গুরু ভাই বোনসহ সকল সনাতনী ভাই বোনদের জানাই স্বাগত ,উদ্দেশ্য গুরু দেবের অমৃত বানী সকলের মাঝে প্রচার করা।

গুরুবাক্যে সংশয় থাকলে ইহকাল পরকাল দুইই হারায়। 💥👏💥

 

গুরুবাক্যে সংশয় থাকলে ইহকাল পরকাল দুইই হারায়।
💥👏💥
আমি (শ্রী ফণীন্দ্র কুমার মালাকার) - ঠাকুর এই যে তুমি বলছ গুরুদেহ নামের দেহ। নাম এবং গুরুদেহ একই বস্তু। আমি এই কথার সমতা ভেবে পাই না। কারণ,নাম মুখে বড় করে উচ্চারণ করলে বাইরে একটা শব্দ বা ধ্বনি হয়। আর মনে মনে উচ্চারণ করলে শব্দহীন ধ্বনি ভিতর হয় যা শূন্যময়। কিন্ত গুরুদেহে রক্ত মাংস অস্থি আছে। তাহলে নাম এবং গুরুদেহ এক বস্তু হল কিভাবে ?
ঠাকুর - গুরুদেহে রক্ত মাংস অস্থি আছে তোমারে কে বলল ? জল থাইকা বরফ উৎপন্ন হয়। সেই বরফ স্থানে চাপ দিলে নরম বোধ হয়; আবার কোন স্থানে চাপ দিলে অস্থির মত শক্ত মনে হয়।
প্রকৃতপক্ষে সবটা বরফ ভিন্ন আর কিছু না। তেমনি গুরুদেহের সকল কিছু নাম ভিন্ন অপর কিছু না। সমস্ত দেহটা শূন্য। তুমি শুন নাই মহাপ্রভুর অত বড় দীর্ঘদেহ টোটা গোপীনাথের সঙ্গে শূন্যে বিলীন হইয়া গেল ?
উওর- শুনেছি। কিন্তু বিশ্বাস করি না ।
ঠাকুর- আমি বলছি, তবু বিশ্বাস কর না ?
উওর- না, করি না। যতক্ষণ না দেখি নিজ নয়নে বিশ্বাস করি না গুরুর বচনে ।
ঠাকুর- এই রকম কথা বলতে সাহস পাইলা ?
উওর- সাহস না পেয়ে কি করি ঠাকুর। তুমি আমার গুরু। তোমার নিকট মিথ্যা বলতে পারি না । তাই অকপটে সত্য কথা বলেছি।
ঠাকুর- ভালই করছ, বইলাই ঠাকুর শূন্যে বিলীন হইয়া গেলেন।
আমি চমকিত ও ভীত হইয়া ঠাকুরকে পুনরায় দেখিতে পাই কিনা সেই উদ্দেশ্যে চারিদিকে তাকাইয়া দেখিলাম, বৃথা। ঠাকুরকে দেখিতে পাইলাম না। কোথায় দেখিব, ঠাকুর যে আমার চোখের সামনে শূন্যে মিলিয়া গিয়াছেন। আমার হ্নৎকম্প উপস্থিত হইল। আত্মগ্লানিতে দগ্ধ হইয়া হায় হায় করিয়া উঠিলাম। এমন নিষ্ঠুর কথা কেন বলিলাম। চৈতন্যদেব বিলীন হইয়া যাইবার পর ফিরিয়া আসেন নাই। ঠাকুরের কথা কেন বিশ্বাস করিলাম না। আমার অবিশ্বাস হেতু ঠাকুর শূন্যে মিলাইয়া গেলেন।
এখন আমি কি করি, কোথায় যাই। উচ্চৈঃস্বরে " ঠাকুর ঠাকুর " বলিয়া চীৎকার করিয়া মাটিতে পড়িয়া কাঁদিতে কাঁদিতে বলিতেছিলাম, " ঠাকুর তুমি আস, ফিরে আস। আমাকে ক্ষমা করে ফিরে আস। আমি ঐরূপ কথা আর বলব না । তুমি না এলে সবাই আমাকে জিজ্ঞাসা করলে কি উত্তর দিব ? কেউ আমার কথা বিশ্বাস করবে না । ঠাকুর আমি গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে মরব। " এইভাবে কতক্ষণ মাটিতে গড়াগড়ি দিয়া কাঁদিয়াছিলাম হুঁশ ছিল না ।
হঠাৎ চৈতন্য পাইয়া মনে হইল কে যেন আমার মাথায় হাত বুলাইয়া দিতেছে। আমি মাথা উঠাইয়া দেখি ঠাকুর হাত বুলাইতেছেন। অমনি উঠিয়া ঠাকুরকে জড়াইয়া ধরিয়া কাঁদিতে কাঁদিতে বলিলাম, " ঠাকুর, আমি কখনও তোমার নিকট কোন প্রার্থনা করি নাই।আজ শুধু একটি মাত্র প্রার্থনা, তোমার অন্তর্ধানের পূর্বে যেন আমার দেহাবসান ঘটে।
ঠাকুর বলিলেন, "না তা হয়
না। তোমার সঞ্চিত ও চলিত সমস্ত ঋণ এই দেহে শোধ করতে হইব। গুরুবাক্যে সংশয় থাকলে ইহকাল পরকাল দুইই হারায়। গুরুবাক্যে প্রহ্লাদের ন্যায় অন্ধবিশ্বাস থাকা চাই। "
তথ্যসূত্র :
-রামভাই স্মরণে
- ফণীন্দ্র কুমার মালাকার।
জয়রাম জয়রাম জয়রাম

গুরুবাক্যে সংশয় থাকলে ইহকাল পরকাল দুইই হারায়। 💥👏💥 গুরুবাক্যে সংশয় থাকলে ইহকাল পরকাল দুইই হারায়। 💥👏💥 Reviewed by শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ নমঃ(SriSriramthakur O gan Ganer vhovon Youtube channel) on March 30, 2025 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.