গুরু ভাই বোনসহ সকল সনাতনী ভাই বোনদের জানাই স্বাগত ,উদ্দেশ্য গুরু দেবের অমৃত বানী সকলের মাঝে প্রচার করা।

(১৬) লোকসকল স্ব স্ব ভাগ্যবশে আকৃষ্ট হইয়া দেহ গেহ সমাজ স্থান লাভ করিয়া অভিশপ্ত আবৃত দ্বারা সত্যধাম পতন হইয়া এই অস্থায়ী, সীমাবদ্ধ ভাবে আবদ্ধ হইয়া পড়ে। ইহা হইতে ভাগ্যভোগ উৎপন্ন হইয়া স্ব স্ব অদৃষ্ট ক্রমে স্বজন বন্ধু-বান্ধব প্রভৃতি আত্মীয় কুটুম্ব সম্মিলনে সুখী-দু:খী, শান্তি-অশান্তির তরঙ্গে পড়িয়া নানান লাঞ্চনা ভোগ করে। তাহার প্রধান কারণ কর্ত্তৃত্বাভিমান। এইজন্যই কালচক্রের অংশের দন্ড উৎপন্ন হইয়া মন বুদ্ধির দ্বারা কর্ত্তাকে সীমাবদ্ধ করিয়া দন্ডবিধান করিয়া থাকে। সত্যের অংশও নাই, দন্ডও নাই। অসত্যের অর্থাৎ অস্থায়ী বস্তুরই অংশ ভগ্নাংশ হইতে দন্ডাংশ হইয়া থাকে। ইহাকেই ভাগ্যফল বলিয়া জানিবেন। ……কালচক্র ভ্রমণ করিতে করিতে যখন দুঃখ কাল ক্ষয় হইয়া সুখকাল উপস্থিত করিবে তখন শান্তি ধারণা হইবে। অতএব কাহারো কোন দোষ নাই। স্ব স্ব ভাগ্য হইতেই দেবাসুরের আবির্ভাব হইয়া আত্মীয়কে অনাত্মীয় করিয়া তোলে। তাহার প্রমাণ নল, দময়ন্তী, শ্রীবৎস, চিন্তা, হরিশ্চন্দ্র, শব্যা, রামসীতা, বেহুলা, লক্ষ্মীন্দর, প্রভৃতি মহাজনের জীবনীর যোগে দেখায়। ঐ সব চিন্তা না করিয়া সত্যের সেবায় রত হইয়া থাকিতে চেষ্টা করুন তিনিই সকল দু:স্তর ভবসাগরের পাড়ে পৌঁছাইয়া নিষ্কণ্টকময় আনন্দ ধামে পৌঁছাইয়া দিবেন সন্দেহ নাই;বিশেষত: আপনি ত কতই শান্তিস্থাপনের জন্য নানান চেষ্টা করিতেছেন এবং করিবেন, পুনরায়ও চেষ্টা করুন কোন বিধান করিতে পারেন কিনা। ভাগ্যে যাহা ঘটিবে তাহাই হইবে। সত্যনারায়ণ আপনার সকল বিষয় [?] [ব্যবস্থা] করিবেন। তাঁহার অধীন হইতে চেষ্টা করুন।


শ্রীশ্রী রামঠাকুরের বেদবাণী (১৬) | ভাগ্যের খেলা ও মুক্তির পথ | সত্যনারায়ণের সেবা

 "জয় গুরুর জয়! আজকের পর্বে আমরা শ্রীশ্রী রামঠাকুরের বেদবাণী তৃতীয় খণ্ডের (১৬) নং পত্রাংশ নিয়ে আলোচনা করবো। ভাগ্যের খেলা, সুখ-দুঃখের রহস্য, এবং সত্যনারায়ণের করুণা—এসব বিষয়ে আজ গভীর চিন্তা করবো। আসুন শ্রীগুরুর বাণীকে হৃদয়ে ধারণ করি!"

(১৬) লোকসকল স্ব স্ব ভাগ্যবশে আকৃষ্ট হইয়া দেহ গেহ সমাজ স্থান লাভ করিয়া অভিশপ্ত আবৃত দ্বারা সত্যধাম পতন হইয়া এই অস্থায়ী, সীমাবদ্ধ ভাবে আবদ্ধ হইয়া পড়ে। ইহা হইতে ভাগ্যভোগ উৎপন্ন হইয়া স্ব স্ব অদৃষ্ট ক্রমে স্বজন বন্ধু-বান্ধব প্রভৃতি আত্মীয় কুটুম্ব সম্মিলনে সুখী-দু:খী, শান্তি-অশান্তির তরঙ্গে পড়িয়া নানান লাঞ্চনা ভোগ করে। তাহার প্রধান কারণ কর্ত্তৃত্বাভিমান। এইজন্যই কালচক্রের অংশের দন্ড উৎপন্ন হইয়া মন বুদ্ধির দ্বারা কর্ত্তাকে সীমাবদ্ধ করিয়া দন্ডবিধান করিয়া থাকে। সত্যের অংশও নাই, দন্ডও নাই। অসত্যের অর্থাৎ অস্থায়ী বস্তুরই অংশ ভগ্নাংশ হইতে দন্ডাংশ হইয়া থাকে। ইহাকেই ভাগ্যফল বলিয়া জানিবেন। ……কালচক্র ভ্রমণ করিতে করিতে যখন দুঃখ কাল ক্ষয় হইয়া সুখকাল উপস্থিত করিবে তখন শান্তি ধারণা হইবে। অতএব কাহারো কোন দোষ নাই। স্ব স্ব ভাগ্য হইতেই দেবাসুরের আবির্ভাব হইয়া আত্মীয়কে অনাত্মীয় করিয়া তোলে। তাহার প্রমাণ নল, দময়ন্তী, শ্রীবৎস, চিন্তা, হরিশ্চন্দ্র, শব্যা,  রামসীতা, বেহুলা, লক্ষ্মীন্দর, প্রভৃতি মহাজনের জীবনীর যোগে দেখায়। ঐ সব চিন্তা না করিয়া সত্যের সেবায় রত হইয়া থাকিতে চেষ্টা করুন তিনিই সকল দু:স্তর ভবসাগরের পাড়ে পৌঁছাইয়া নিষ্কণ্টকময় আনন্দ ধামে পৌঁছাইয়া দিবেন সন্দেহ নাই;বিশেষত: আপনি ত কতই শান্তিস্থাপনের জন্য নানান চেষ্টা করিতেছেন এবং করিবেন, পুনরায়ও চেষ্টা করুন কোন বিধান করিতে পারেন কিনা। ভাগ্যে যাহা ঘটিবে তাহাই হইবে। সত্যনারায়ণ আপনার সকল বিষয় [?] [ব্যবস্থা] করিবেন। তাঁহার অধীন হইতে চেষ্টা করুন।


বেদবাণী তৃতীয় খণ্ড, (১৬) নং পত্রাংশের ব্যাখ্যা (Point-wise Explanation)

১️⃣ ভাগ্যের প্রভাব ও মানুষের আবদ্ধতা:

🔹 উক্তি: “লোকসকল স্ব স্ব ভাগ্যবশে আকৃষ্ট হইয়া দেহ গেহ সমাজ স্থান লাভ করিয়া অভিশপ্ত আবৃত দ্বারা সত্যধাম পতন হইয়া এই অস্থায়ী, সীমাবদ্ধ ভাবে আবদ্ধ হইয়া পড়ে।”
📝 ব্যাখ্যা:
👉 মানুষ তার নিজ ভাগ্যের টানে এক বিশেষ পরিবার, সমাজ ও পরিবেশে জন্মগ্রহণ করে।
👉 কিন্তু এই জন্ম শুধুই সাময়িক, কারণ এটি সত্যধাম (পরম ধাম বা মুক্তি) থেকে পতিত হওয়া মাত্র।
👉 পার্থিব বন্ধন ও আকাঙ্ক্ষার কারণে মানুষ এই সীমাবদ্ধ জগতে আবদ্ধ হয়ে পড়ে।

২️⃣ সুখ-দুঃখের কারণ ও কর্তৃত্বাভিমান:

🔹 উক্তি: “স্ব স্ব অদৃষ্ট ক্রমে স্বজন বন্ধু-বান্ধব প্রভৃতি আত্মীয় কুটুম্ব সম্মিলনে সুখী-দুঃখী, শান্তি-অশান্তির তরঙ্গে পড়িয়া নানান লাঞ্চনা ভোগ করে। তাহার প্রধান কারণ কর্ত্তৃত্বাভিমান।”
📝 ব্যাখ্যা:
👉 মানুষের জীবন ভাগ্যনির্ধারিত, যেখানে আত্মীয় ও সমাজের সংস্পর্শে সুখ-দুঃখের তরঙ্গে ভাসতে হয়।
👉 কিন্তু এই দুঃখের মূল কারণ হলো কর্তৃত্বাভিমান—অর্থাৎ নিজেকে সব কিছুর নিয়ন্ত্রক ভাবা।
👉 এই অহংকার থেকেই দ্বন্দ্ব, লাঞ্চনা, শান্তি ও অশান্তির সৃষ্টি হয়।

৩️⃣ কালচক্র ও দণ্ডের বিধান:

🔹 উক্তি: “এইজন্যই কালচক্রের অংশের দন্ড উৎপন্ন হইয়া মন বুদ্ধির দ্বারা কর্ত্তাকে সীমাবদ্ধ করিয়া দন্ডবিধান করিয়া থাকে। সত্যের অংশও নাই, দন্ডও নাই। অসত্যের অর্থাৎ অস্থায়ী বস্তুরই অংশ ভগ্নাংশ হইতে দন্ডাংশ হইয়া থাকে।”
📝 ব্যাখ্যা:
👉 মানুষ তার কর্মফলের শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে কালচক্রে ঘুরতে থাকে।
👉 দণ্ড বা শাস্তি কেবল অস্থায়ী বস্তু ও অসত্যের ফল, সত্যের জগতে দণ্ডের অস্তিত্ব নেই।
👉 এটি বোঝায় যে দুঃখ-কষ্টগুলো শুধুই পার্থিব ও ক্ষণস্থায়ী।

৪️⃣ ভাগ্যের ফল ও দুঃখ-সুখের পরিবর্তন:

🔹 উক্তি: “ইহাকেই ভাগ্যফল বলিয়া জানিবেন। ……কালচক্র ভ্রমণ করিতে করিতে যখন দুঃখ কাল ক্ষয় হইয়া সুখকাল উপস্থিত করিবে তখন শান্তি ধারণা হইবে।”
📝 ব্যাখ্যা:
👉 যা কিছু ঘটে, তা ভাগ্যের ফল
👉 দুঃখের সময়কাল শেষ হলে সুখের সময় আসে, এটি প্রকৃতির নিয়ম।
👉 তাই ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করলেই শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।

৫️⃣ দেবতা ও অসুরের আবির্ভাব ভাগ্যের কারণ:

🔹 উক্তি: “অতএব কাহারো কোন দোষ নাই। স্ব স্ব ভাগ্য হইতেই দেবাসুরের আবির্ভাব হইয়া আত্মীয়কে অনাত্মীয় করিয়া তোলে।”
📝 ব্যাখ্যা:
👉 জীবনে কে বন্ধু, কে শত্রু—এটি ভাগ্যের দ্বারা নির্ধারিত।
👉 ভাগ্যের প্রভাবে কখনো আত্মীয়ও শত্রুতে পরিণত হয়, আবার শত্রুও বন্ধু হতে পারে।
👉 দেবতা ও অসুরের মতো পার্থিব জীবনে ভালো ও খারাপ অবস্থার পরিবর্তনও ভাগ্যের বিধান।

৬️⃣ মহাজনদের জীবন থেকে শিক্ষা:

🔹 উদাহরণ: “নল, দময়ন্তী, শ্রীবৎস, চিন্তা, হরিশ্চন্দ্র, শব্যা, রাম-সীতা, বেহুলা, লক্ষ্মীন্দর প্রভৃতি মহাজনের জীবনীর যোগে দেখায়।”
📝 ব্যাখ্যা:
👉 এই মহাজনদের জীবনেও ভাগ্যের কারণে বহু বিপর্যয় এসেছে।
👉 তাদের কষ্ট ও পরীক্ষা আমাদের শেখায় যে, ধৈর্য ধরলে এবং ঈশ্বরের শরণ নিলে মুক্তি পাওয়া যায়।

৭️⃣ সত্যসেবায় আত্মনিয়োগই মুক্তির পথ:

🔹 উক্তি: “ঐ সব চিন্তা না করিয়া সত্যের সেবায় রত হইয়া থাকিতে চেষ্টা করুন তিনিই সকল দু:স্তর ভবসাগরের পাড়ে পৌঁছাইয়া নিষ্কণ্টকময় আনন্দ ধামে পৌঁছাইয়া দিবেন সন্দেহ নাই।”
📝 ব্যাখ্যা:
👉 পার্থিব চিন্তা বাদ দিয়ে সত্যনারায়ণের সেবা করাই শ্রেষ্ঠ পথ।
👉 তিনি সকল কষ্ট ও বন্ধন মুক্ত করবেন এবং আনন্দ ধামে পৌঁছে দেবেন।

৮️⃣ শান্তিস্থাপনের চেষ্টা ও ঈশ্বরের উপর নির্ভরতা:

🔹 উক্তি: “বিশেষত: আপনি ত কতই শান্তিস্থাপনের জন্য নানান চেষ্টা করিতেছেন এবং করিবেন, পুনরায়ও চেষ্টা করুন কোন বিধান করিতে পারেন কিনা। ভাগ্যে যাহা ঘটিবে তাহাই হইবে। সত্যনারায়ণ আপনার সকল বিষয় ব্যবস্থা করিবেন। তাঁহার অধীন হইতে চেষ্টা করুন।”
📝 ব্যাখ্যা:
👉 মানুষ শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অনেক চেষ্টা করে, কিন্তু সবই ভাগ্যের দ্বারা নির্ধারিত।
👉 সত্যনারায়ণের শরণ নিলে তিনিই জীবনের সব ব্যবস্থা করবেন।
👉 তাই তাঁর অধীন হয়ে থাকা ও ভক্তি করা শ্রেষ্ঠ উপায়


🔔 উপসংহার (Conclusion):

✔️ জীবন ভাগ্যের দ্বারা পরিচালিত হয়, তাই অহংকার ত্যাগ করতে হবে।
✔️ সুখ-দুঃখ, শান্তি-অশান্তি সবই সাময়িক, ধৈর্য ধরতে হবে।
✔️ দেবতা-অসুর, বন্ধু-শত্রু ভাগ্যের খেলা, তাই কারো উপর দোষারোপ করা উচিত নয়।
✔️ ঈশ্বরের শরণ নেওয়া ও সত্যনারায়ণের সেবা করাই পরিত্রাণের একমাত্র পথ।

🚩 সত্যনারায়ণই সকল কিছুর ব্যবস্থা করেন, তাই তাঁহার উপর আস্থা রাখুন। 🙏

🔹 এই বাণী অনুযায়ী জীবন পরিচালিত করলে ভবসাগর পার হওয়া সম্ভব! 🚀

 হ্যাশট্যাগস (Hashtags):

#SriSriRamThakur #Bedbani #RamThakurVani #Bhagya #SanatanDharma #Satyadev #KarmaPhal #BhaktiYoga #HinduSpirituality #RamThakurTeachings #SatyanarayanPuja #GuruKripa #Bhakti #SpiritualWisdom #Kalachakra #Dharma


📌 কিওয়ার্ডস (Keywords):

  • শ্রীশ্রী রামঠাকুর বাণী
  • বেদবাণী তৃতীয় খণ্ড
  • ভাগ্যের প্রভাব
  • সুখ-দুঃখের রহস্য
  • সত্যনারায়ণের করুণা
  • ধর্ম ও দর্শন
  • সৎকর্ম ও মুক্তি
  • হিন্দু ধর্মের শিক্ষা
  • ভবসাগর পার হওয়ার উপায়
  • গুরু বাণী ও আধ্যাত্মিকতা




(১৬) লোকসকল স্ব স্ব ভাগ্যবশে আকৃষ্ট হইয়া দেহ গেহ সমাজ স্থান লাভ করিয়া অভিশপ্ত আবৃত দ্বারা সত্যধাম পতন হইয়া এই অস্থায়ী, সীমাবদ্ধ ভাবে আবদ্ধ হইয়া পড়ে। ইহা হইতে ভাগ্যভোগ উৎপন্ন হইয়া স্ব স্ব অদৃষ্ট ক্রমে স্বজন বন্ধু-বান্ধব প্রভৃতি আত্মীয় কুটুম্ব সম্মিলনে সুখী-দু:খী, শান্তি-অশান্তির তরঙ্গে পড়িয়া নানান লাঞ্চনা ভোগ করে। তাহার প্রধান কারণ কর্ত্তৃত্বাভিমান। এইজন্যই কালচক্রের অংশের দন্ড উৎপন্ন হইয়া মন বুদ্ধির দ্বারা কর্ত্তাকে সীমাবদ্ধ করিয়া দন্ডবিধান করিয়া থাকে। সত্যের অংশও নাই, দন্ডও নাই। অসত্যের অর্থাৎ অস্থায়ী বস্তুরই অংশ ভগ্নাংশ হইতে দন্ডাংশ হইয়া থাকে। ইহাকেই ভাগ্যফল বলিয়া জানিবেন। ……কালচক্র ভ্রমণ করিতে করিতে যখন দুঃখ কাল ক্ষয় হইয়া সুখকাল উপস্থিত করিবে তখন শান্তি ধারণা হইবে। অতএব কাহারো কোন দোষ নাই। স্ব স্ব ভাগ্য হইতেই দেবাসুরের আবির্ভাব হইয়া আত্মীয়কে অনাত্মীয় করিয়া তোলে। তাহার প্রমাণ নল, দময়ন্তী, শ্রীবৎস, চিন্তা, হরিশ্চন্দ্র, শব্যা, রামসীতা, বেহুলা, লক্ষ্মীন্দর, প্রভৃতি মহাজনের জীবনীর যোগে দেখায়। ঐ সব চিন্তা না করিয়া সত্যের সেবায় রত হইয়া থাকিতে চেষ্টা করুন তিনিই সকল দু:স্তর ভবসাগরের পাড়ে পৌঁছাইয়া নিষ্কণ্টকময় আনন্দ ধামে পৌঁছাইয়া দিবেন সন্দেহ নাই;বিশেষত: আপনি ত কতই শান্তিস্থাপনের জন্য নানান চেষ্টা করিতেছেন এবং করিবেন, পুনরায়ও চেষ্টা করুন কোন বিধান করিতে পারেন কিনা। ভাগ্যে যাহা ঘটিবে তাহাই হইবে। সত্যনারায়ণ আপনার সকল বিষয় [?] [ব্যবস্থা] করিবেন। তাঁহার অধীন হইতে চেষ্টা করুন। (১৬) লোকসকল স্ব স্ব ভাগ্যবশে আকৃষ্ট হইয়া দেহ গেহ সমাজ স্থান লাভ করিয়া অভিশপ্ত আবৃত দ্বারা সত্যধাম পতন হইয়া এই অস্থায়ী, সীমাবদ্ধ ভাবে আবদ্ধ হইয়া পড়ে। ইহা হইতে ভাগ্যভোগ উৎপন্ন হইয়া স্ব স্ব অদৃষ্ট ক্রমে স্বজন বন্ধু-বান্ধব প্রভৃতি আত্মীয় কুটুম্ব সম্মিলনে সুখী-দু:খী, শান্তি-অশান্তির তরঙ্গে পড়িয়া নানান লাঞ্চনা ভোগ করে। তাহার প্রধান কারণ কর্ত্তৃত্বাভিমান। এইজন্যই কালচক্রের অংশের দন্ড উৎপন্ন হইয়া মন বুদ্ধির দ্বারা কর্ত্তাকে সীমাবদ্ধ করিয়া দন্ডবিধান করিয়া থাকে। সত্যের অংশও নাই, দন্ডও নাই। অসত্যের অর্থাৎ অস্থায়ী বস্তুরই অংশ ভগ্নাংশ হইতে দন্ডাংশ হইয়া থাকে। ইহাকেই ভাগ্যফল বলিয়া জানিবেন। ……কালচক্র ভ্রমণ করিতে করিতে যখন দুঃখ কাল ক্ষয় হইয়া সুখকাল উপস্থিত করিবে তখন শান্তি ধারণা হইবে। অতএব কাহারো কোন দোষ নাই। স্ব স্ব ভাগ্য হইতেই দেবাসুরের আবির্ভাব হইয়া আত্মীয়কে অনাত্মীয় করিয়া তোলে। তাহার প্রমাণ নল, দময়ন্তী, শ্রীবৎস, চিন্তা, হরিশ্চন্দ্র, শব্যা,  রামসীতা, বেহুলা, লক্ষ্মীন্দর, প্রভৃতি মহাজনের জীবনীর যোগে দেখায়। ঐ সব চিন্তা না করিয়া সত্যের সেবায় রত হইয়া থাকিতে চেষ্টা করুন তিনিই সকল দু:স্তর ভবসাগরের পাড়ে পৌঁছাইয়া নিষ্কণ্টকময় আনন্দ ধামে পৌঁছাইয়া দিবেন সন্দেহ নাই;বিশেষত: আপনি ত কতই শান্তিস্থাপনের জন্য নানান চেষ্টা করিতেছেন এবং করিবেন, পুনরায়ও চেষ্টা করুন কোন বিধান করিতে পারেন কিনা। ভাগ্যে যাহা ঘটিবে তাহাই হইবে। সত্যনারায়ণ আপনার সকল বিষয় [?] [ব্যবস্থা] করিবেন। তাঁহার অধীন হইতে চেষ্টা করুন। Reviewed by শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ নমঃ on March 13, 2025 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.