গুরু ভাই বোনসহ সকল সনাতনী ভাই বোনদের জানাই স্বাগত ,উদ্দেশ্য গুরু দেবের অমৃত বানী সকলের মাঝে প্রচার করা।

শ্রীশ্রীঠাকুরের কৃপাময় লীলা শ্রীশ্রীরামঠাকুরের চরণে অজস্র প্রণাম।

 শ্রীশ্রীঠাকুরের কৃপাময় লীলা

শ্রীশ্রীরামঠাকুরের চরণে অজস্র প্রণাম।

"শ্রদ্ধেয় ভক্তবৃন্দ, আজকের এই বিশেষ ভিডিওতে আমরা আপনাদের শোনাবো এক অভূতপূর্ব কাহিনি। এটি শ্রীমতী ঊষারানী গঙ্গোপাধ্যায় লিখিত 'আমার জীবনে শ্রীশ্রীরামঠাকুর' গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে। শুনুন কিভাবে ঠাকুরের লীলার মাধ্যমে এক ভক্ত তাঁর আধ্যাত্মিক তৃপ্তি লাভ করেন।"

 সেই সময় হরিদ্বারে পুর্ণকুম্ভ মেলা হয়েছিল ৷ আমাদের এক আত্মীয় তাঁর গুরুর সঙ্গে পুর্ণকুম্ভ মেলায় যাচ্ছেন৷ 

তাঁহারা কুম্ভমেলার নানা গল্প করলেন৷ বাবা ও শ্রীশ্রীঠাকুর তাঁদের সব গল্প নীরবে শুনলেন৷ আমার মা ঠাকুরকে বললেন ‘ঠাকুর চিরদিন ত রান্না নিয়েই থাকলাম৷ কুম্ভ মেলায়ও গেলাম না, মনে বড় দুঃখ রয়ে গেলো৷’ শ্রীশ্রীঠাকুর মাকে বললেন ‘মা মনে দুঃখ রাখতে নাই ৷ 

কুম্ভ গৃহী সংসারী লোকের জন্য নয় ৷ কুম্ভমেলা সাধু মহাত্মাদের জন্য ৷ তবে লোক সকল কুম্ভে যায়, সাধু দর্শন হয় এই যা, সকলেরই কুম্ভস্নান হয় না ৷’ তারপর ঠাকুর মাকে বললেন ‘মা, আপনার মনে কুম্ভস্নানের দুঃখ আছে ৷ আপনি এক ঘটি জল আনেন ৷’ 

মা এক ঘটি জল ও গামলা আনলেন ৷ ঘটির মধ্যে একসেরের মত জল ছিল ৷ আর গামলায় কোন জল ছিল না, তাতে অবশ্য ৮/৫ সেরের মত জল ধরে ৷ ঠাকুর খাটের উপর বসে গামলায় শ্রীপাদপদ্ম রাখলেন ৷ মা তার বীজমন্ত্র জপ করতে করতে ঠাকুরের শ্রীচরণে ঘটির জল ঢালতে লাগলেন ৷

 সেই ঘটির জল ঠাকুরের শ্রীচরণ ধুয়ে কুলু কুলু শব্দ করে গামলা ভর্ত্তি হয়ে মাটিতে গড়িয়ে পড়তে লাগলো ৷ আশ্চর্য্যের বিষয় গামলা থেকে ঘটি অনেক ছোট ছিল, এত জল কোথা থেকে এলো? সেই অত্যাশ্চর্য্য দৃশ্য দেখে আমাদের যে কি আনন্দ হয়েছিল তা লেখা দ্বারা প্রকাশ করা সম্ভব নয় ৷ শ্রীমতী ঊষারানী গঙ্গোপাধ্যায় লিখিত - "আমার জীবনে শ্রীশ্রীরামঠাকুর"

 

এই গল্পটি শ্রীমতী ঊষারানী গঙ্গোপাধ্যায় লিখিত বই "আমার জীবনে শ্রীশ্রীরামঠাকুর" থেকে নেওয়া হয়েছে, যা শ্রীশ্রী রামঠাকুরের এক অলৌকিক লীলার কথা বর্ণনা করে।

গল্পের সারাংশ:

হরিদ্বারে পুর্ণকুম্ভ মেলার সময়, ঠাকুরের কাছে এক ভক্ত তাঁর কুম্ভ মেলায় যেতে না পারার দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি মনে করেন, সংসারের কাজকর্মে ব্যস্ত থাকার কারণে এমন একটি আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। ঠাকুর তখন তাঁর মাকে আশ্বস্ত করেন যে, কুম্ভমেলা শুধুমাত্র সংসারী লোকের জন্য নয়, এটি সাধু-মহাত্মাদের জন্য।

তবু ভক্তের মনে কুম্ভস্নানের ইচ্ছা পূরণ করার জন্য ঠাকুর এক অভিনব পদ্ধতি গ্রহণ করেন। তিনি একটি ঘটির জল ও গামলা আনতে বলেন। ঠাকুর শ্রীপাদপদ্ম গামলায় রাখেন এবং ভক্ত তাঁর বীজমন্ত্র জপ করতে করতে ঠাকুরের চরণে ঘটির জল ঢালতে থাকেন। অলৌকিকভাবে দেখা যায়, সেই ঘটির জল ঠাকুরের চরণ ধুয়ে গামলায় ভরে ওঠে এবং তা মাটিতে উপচে পড়ে।

ঘটনাটি এতই আশ্চর্যজনক যে সবাই বিস্ময়ে মুগ্ধ হন। ছোট ঘটির জল থেকে গামলার মতো বড় পাত্র ভরে ওঠা এক আধ্যাত্মিক প্রক্রিয়ার প্রকাশ।

গল্পের শিক্ষা ও তাৎপর্য:

  • ঈশ্বরের করুণা অসীম: ঠাকুর দেখান যে ভক্ত যদি আন্তরিক হন, তবে ঈশ্বর তাঁর ইচ্ছা পূরণ করবেন।
  • মনের পূজা আসল: ভৌত কুম্ভমেলায় যাওয়া জরুরি নয়; মনের বিশ্বাস ও ভক্তি থাকলেই আধ্যাত্মিক স্নান সম্ভব।
  • অলৌকিকতা ও আস্থা: ঠাকুরের অলৌকিক ক্ষমতার প্রকাশ ভক্তদের আস্থা বাড়ায় এবং তাঁদের প্রভুর প্রতি ভক্তি গভীর করে।

এটি শুধুমাত্র একটি কাহিনি নয়, বরং এক আধ্যাত্মিক সত্যের প্রতীক, যা ভক্ত ও ঠাকুরের সম্পর্কের গভীরতাকে বোঝায়।

 "ভক্তবৃন্দ, শ্রীশ্রীঠাকুরের কৃপাময় এই লীলার মাধ্যমে আমরা শিখতে পারি যে ঈশ্বরের করুণা কখনো সীমাবদ্ধ নয়। এমনই আরও আধ্যাত্মিক কাহিনি ও ঠাকুরের অনুপ্রেরণামূলক বাণী শুনতে আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন এবং শেয়ার করুন।

 শেষে সবাই একসঙ্গে বলুন:
'জয় গুরু, জয় শ্রীশ্রীঠাকুর!'

 

বিশেষ ধন্যবাদ:

  • ভিডিও দেখার জন্য ধন্যবাদ।
  • আমাদের চ্যানেলে নতুন ভিডিও পেতে নোটিফিকেশন চালু করুন।
  •  শ্রীশ্রীরামঠাকুর #ঠাকুরেরলীলামৃত #আধ্যাত্মিকতা #ভক্তিরশক্তি #কুম্ভমেলা #অলৌকিকতা #ঈশ্বরেরকৃপা #বাংলাধর্মীয়কথা #Spirituality #Devotion #MiracleOfFaith #KumbhMela #SriSriRamThakur #DivineBlessings #BhaktiMovement #HinduDevotion #MysticalStories #GuruKripa #BhaktiYoga
শ্রীশ্রীঠাকুরের কৃপাময় লীলা শ্রীশ্রীরামঠাকুরের চরণে অজস্র প্রণাম। শ্রীশ্রীঠাকুরের কৃপাময় লীলা শ্রীশ্রীরামঠাকুরের চরণে অজস্র প্রণাম। Reviewed by শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ নমঃ(SriSriramthakur O gan Ganer vhovon Youtube channel) on January 13, 2025 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.