আর একদিনের কথা মনে পড়ে।ঠাকুর তখন আমাদের বাড়িতে।এমনিতে ঠাকুর থাকলেই লোকজন খুব বেশী হতো।শুধু প্রসাদ দিলেই কর্ত্তা (ঁকুঞ্জবাবু) সন্তুষ্ট হতেন না।তিনি চাইতেন,যারা চা খান তাদের চা দিতে হবে।প্রত্যহ দুবেলা অনেক কাপ চা তৈরি করতে হতো।ঠাকুরের ভোগ রান্না—বেলা এগারোটার মধ্যে–তারপর বাড়ির সকলের রান্না।সমস্তই একা করতে হতো।এরপর বারবার চা তৈরি করার হুকুম-তারপর হয়ত রান্না বান্না প্রস্তুত হয়ে গেছে,এমন সময় আরও দুজনের খাবার জোগাড়ের হুকুম এল।অনেক সময় এই পরিমান রান্না ঘরের কাজ করতে বিরক্তি লাগতো।দুপুরে কি রাত্তিরে সব সেরে ঠাকুরের কাছটিতে গিয়ে বসেছি।
ঠাকুর বললেন, "মা,লোকজন আসলে বিরক্ত বোধ করতে নাই।সেবা কইরেন।"
ঠাকুরকে বললাম, "বাবা,আপনার সেবা করতে পারি না।"
উত্তরে ঠাকুর বললেন, "লোকের সেবা হইলেই আমার সেবা হয়।যা করতে আছেন তাই করেন," সেবা হইলেই ভগবান সন্তুষ্ট হন।তিনি কোন সেবা যত্নের প্রতীক্ষা করেন না,কর্ত্তব্য কর্ম্মে ফাঁকি দিয়ে কেউ ঠাকুরের জন্য কোনও কাজ করুক-এ তিনি চাইতেন না।বরং তাতে অসন্তুষ্ট হতেন এবং তা সত্ত্বেও কেউ এরকম করলে ঠাকুর তার বাড়ি ছেড়ে অন্য কোথাও চলে যেতেন।
সংসারের কর্ত্তব্য সুষ্ঠুভাবে পালন করাই ঠাকুরের কাছে শ্রেষ্ঠ সেবা-তাঁর কাছে উপস্থিত না হয়ে মনে মনে তাঁকে স্মরণ করলেও তাঁর সেবা হয়-এমন কথাও তিনি বলেছেন।সহ্য করে সংসার-ধর্ম্ম পালন করা শ্রেষ্ঠ ধর্ম্ম।এ কথাই তিনি নানাভাবে বুঝোতে চাইতেন।
ঠাকুর বললেন, "মা,লোকজন আসলে বিরক্ত বোধ করতে নাই।সেবা কইরেন।" ঠাকুরকে বললাম, "বাবা,আপনার সেবা করতে পারি না।"
Reviewed by শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ নমঃ(SriSriramthakur O gan Ganer vhovon Youtube channel)
on
March 15, 2024
Rating: 5
No comments: