এই দেহটারে বাদ দিয়াও যে আমি আছি , সেটুকু কেন বিশ্বাস করেন না ? গুরু বাক্যে অন্ধবিশ্বাস থাকা চাই । : - শ্রীশ্রী রামঠাকুর ।
এই দেহটারে বাদ দিয়াও যে আমি আছি , সেটুকু কেন বিশ্বাস করেন না ? গুরু বাক্যে অন্ধবিশ্বাস থাকা চাই । : - শ্রীশ্রী রামঠাকুর ।
জয় গুরু <> জয় রাম <> জয় গোবিন্দ ।
আমি এতক্ষণ কীর্ত্তনেই ছিলাম । সে সময় আমাদের দল কীর্ত্তন করিতে ছিল । আমি উপরের ঘরে গেলে শ্রীঠাকুর আমাকে বললেন , সুন্দর কীর্ত্তন করছিলেন , ছাইড়া আইলেন কেন্ ? আমি উত্তর এড়াইয়া জিজ্ঞাসা করিলাম , হরিদাকে দেখে এখনি আবার চলে আসবেন না ? শ্রীঠাকুর বললেন , কি কইরা বলুম ? সে দিনও আপনারে বলছি উৎসব শেষ করতে ভাগ্যে দিলে তবে তো । আজও দেখেন কি হয় । আমার পিতাঠাকুর বললেন , আমরা মনে করেছিলাম আপনারে নিয়া উৎসবের আনন্দ করুম । এখন আপনি চইলা গেলে উৎসব কি রকম হইবে ? শ্রীঠাকুর বললেন , আমি সর্বক্ষণ আছি এবং থাকুম । এই দেহটারে না দেখলে আপনেরা মনে করেন আমি নাই । এই দেহটারে বাদ দিয়াও যে আমি আছি , সেটুকু কেন বিশ্বাস করেন না ? গুরু বাক্যে অন্ধবিশ্বাস থাকা চাই ।
" জয়রাম " : - --
ফনীন্দ্র কুমার মালাকার " রামভাই স্মরণে " পৃষ্টা সংখ্যা ৫১ হইতে ।
এই উক্তির মাধ্যমে শ্রীশ্রী রামঠাকুর গভীর আধ্যাত্মিক শিক্ষার কথা বলেছেন। এতে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে, তাঁর শারীরিক উপস্থিতি ছাড়াও তিনি অনুপ্রেরণা এবং শক্তি হিসেবে শিষ্যদের সঙ্গে সর্বদা আছেন। দেহের অনুপস্থিতির পরেও গুরুতত্ত্বে বিশ্বাস ধরে রাখা এবং তাঁকে অনুভব করার জন্য তিনি শিষ্যদের অনুরোধ করছেন।
প্রথমে রামঠাকুর বলেন, "এই দেহটারে বাদ দিয়াও যে আমি আছি, সেটুকু কেন বিশ্বাস করেন না?" অর্থাৎ, তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে তাঁর আধ্যাত্মিক উপস্থিতি তাঁর শারীরিক অবয়বের চেয়েও গভীর এবং শিষ্যদের প্রতি তাঁর কৃপা ও প্রার্থনা সবসময়ই বিদ্যমান।
তিনি আরো বলেন, "গুরু বাক্যে অন্ধবিশ্বাস থাকা চাই।" এটির মাধ্যমে তিনি শিষ্যদের বোঝাতে চেয়েছেন, গুরুর কথায় পূর্ণ বিশ্বাস রাখা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ গুরু তাঁর শিষ্যদের সঠিক পথে পরিচালিত করতে চান এবং তাঁদেরকে আলোকিত করার জন্য সঠিক নির্দেশ দেন।
এই কথোপকথনের প্রেক্ষাপটে দেখা যায়, ফনীন্দ্র কুমার মালাকার ও তাঁর দল যখন কীর্ত্তন করছিলেন, তখন শ্রীশ্রী রামঠাকুর তাঁদের প্রসংশা করেন এবং উৎসবে উপস্থিত থাকার জন্য অনুপ্রেরণা দেন। রামঠাকুরের শরীরী উপস্থিতি ছাড়া সেই অনুষ্ঠানের পূর্ণতা না আসার আশঙ্কা করলেও, তিনি তাঁদেরকে আশ্বাস দেন যে, তিনি সর্বদা তাঁদের সঙ্গে আছেন। এই দেহ ছাড়াও তাঁর আধ্যাত্মিক উপস্থিতি বিদ্যমান এবং সেই বিশ্বাস তাঁদের মনে রাখা উচিত।
এই ভাবনাগুলি অনুসরণ করলে আমরা বুঝতে পারি, গুরু বা ঈশ্বরের সত্যিকারের অনুভব আমাদের হৃদয়ে থাকে, এবং সেই বিশ্বাসই আধ্যাত্মিকতা ও আস্থা তৈরি করে।

No comments: