গুরু ভাই বোনসহ সকল সনাতনী ভাই বোনদের জানাই স্বাগত ,উদ্দেশ্য গুরু দেবের অমৃত বানী সকলের মাঝে প্রচার করা।

কৈবল্যধামের চতুঃপার্শ্বে যতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত স্থান সমস্ত কৈবল্যধামের অধীনে আসিবে। যত খৃষ্টান, হিন্দু, মুসলমান সকল শ্রেণীর সাধক এখানে আসিয়া সাধনা করিবে।

 কৈবল্যধামের চতুঃপার্শ্বে যতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত স্থান সমস্ত কৈবল্যধামের অধীনে আসিবে। যত খৃষ্টান, হিন্দু, মুসলমান সকল শ্রেণীর সাধক এখানে আসিয়া সাধনা করিবে।








কুম্ভমেলায় যেমন সাধু সন্ন্যাসীদের সম্মেলন হয় তদপেক্ষা বৃহৎ সম্মেলন এই স্থানে হইবে। ইহা পৃথিবীর সমস্ত জাতির লোকের তীর্থস্থান হইবে। দেবতারা সর্বদা কৈবল্যধামে যাতায়াত করেন, জগন্নাথ ত অধিকাংশ সময় এই ধামেই থাকেন। অনন্তনাগ সহস্র ফণা বিস্তার করিয়া কৈবল্যধামে শয়ন করিয়া আছেন। মন্দির ঠিক তাঁর জঙ্ঘার উপরে প্রতিষ্ঠিত। মন্দিরাভ্যন্তরে লক্ষ্মীদেবী বসিয়া সতত কেবল্যনাথের সেবা করিতেছেন। মহাশক্তি কালী একপদ কামশ্রীকুন্ডে ও অপরপদ কৈবল্যকুন্ডে স্থাপন করিয়া সতত তথায় দন্ডায়মানা আছেন। জয়ন্তী মা এখানে সতত অবস্থান করিয়া ইহার শ্রীবৃদ্ধির সাধনে যত্নবান আছেন। কৈবল্য ধামের বৃক্ষ লতা, পত্র প্রত্যেকটি পবিত্র ও অশরীরিদিগের আশ্রয় স্থল। এই ধামে দেব, দেবী, সিদ্ধ, চারণ, যক্ষ, গন্ধর্বাদি সর্ব্বদা বিহার করেন। ততগদচিত্ত যাঁরা দেহত্যাগ করিয়াছেন তাঁরাও সকলে আসিয়া এই ধামে মিলিত হইয়াছেন। একটু নিগম হইলেই এইসব দেখা যায়, বুঝা যায়। কৈবল্যধাম সকল তীর্থের বীজ স্বরূপ। বুদ্ধদেব, শঙ্করাচার্য্য ও মহাপ্রভু চৈতন্যদেবের পূর্ণ দৃষ্টি ইহার উপর রহিয়াছে। সর্ব্বধৰ্ম্মসমন্বয় এই ধামেই হইবে এবং এই ধাম হইতে প্রচারিত "স্বভাব ধৰ্ম্মই" বিশ্বের লোকের ধর্ম হইবে। কালে কোন মহাপুরুষ আসিয়া এই ধামের মাহাত্ম্য ত্রিলোকে প্রচার করিবেন।***"

১৯৩১ সন, কৰ্ম্মব্যপদেশে চট্টগ্রাম আছি। শ্রীশ্রীঠাকুরের আদেশ শুভাশীর্ব্বাদসম শিরে ধারণ করিয়া, পবিত্র কৈবল্যধামের (পাহাড়তলী) কিছু কার্য্যভার যথা- নির্মাণকার্য্য, আশ্রম পরিচালনা প্রভৃতি আমার উপর অর্পিত ছিল তাহাতে ব্যাপৃত ছিলাম। সেই সময় চাঁদপুর হইতে শ্রীশ্রীঠাকুরচরণাশ্রিত রোহিণী বাবু (শ্রীরোহিণী কুমার মজুমদার) এই মর্মে একখানা পত্র পাইলাম যে নৌকা যোগে চাঁদপুরের অনতিদূরে একটি চড়ায় যাইয়া কীর্ত্তন সহকারে খন্ড উৎসবানন্দ করা হইবে এবং শ্রীশ্রীঠাকুর চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেণী, কুমিল্লা, ঢাকা, প্রভৃতি স্থানের ভক্তগণ যেন সম্ভবপক্ষে যোগদান করেন এইরূপ প্রকাশ করিয়াছেন। অতএব আমি যেন উৎসবে উপস্থিত হই এবং অন্যান্য স্থানীয় ভক্তদের সংবাদ দেই। চিঠিখানা অফিসের ঠিকানায় পাইলাম, যাহাদিগকে সংবাদ দেওয়া সম্ভব তাহাদিগকে টেলিফোনে খবর দেওয়া হইল, কারণ পরদিনই উৎসব, রাত্রির গাড়ীতে রওনা হইতে হইবে। সেই পত্রে আরও নির্দেশ দেওয়া হইয়াছে যে সকলেই যেন সোজা চাঁদপুর নদীর
শতবার্ষিকী স্মারক গ্রন্হ
চলমান ১০৫,,,,,,।
কৈবল্যধামের চতুঃপার্শ্বে যতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত স্থান সমস্ত কৈবল্যধামের অধীনে আসিবে। যত খৃষ্টান, হিন্দু, মুসলমান সকল শ্রেণীর সাধক এখানে আসিয়া সাধনা করিবে। কৈবল্যধামের চতুঃপার্শ্বে যতদূর পর্যন্ত বিস্তৃত স্থান সমস্ত কৈবল্যধামের অধীনে আসিবে। যত খৃষ্টান, হিন্দু, মুসলমান সকল শ্রেণীর সাধক এখানে আসিয়া সাধনা করিবে। Reviewed by শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ নমঃ(SriSriramthakur O gan Ganer vhovon Youtube channel) on October 27, 2024 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.