📜 ঠাকুরের হিমালয় যাত্রা ও গুহাবাসের লীলাকথা 📜
"নমস্কার প্রিয় ভক্তবৃন্দ। আজ আমরা আপনাদের শোনাবো ঠাকুরের হিমালয় ভ্রমণ এবং আধ্যাত্মিক সাধনার এক আশ্চর্য গল্প। গুরুজীর সান্নিধ্যে তিনি কীভাবে তুষার রাজ্যের কঠিন পরিবেশে ধ্যানমগ্ন হলেন এবং কীভাবে দেহের রঙ পরিবর্তনের মর্মস্পর্শী অভিজ্ঞতা লাভ করলেন, তারই বিশদ বিবরণ আজকের এই পর্বে। থাকুন আমাদের সঙ্গে।"
হিমালয় পর্বত নিয়ে ঠাকুরের সঙ্গে ফনীন্দ্র কুমার মালাকারের কথোপকথন
💞 🙏 জয়গুরু জয়রাম 🙏
ফনীন্দ্র কুমার মালাকার--- তীর্থ পর্যটনে, হিমালয় ভ্রমণে , অবস্থানে কত বছর কেটেছে।
ঠাকুর --------তিন বৎসর হইবো।
ফনীন্দ্র কুমার মালাকার ---- সবার শেষে কোথায় গেলে?
ঠাকুর --- একদিন গুরুজী আইসা মহাপুরুষগরে প্রণাম কইরা ঐ আশ্রম ছাইড়া আসতে আদেশ দিলেন। আমরা তাগরে প্রণাম করলে তারা প্রত্যেকে দক্ষিণ হস্ত উত্তোলন কইরা অভয় মুদ্রা প্রদর্শন কইরালেন। গুরুজি আমাগোরে লইয়া অন্য অতি সুগম ও সহজপথে বরফের রাজ্য দিয়া নাইম্যা পর্বতের পাদদেশের কিছু উপরে সন্ধ্যার আগে একটা গুহা দেখাইয়া দিয়া বসার ইঙ্গিত দিয়া চইলা গেলেন। যাওয়ার সময় বইলা যান,তিনি আইসা ডাইকা নিবেন। সন্ধ্যা হয়েছে দেখিয়া আমি গুহায় বসিয়া পড়িলাম।
ফনীন্দ্র কুমার মালাকার ---- কতকাল ঐ গুহায় বসে ছিলে? ঠাকুর ----- কতকাল কই? মাত্র এক রাত। সন্ধ্যায় বসেছি, প্রভাতে গুরুজী আইসা ডাকলেন, রাম, রাম প্রভাত হইছে। উইঠা আস। গুরুজীর কণ্ঠস্বর মর্মস্পর্শ করলে চক্ষু খুইল্যা গুরুজীরে দেইখা কইলাম, পিতা এত তাড়াতাড়ি রাত প্রভাত হইয়া গেল? গুরুজি হাইসা বললেন, হ, হ, স্থির মালা ধ্যানে যোগরাত এত শীঘ্র প্রভাত হইয়া যায়। এখন উইঠ্যা আস। আমি উইঠা দেখি চুল, গোঁফ, দাড়ি জটার আকারে ঝুলতেছে। নখ গুলি খুব বড় হইছে। গুহা থাইকা বাহির হইয়া আইসা গুরুজীরে শ্বাসটাঙ্গে প্রণিপাত করলাম । গুরুজি একা। তিনি আমারে নিয়া হিমালয়ের পাদদেশে এক গ্রামে গিয়া আমার খোর কর্ম সম্পাদন করাইলেন। তারপর পথ চলতে চলতে বললেন, তোমার শরীরের তুষার শুভ্র বর্ণ নিয়ে লোকালয়ে গিয়ে কাজ করতে পারবো না। লোক তোমারে দেইখ্যা ভয়ে গ্রহণ করব না। শরীরের আগের রং পাইতে হইব।
ফনিন্দ্র কুমার মালাকার ---- তোমার দেহের রং পরিবর্তিত হলো কেন? ঠাকুর ----তুষার রাজ্যের আবহাওয়ার প্রভাবে শরীরের রং তুষারের রঙের মতো হইয়া গেছিল। ফনীন্দ্র কুমার মালাকার ---- দেহের রং ফিরে পেলে কি করে?
ঠাকুর---- গুরুজি সহ হাইট্টা মধ্যঙ্গে এক নিবৃত্ত স্থানে গিয়া গুরুজী একটা কুণ্ড দেখাইয়া বললেন, এই কুন্ডের মধ্যে চুপ কইরা পইরা এক ডুব দিয়া উঠে আস। মুহূর্ত দেরি হইলে পাথর হইয়া যাইবা। আমি আমনি ঝোপ কইরা পইরা ডুব দেওয়া মাত্র গুরুজি আমার হাত ধইরা টেনে উঠাইলেন। কি ভয়ঙ্কর হিম। ঠক ঠক কইরা কম্পন শুরু হইলো। গুরুজি নিজ হস্ত দ্বারা আমার দেহের জল মুছাইয়া দিয়া দেহে স্ত্রী হস্ত বুলাইয়া দিয়া আমারে লোকালয়ে যাইতে আদেশ দিয়া চইল্যা যান। 🙏 জয় রাম জয় গোবিন্দ 🙏 ❤️ রাম ভাই স্মরনে ❤️
"প্রিয় দর্শকবৃন্দ, ঠাকুরের এই লীলাকথা আমাদের জীবনে গভীর অনুপ্রেরণা জোগায়। গুরুজীর নির্দেশে ঠাকুরের আত্মিক যাত্রা আমাদের শেখায় ভক্তি, শুদ্ধতা, এবং কঠোর সাধনার গুরুত্ব।"
টেক্সট অনস্ক্রিন:
🙏 জয় রাম জয় গোবিন্দ 🙏
❤️ রাম ভাই স্মরণে ❤️
"আপনাদের যদি এই ভিডিওটি ভালো লেগে থাকে, তাহলে লাইক, শেয়ার, এবং সাবস্ক্রাইব করতে ভুলবেন না। পরবর্তী গল্পের জন্য আমাদের সঙ্গে থাকুন।"
ধন্যবাদ
No comments: