ঠাকুর জিজ্ঞাসা করিলেন, কি চান? আমি ভীতি-বিহ্বল চিত্তে বলিলাম, “বীজমন্ত্র চাই”।
দীক্ষা গ্রহণ করিব। আমি শুনিয়াছি ঠাকুর নাকি কোন কোন ক্ষেত্রে বীজমন্ত্র দান করিয়াছেন। আমার পরিবারস্থ সকলে নাম শুনিয়াছেন। রাত্রি ৯টায় ঠাকুর নাম দেওয়া বন্ধ করিলেন।
কমল কুটীরে একটি অলৌকিক ঘটনা---আমার জীবনে শ্রীশ্রীরামঠাকুরl
আমি ঠাকুরঘরের দরজায় দাঁড়াইয়া ঠাকুরের অপূর্ব কারুণ্যমণ্ডিত মুখশ্রী অপলক নয়নে নিরীক্ষণ করিতেছিলাম। ঠাকুরও নির্নিমেষ নেত্রে আমার দিকে তাকাইয়া আছেন। কিছু সময় পর আমার পশ্চাৎ দিক হইতে অধ্যাপক বলিলেন, “ফণী, ঠাকুর তোমাকে চাহিতেছেন, তুমি গিয়া প্রণাম কর।” আমি ঠাকুরের চোখে আমার চোখ নিবদ্ধ করিয়া ধীরে ধীরে অগ্রসর হইয়া ঠাকুরের নিকটস্থ হইতেই তিনি দয়াপরবশে শ্রীপাদপদ্ম দুইখানি সম্মুখের দিকে প্রসারিত করিয়া দিলেন।
ঠাকুর মৃদু মৃদু হাসিতেছিলেন। আমি ঠাকুরের ঐ মৃদু মধুর হাসির মধ্যে শ্রীপাদপদ্মে প্রাণ ভরিয়া প্রণাম করিয়া করজোড়ে উঠিয়া দাঁড়াইলাম।
ঠাকুর জিজ্ঞাসা করিলেন, কি চান? আমি ভীতি-বিহ্বল চিত্তে বলিলাম, “বীজমন্ত্র চাই”। ঠাকুর বলিলেন, বীজমন্ত্রের প্রয়োজন নাই। এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে আমি ঠাকুরের পায়ে প্রণাম করিয়া বাহিরে আসিলাম। লক্ষ্য করিলাম, অধ্যাপক আমার উপর বিরক্ত হইয়াছেন। আমার জ্যেষ্ঠভ্রাতা উষ্মা প্রকাশ করিলেন। তাঁহাদের বিরক্তি ও উষ্মার ভ্রুক্ষেপ করিলাম না।
সদগুরু কৃপালাভ হইলে এইরূপই হইয়া থাকে।
Reviewed by শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ নমঃ(SriSriramthakur O gan Ganer vhovon Youtube channel)
on
June 02, 2023
Rating:





.jpg)
No comments: