একদিন ঠাকুর শিবমন্দির থেকে বাড়িতে ফিরিলেন, একটি স্তব্ধ কিন্তু করুণাঘন দৃষ্টিতে হরমোহন ভট্টাচার্য্যের দিকে তাকিয়ে বললেন " বাড়িতে শিঘ্রই একটি বিপদ ঘটিবে"। কিছুক্ষণের মধ্যেই হরমোহন মহাশয়ের অষ্টমবর্ষিয়া কণ্যা আকস্মাৎ বিষম জ্বরে আক্রান্ত হইল। শ্রীরাম নিজে বালিকার শুশ্রূষা করিতে লাগিলেন। পরদিন প্রত্যুষে বালিকা অবসন্ন হইয়া পড়িলে শ্রীরাম বালিকার ঘর থেকে বাহির হইতে উদ্যত হইলেন, তখন হরমোহনবাবু শ্রীঠাকুরকে বললিলেন " আপনি শুধু আমার কণ্যার শয্যাপার্শে বসে থাকুন, শিয়রে নারায়ন থাকলে শিবগণ বা বিষ্ণুদূতেরাও আত্মাকে নিতে সাহস করবেনা"। ঠিক হলও তাই, শ্রীরাম শয্যাপার্শে বসিতেই বালিকার প্রাণবায়ু প্রায় স্বাভাবিক হয়ে উঠল কিন্তু চোখে মুখে বিষাদ অবসন্নতা প্রকাশ পাইতেছিল। কিছুক্ষণপরে শ্রীরাম বলিলেন "নিয়তির গতিরোধ করার চেষ্টা বৃথা", এই বলিয়া বিছানা হইতে সরিয়া আসিতেই মেয়েটির জীবন দীপ নিভে গেল কিন্তু এখন যেন মেয়েটির নিস্প্রান মুখেও একটি স্নিগ্ধতার ছায়া বিরাজমান ছিল, বলাই বাহুল্য অন্তিমসময়ে যাকে স্বয়ং সত্যনারায়ন শুশ্রূষা করে সে অন্তত জন্মমৃত্যুর চক্র থেকে মুক্

No comments: