শ্রীশ্রীঠাকুরের জীবনী অবলম্বনে (৮)

কেদার বদরী ভ্রমণে ১৯৫২ সালে এপ্রিল মাসে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন যাত্রা করি এবং দুই মাস পরে ফিরি। কেদারনাথের মন্দিরে প্রবেশ দরজায় একটা প্রকান্ড কাঠের খুঁটি আড়াআড়ি ভাবে ঝুলাইয়া রাখা হইয়াছে যাত্রীর ভিড় আটকাইবার জন্য। মন্দির মধ্যে কয়েকটি তৈল প্রদীপ মাত্র আছে। আমার পান্ডা বলিলেন, "বাবাজী, চোখ বুজিয়া মিনিট দুই থাকুন নতুবা কিছুই দেখিতে পাইবেন না।" ঐরূপ করিয়া পরে চোখ মেলিয়া দেখি কেদারনাথের মূর্ত্তি'র পশ্চাতে দাঁড়ান কাঁধের উপর দুই হাত রাখিয়া ঠাকুর দাঁড়াইয়া আছেন। দেখিয়া বড়ই আনন্দ হইল। কেদারনাথ মূর্তি শ্বেত পাথরে প্রস্তুত চতুর্ভূজ এবং উপবিষ্ট। যে আসনে উপবিষ্ট তাহা দুই ফুট উঁচু, আমি এক দৃষ্টিতে চাহিয়া আছি ---দেখি ঠাকুর কেদারনাথ মূর্তির সহিত মিলাইয়া গেলেন।
জয়রাম 

" শ্রীশ্রীরামচন্দ্র স্মৃতি কথা "- রাঁজেন্দ্র লাল বন্দোপাধ্যায়।
ক্যান কষ্ট কইরা আইয়েন আমি তো আপনার ঘরেই আছি।'
---শ্রীশ্রী রামঠাকুর



কোথায় খুঁজিছ তাঁরে সে যে আছে তোমারই অন্তরে।
বহিমুর্খী মনের কারণেই উপলব্ধিতে আসে না যে ভগবান থাকেন নিভৃতে ভক্তের হৃদয়মন্দিরে। নিজের মধ্যেই সেই পরম পুরুষকে অনুভব কর, অখণ্ডরূপে তাঁর সঙ্গ কর করুণালাভ কর এবং পূর্ণতা প্রাপ্ত হও।ধর্মকর্ম,সাধন-ভজন করার মূখ্য উদ্দেশ্যই হল বহিমুর্খী মনকে অন্তমুর্খী করে ভগবৎ শরণ লাভ করা।
জয়রাম 



শ্রীশ্রীঠাকুরের জীবনী একখানি জীবন্ত গীতা, নিষ্কাম ধর্ম্ম, সন্ন্যাসের জীবন্ত বিগ্রহ--- বেদান্তর প্রাণময়ী মূর্ত্তি----জ্ঞান, ভক্তি ও কর্মের ত্রিবেণী সঙ্গম।
জয়রাম
"শ্রীগুরু শ্রীশ্রীরামঠাকুর" - শ্রীরোহিনী কুমার মজুমদার
সুপ্রভাত,,, জয়রাম,,জয়রামঠাকুর,, জয়গুরু,, জয় গোবিন্দ,, হে জয়রামঠাকুর তোমারচরণে শতকোটি প্রণাম,,, 



—






তিনি চির-কুমার, সন্ন্যাসী অথচ তাঁহার কোন প্রকার সন্ন্যাসীর বেশ নাই। জটাজুটধারীও নন, লোটা কমন্ডলু, চিমটা প্রভৃতি কিছুই নাই, সাধারণ এক খানা সাদাধুতি পড়িয়া আঁচলখানা গায়ে দিয়া এই মাঘ মাসের প্রচণ্ড শীতে তিনি গ্রামের বাড়ী বাড়ী ঘুরিয়া বেড়ান। এত আত্মগোপন করিয়া চলেন যে কেহ বুঝিতে পারে না যে তিনি কত বড় মহাপুরুষ।
জয় রাম
-দীনেশ চরণ বসু "নবজন্ম লাভ"
শ্রীশ্রীঠাকুর নাম বিতরণের সময় ভক্তদের যা বলতেন-
"এই যে আপনি নাম পাইলেন এই নামই আপনারে উদ্ধার কইরা লইয়া যাইবো, নামই গুরু। বিশ্বাস রাইখেন।"
ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক অনবরত নাম কইরা যাইবেন, তাতে নামের ফল পাইবেন। নামই গুরু। বিশ্বাস রাখবেন।
- শ্রীশ্রীরামঠাকুর
শ্রীশ্রীঠাকুরের জীবনী অবলম্বনে (৯)

অভাবে স্বভাব নষ্ট হয়। জীব শুধু বর্তমান অবস্থা নিয়ে বিব্রত থাকে, ভবিষ্যতের কিছুই তাদের গোচরে নাই। তাই ইতস্ততঃ কেবল ছুটাছুটি কইরা হয়রান হয়। গুরু বাক্য ধইরা থাকলে সর্বাভিষ্ট লাভ হয়। সময় হইলে সকলই দৃষ্টি গোচরে আসব। ধৈর্য্যহারা হওয়ার কিছু নাই। ধৈর্যই সম্পদ, ধৈর্য্যই ধর্ম, কর্ম, জ্ঞান, ধ্যান এবং ত্রিকুল-উদ্ধারিনী শক্তি ।
-শ্রীশ্রীরামঠাকুর 



'রামভাই স্মরণে'-ফনীন্দ্র কুমার মালাকার ।
No comments: