গুরু ভাই বোনসহ সকল সনাতনী ভাই বোনদের জানাই স্বাগত ,উদ্দেশ্য গুরু দেবের অমৃত বানী সকলের মাঝে প্রচার করা।

শ্রীশ্রী রাম ঠাকুরের বাণী: সংসার মায়া ও নাম সংকীর্তনের গুরুত্ব বেদবাণী ১ম খণ্ড /২৪৩ শ্রীশ্রী রাম ঠাকুর

 শ্রীশ্রী রাম ঠাকুরের বাণী: সংসার মায়া ও নাম সংকীর্তনের গুরুত্ব

“নমস্কার। আজকের ভিডিওতে আমরা শ্রীশ্রী রাম ঠাকুরের বেদবাণী থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ আলোচনা করব। সংসারের মায়া, চঞ্চলতা এবং তা থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় নাম সংকীর্তন—এই মহামূল্যবান শিক্ষা আমাদের জীবনকে আলোকিত করতে পারে।

জয় গুরু জয় শ্রী শ্রী রামঠাকুর আপনার চরণে শতকোটি প্রণাম জানিয়ে পাঠ শুরু করছি 🙏🌻🙏🌻

সংসার আধিব্যাধি যোগে পরিচালন হইতেছে। সকলই মায়ার দ্বারা ঘটিত,চিত্তেতে চঞ্চলতা অধিষ্ঠান হইয়া জীবনকে কর্ত্তৃত্বাভিমানে সুখ দুঃখের ভাগী করিয়া রাখে। ইহা হইতে ত্রাণের একমাত্র ভগবান বৈ আর কিছুই নাই ।সহিষ্ণুতার শক্তির আশ্রয় নিয়া সর্ব্বদা নাম করিবে ।ধীর হইয়া যদি ধৈর্য্য ধরিতে না পার তবে নাম নিয়া পরিয়া থাকিবে ।যাহা যাহা কর্ত্তব্য বোধ কর করিয়া যাইবে,অচিরেই ভগবান পবিত্র সম্পদে অধিরুঢ় করিবেন, সন্দেহ নাই ।নামই সত্য এই নাম বৈ আর কিছুই নাই । 

 [ শ্রীশ্রী রাম ঠাকুর ] [ বেদবাণী ১ম খণ্ড /২৪৩ ] 

 চলুন, এই মহান বাণীর গভীর অর্থ বুঝি।”

শ্রীশ্রী রাম ঠাকুরের উক্ত বাণীটি  আরও বিশদভাবে ব্যাখ্যা করা হলো:

. সংসার পরিচালন ও মায়ার ভূমিকা

শ্রীশ্রী রাম ঠাকুর বলেছেন, "সংসার আধিব্যাধি যোগে পরিচালন হইতেছে।"
এখানে তিনি বুঝিয়েছেন যে সংসার মানে শুধু পার্থিব জীবনের দৈনন্দিন কাজকর্ম নয়; এটি আসলে দুঃখ-কষ্ট (আধি-মানসিক যন্ত্রণা, ব্যাধি-শারীরিক কষ্ট) এবং নানা সমস্যার সম্মিলিত মঞ্চ। আমরা এই সংসারজীবনে সবকিছু মায়ার অধীনে পরিচালনা করি।

মায়ার দ্বারা ঘটিত:
মায়া মানে ভ্রান্ত ধারণা বা দৃষ্টিভঙ্গি, যা আমাদের প্রকৃত সত্য থেকে দূরে সরিয়ে রাখে। সংসারে আমরা মায়ার কারণে সুখ-দুঃখের ফাঁদে জড়িয়ে পড়ি। এই মায়া আমাদের চিত্তে চঞ্চলতা আনয়ন করে, ফলে জীবনে অস্থিরতা ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়।


২. চিত্তের চঞ্চলতা ও কর্তৃত্ববোধ:

"চিত্তেতে চঞ্চলতা অধিষ্ঠান হইয়া জীবনকে কর্ত্তৃত্বাভিমানে সুখ দুঃখের ভাগী করিয়া রাখে।"
চিত্ত চঞ্চল থাকলে আমরা সবকিছুকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করি। এই কর্তৃত্ববোধ থেকে জন্ম নেয় অহংকার, যা আমাদের সুখ ও দুঃখের দিকে বারবার টেনে নিয়ে যায়।

এখানে ঠাকুর বোঝাতে চেয়েছেন যে আমাদের চিত্ত যদি শান্ত না হয়, তাহলে আমরা কখনো প্রকৃত সুখ অনুভব করতে পারব না। কারণ জীবনের দুঃখ-কষ্ট আমাদের চঞ্চল মন আরও বিপথগামী করে তোলে।


৩. ত্রাণের একমাত্র উপায়:

"ইহা হইতে ত্রাণের একমাত্র ভগবান বৈ আর কিছুই নাই।"
এই চঞ্চলতা, মায়া, এবং কর্তৃত্ববোধ থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় হলো ভগবানের শরণাপন্ন হওয়া। ঠাকুর এখানে বুঝিয়েছেন, পার্থিব কোনো শক্তি বা বস্তু আমাদের এই সংসারধর্মের দুঃখ থেকে মুক্তি দিতে পারে না। একমাত্র ভগবান এবং তাঁর নামই আমাদের মুক্তির পথ দেখাতে পারেন।


৪. সহিষ্ণুতার শক্তি:

"সহিষ্ণুতার শক্তির আশ্রয় নিয়া সর্ব্বদা নাম করিবে।"
সহিষ্ণুতা মানে ধৈর্য এবং সহ্য করার ক্ষমতা। ঠাকুর বলেছেন, যে কোনও পরিস্থিতিতেই ধৈর্য ধরতে হবে এবং ভগবানের নাম নিতে হবে। জীবনের জটিল সময়ে যদি ধৈর্য হারাই, তাহলে নাম সংকীর্তনই আমাদের শক্তি জোগাবে।


৫. কর্তব্য পালন ও ভগবানের কৃপা:

"যাহা যাহা কর্ত্তব্য বোধ কর করিয়া যাইবে, অচিরেই ভগবান পবিত্র সম্পদে অধিরুঢ় করিবেন।"
ঠাকুর বোঝাতে চেয়েছেন, আমাদের পার্থিব কর্তব্য যথাযথভাবে পালন করতে হবে। নিজের দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করার মাধ্যমে আমরা ভগবানের কৃপা লাভ করতে পারি। তিনি আরও বলেছেন, ভগবান আমাদের শীঘ্রই পবিত্র সম্পদের (আধ্যাত্মিক শান্তি ও মুক্তি) অধিকারী করবেন।


৬. নাম সংকীর্তনের সর্বোচ্চ গুরুত্ব:

"নামই সত্য, এই নাম বৈ আর কিছুই নাই।"
এটি ঠাকুরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। ভগবানের নামই এই সংসারে একমাত্র সত্য, যা আমাদের মায়া ও দুঃখ থেকে মুক্তি দিতে পারে। তাই আমাদের জীবনে যাই ঘটুক না কেন, ভগবানের নামের আশ্রয় নেওয়াই সবচেয়ে কার্যকর পথ।


উপসংহার:

এই বাণীটি আমাদের জীবনের জন্য একটি গভীর শিক্ষা দেয়। ঠাকুর বোঝাতে চেয়েছেন যে সংসারের মায়া, দুঃখ এবং চঞ্চলতাকে জয় করতে হলে আমাদের ভগবানের শরণ নিতে হবে। সহিষ্ণুতা ও ধৈর্য ধারণ করে নাম সংকীর্তন করলে জীবনের সকল দুঃখ-কষ্ট দূর হবে, এবং আমরা ভগবানের কৃপায় পবিত্র শান্তির আস্বাদ পাব।

এই বাণীর মূল বার্তা হলো:
ভগবানের নামের উপর ভরসা রাখুন। এটি জীবনের সবচেয়ে বড় শক্তি ও মুক্তির পথ।


“ভিডিওটি দেখার জন্য ধন্যবাদ। শ্রীশ্রী রাম ঠাকুরের বাণী আপনাদের জীবনে আলোর পথে 

দিশারী হোক  .আগামী ভিডিওতে আবার দেখা হবে। জয়গুরু।”

হ্যাশট্যাগ:
#শ্রীশ্রীরামঠাকুর #বেদবাণী #নামসংকীর্তন #ভক্তিবাণী #সত্যনাম #আধ্যাত্মিকজীবন #সংসারমায়া

কীওয়ার্ড:
শ্রীশ্রী রাম ঠাকুর, বেদবাণী, নাম সংকীর্তন, আধ্যাত্মিক শিক্ষা, সংসারের মায়া, ভগবানের নাম, সত্যনাম, ধৈর্য্য, সহিষ্ণুতা, কীর্তন, আধ্যাত্মিক জীবন।

ভিডিওর বর্ণনা:
“শ্রীশ্রী রাম ঠাকুরের বেদবাণীর আলোচনায় আমরা জানব সংসারের মায়া থেকে মুক্তির একমাত্র উপায়। নাম সংকীর্তনের মাধ্যমে কীভাবে আমরা জীবনে শান্তি এবং মুক্তি পেতে পারি, তা আজকের ভিডিওতে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। দেখুন এবং নিজের জীবনে প্রয়োগ করুন।”









বর্ণনা স্ক্রিপ্ট (পয়েন্ট অনুযায়ী):

  1. সংসার পরিচালন ও মায়ার ভূমিকা:
    শ্রীশ্রী রাম ঠাকুর বলেছেন, সংসার আসলে মায়ার দ্বারা পরিচালিত। এখানে সুখ ও দুঃখ আমাদের চঞ্চল চিত্তের অধীন করে রাখে।

  2. ত্রাণের একমাত্র উপায়:
    এই মায়া থেকে মুক্তি পেতে আমাদের একমাত্র আশ্রয় ভগবান এবং তাঁর নাম সংকীর্তন।

  3. সহিষ্ণুতার শক্তি:
    তিনি বলেছেন, ধৈর্য্য ধরার জন্য সহিষ্ণু হতে হবে। যদি তা সম্ভব না হয়, তবে ভগবানের নামের উপর ভরসা রাখুন।

  4. কর্তব্য ও ভগবানের কৃপা:
    যা কর্তব্য মনে হয়, তা যথাযথভাবে পালন করুন। এতে ভগবান আমাদের পবিত্র সম্পদে অধিরূঢ় করবেন—এ বিষয়ে সন্দেহের কোনও অবকাশ নেই।

  5. নামের সর্বোচ্চ সত্যতা:
    “নামই সত্য, এই নাম বৈ আর কিছুই নাই।” তাই ভগবানের নাম সংকীর্তনই জীবনের প্রকৃত মুক্তির পথ।

  6. শ্রীশ্রী রাম ঠাকুরের এই অনুপম বাণী আমাদের জীবনের সত্যিকারের অর্থ বুঝতে সাহায্য করে। নাম সংকীর্তনের মাধ্যমে আমরা সকল মায়া ও চঞ্চলতা থেকে মুক্তি পেতে পারি। আজকের ভিডিওটি যদি আপনাদের ভালো লাগে, তবে অবশ্যই লাইক, শেয়ার এবং আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন। নতুন নতুন বাণী এবং কীর্তনের জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন।”

শ্রীশ্রী রাম ঠাকুরের বাণী: সংসার মায়া ও নাম সংকীর্তনের গুরুত্ব বেদবাণী ১ম খণ্ড /২৪৩ শ্রীশ্রী রাম ঠাকুর শ্রীশ্রী রাম ঠাকুরের বাণী: সংসার মায়া ও নাম সংকীর্তনের গুরুত্ব   বেদবাণী ১ম খণ্ড /২৪৩  শ্রীশ্রী রাম ঠাকুর Reviewed by শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ নমঃ(SriSriramthakur O gan Ganer vhovon Youtube channel) on November 15, 2024 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.