন। এই হাসিই প্রমাণ করে, তিনি কীভাবে জড় বস্তুর মধ্যেও চৈতন্য ও ব্রহ্মময়ীর উপস্থিতি উপলব্ধি করতেন।
২. দুর্বল দেহে অসীম শক্তি: শ্রীচরণ সেবার অভিজ্ঞতা ()
ঠাকুরের শারীরিক দুর্বলতা এবং তাঁর শক্তির আধ্যাত্মিক প্রমাণ এই অংশে বর্ণিত। এই লীলাটি প্রমাণ করে যে তাঁর দেহ ছিল কেবলমাত্র একটি মাধ্যম, যার ভেতরে বাস করতেন সর্ব্বশক্তিমান।
২.১. 'আরও জোরে টিপিতে হয়' ()
বহুদিন ধরে শিষ্যটি শ্রীশ্রীঠাকুরের শ্রীচরণ সেবার সৌভাগ্য লাভ করেছিলেন। একদিন সেবা করার সময় ঠাকুর তাঁকে বলেন, "আরও জোরে টিপিতে হয়।"
২.২. ভক্তের উপলব্ধি ও বিস্ময় ()
শিষ্যটি নিজের শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে টিপেও সন্তুষ্ট করতে পারেননি। তিনি বুঝতে পারেন, এই ক্ষীণ ও অস্থি-চর্মসার দেহেও কোনো ব্যথা অনুভব না করা কেবল কোনো সাধারণ মানুষের কাজ নয়, এটি একমাত্র সর্ব্বশক্তিমানেরই পরিচায়ক। এত শক্তিধর হয়েও তিনি ভক্তদের কাছে নিজেকে সাধারণের মতো প্রচ্ছন্ন রাখতেন, যা তাঁর লীলা মাধুরীর এক অন্যতম দিক।
৩. উপসংহার: লীলার সারমর্ম ও ভক্তির প্রাধান্য ()
শ্রীশ্রী রামঠাকুরের এই লীলাগুলি দেখায় যে ভক্তিই আসল। বাহ্যিক মন্ত্র-ক্রিয়া বা শারীরিক দুর্বলতা নয়, আন্তরিকতাই ভগবানের কাছে পৌঁছানোর একমাত্র পথ। রেলগাড়ীর শব্দে 'জগজ্জননী' শোনা তাঁর বিশ্বজনীন মাতৃভাবের উপলব্ধি, আর ক্ষীণ দেহে অসীম শক্তি ধারণ তাঁর যোগৈশ্বর্যের প্রচ্ছন্ন প্রকাশ।
উৎস: "শ্রীশ্রীঠাকুর রামচন্দ্রদেবের অমৃত বাণী ও লীলা প্রসঙ্গ"
(সংগ্রহ ও পরিমার্জনা: সুব্রত মজুমদার ও বেদবানী)

No comments: