আহা , প্রসাদ পান নি ? এত বেলা হয়ে গেছে । যান প্রসাদ পান গিয়ে । যান যান প্রসাদ পান গিয়ে ।" : - - শ্রীশ্রী রামঠাকুর ।
আহা , প্রসাদ পান নি ?
এত বেলা হয়ে গেছে ।
যান প্রসাদ পান গিয়ে ।
যান যান প্রসাদ পান গিয়ে ।"
: - - শ্রীশ্রী রামঠাকুর ।
কিন্তু তা বলে কাউকে তিনি সেরূপ স্বল্প আহারের
পরামর্শ দেন নি ।
তার কারণ , নিজের ক্ষুধা-তৃষ্ণার কোন জ্ঞান না থাকলে
কি হবে ।
ভক্তদের ক্ষুধা-তৃষ্ণার প্রতি আশ্রিত-বৎসল শ্রীশ্রী ঠাকুরের রীতিমত সজাগ দৃষ্টি ছিল ।
কেহ অধিক বেলা পর্যন্ত অভুক্ত আছেন শুনলে ,
ঠাকুর এমনি বিচলিত হয়ে পড়তেন ,
যেন ভক্তের ক্ষুধায় তিনিই কাতর হয়েছেন অধিক ।
ভক্তগণ অধিক সময় ঠাকুরকে বিব্রত করছেন দেখে ,
যদি ঠাকুরের সান্নিধ্য হতে তাদের সরিয়ে আনবার
প্রয়োজন হত ,
তাহলে গৃহস্বামী গিয়েই ঠাকুরকে বলতেন ,—বাবা ?
এঁরা এখনও প্রসাদ পান নি ।
একথা শুনামাত্র ঠাকুর যে কিরূপ চঞ্চল হয়ে পড়তেন ,
সে দৃশ্য যিনি চোখে না দেখেছেন তাঁকে বুঝান যাবে না ।
নিতান্ত অপরাধীর মতো বলতে আরম্ভ করতেন ,—
“ আহা, প্রসাদ পান নি ?
এত বেলা হয়ে গেছে ।
যান , প্রসাদ পান গিয়ে ।”
ঠাকুরের তখনকার ভাবখানা দেখলে মনে হত ,-
এ অপরাধের জন্য তিনিই যেন সম্পূর্ণ দায়ী ।
তিনিই তো কথা বলে বলে তাঁদের বসিয়ে রেখেছেন ।
কাজেই তাঁরা উঠে না যাওয়া পর্যন্ত কেবলই বলতে থাকতেন ,—
“ যান যান , প্রসাদ পান গিয়ে ।”
ঠাকুরকে যাঁরা দর্শন করতে আসতেন ,
তাঁদের কেউ প্রসাদ না পেয়ে চলে গেছেন জানতে পেলে
ঠাকুর নিতান্ত ব্যথিত হতেন ।
এমন কি তক্ষুনি সে বাসস্থান ত্যাগ করতেও ঠাকুর মোটেই
দ্বিধা করতেন না ।
এর জন্যই বোধ হয় ঠাকুর বেছে বেছে এমন গৃহী-ভক্তের বাড়ীতে থাকতেন ,
যারা অতিথির সেবা জানেন এবং যাদের পক্ষে পর্যাপ্ত
পরিমাণে ভোগের ব্যবস্থা করাও মোটেই কষ্টকর নয় ।
তা’বলে গরীব ভক্তের বাড়ীতে ঠাকুর যেতেন না একথা
যেন আমরা মনে না করি ।
গরীব ভক্তকেও ঠাকুর কৃপা করতেন ,
তবে এক নাগাড়ে বেশী দিন সেখানে থাকতেন না ।
এছাড়া কোন্ ভক্ত কী খেতে ভালবাসেন ,
কার কোন্ খাদ্যে রুচি সমধিক ,—
এসব দিকেও ঠাকুরের বেশ তীক্ষ্ণ নজর ছিল ।
নিজে খেতেন না ,
কিন্তু ভক্তকে খাওয়াতে তাঁর উৎসাহের অন্ত ছিল না ।
ভক্তদের পছন্দ অনুযায়ী খাবার প্রস্তুত করতেও ঠাকুর
মাঝে মাঝে নির্দেশ দিতেন ।
এমন কি সময় সময় রান্না করার পদ্ধতি পর্যন্ত বাতলে
দিতেও ঠাকুর কসুর করেন নি । আসল কথা , -
নিজের কোন লোভ ছিল না ,
কিন্তু ভক্তের জন্য আবার সবই ছিল ।
ভক্তগণ যেন পরিতৃপ্তিতে আহার করতে পারেন ,
সেদিকে ঠাকুরের যথেষ্ট লক্ষ্য ছিল ।
ভক্তদের আহার হইলেই ভক্তবৎসল ঠাকুরের আহার হয়ে যেত । ভক্তদের তৃপ্তিতেই ঠাকুরের ছিল ।
পুত্রকে ভাল ভাল খাবার খাওয়াতে পারলেই যেমন
মা-বাবার আনন্দের সীমা থাকে না ,
ঠাকুরও তেমনি তার আশ্রিতজনকে খাওয়াতে পারলেই
খুশীতে ভরে উঠতেন ।
জয় গুরু জয় রাম জয় গোবিন্দ







শ্রী শিতিকন্ঠ সেনগুপ্ত ।
নাম-বিগ্রহ শ্রীশ্রী রামঠাকুর ।
পৃষ্ঠা সংখ্যা ৪৩ হইতে ।
জয় গুরু সত্য নারায়ণ। জয় শ্রীরাম ঠাকুর।।
আহা , প্রসাদ পান নি ? এত বেলা হয়ে গেছে । যান প্রসাদ পান গিয়ে । যান যান প্রসাদ পান গিয়ে ।" : - - শ্রীশ্রী রামঠাকুর ।
Reviewed by শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ নমঃ(SriSriramthakur O gan Ganer vhovon Youtube channel)
on
August 24, 2024
Rating:
No comments: