ঠাকুরের কৃপায় ঘরেই হল কুম্ভস্নান | করুণাময় গুরুদেবের কৃপা লীলা"
🙏 জয়রাম 🙏 জয়গুরু 🙏
🙏 গুরু কৃপাহি কেবলম্ 🙏
"সংসারই সাধন-ভজনের প্রকৃষ্ট স্থান।"
করুণাময় গুরুদেব ছন্দে-ছন্দে, পরমানন্দে বিলিয়েছেন নামসুধা। আজ আমরা শুনব এক অলৌকিক ঘটনা—
যেখানে ভক্তের আন্তরিক আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করলেন শ্রীশ্রী ঠাকুর, আর ঘরেই এনে দিলেন পবিত্র কুম্ভের স্নান।
একদিন করুণাময় গুরুদেব শ্রীশ্রী রামঠাকুর কলিকাতায় অতুলচন্দ্র মুখোপাধ্যায় মহাশয়ের গৃহে উপনীত হলেন।
সেই সময় পূর্ণ কুম্ভস্নানের যাত্রার জন্য অনেক ভক্ত তীর্থপথে বেরিয়ে পড়েছিলেন।
ঠাকুর অতুলবাবুর স্ত্রীকে স্নেহভরে জিজ্ঞাসা করলেন—
👉 “মা, আপনি পূর্ণকুম্ভে স্নান করতে গেলেন না?”
ভক্তি-স্নিগ্ধ কণ্ঠে তিনি বললেন—
👉 “বাবা, বড় ইচ্ছে ছিল এলাহাবাদে গঙ্গাসঙ্গমে গিয়ে পূর্ণকুম্ভ স্নান করি।
কিন্তু সংসারে এলে বাসন মাজা, কাপড় কাচাতেই জীবন কাটল।”
ঠাকুর করুণাময় কণ্ঠে উত্তর দিলেন—
👉 “মা, এসব কাজই তো কুম্ভের কাজ। ঘরে বসেই কুম্ভক করেন, দেখবেন কুম্ভমেলা ঘরে এসে পড়বে।”
দুপুরবেলা অতুলবাবুর স্ত্রী যখন গৃহে স্নানের আয়োজন করছিলেন,
ঠাকুর বললেন—
👉 “মা, একঘটি জল আর একটি গামলা দিন।”
তিনি গামলা ও জল এনে দিলেন।
শ্রীশ্রী ঠাকুর আপন শ্রীচরণ ঐ গামলায় স্থাপন করলেন,
এবং শ্রীহস্তে ঘটির জল আস্তে আস্তে চরণে ঢালতে লাগলেন।
অলৌকিক দৃশ্য!
গামলা জলে পূর্ণ হয়ে গেল।
ঠাকুর শ্রীচরণ তুলে বললেন—
👉 “মা, নেন, কুম্ভের জল এনে দিলাম।”
অতুলবাবুর স্ত্রী স্তব্ধ হয়ে গেলেন।
অবর্ণনীয় আনন্দে তিনি শ্রীপাদপদ্মে লুটিয়ে পড়লেন,
চরণতল অশ্রুজলে ভিজিয়ে নিজের আঁচল ও কেশরাশি দিয়ে মুছে নিলেন।
এইভাবেই গুরুদেবের করুণায়, ঘরেই এল কুম্ভস্নান।
ভক্তবাঞ্ছা পূর্ণ হল তাঁর আশীর্বাদে।
গুরুদেব আমাদের শিক্ষা দিলেন— ✨ সংসারের প্রতিটি কাজই সাধনা।
✨ ভক্তের আন্তরিক আকাঙ্ক্ষা ও বিশ্বাসকে ভগবান কখনও ব্যর্থ করেন না।
✨ গুরুর কৃপা থাকলে, তীর্থ, স্নান, পূজা—সবই গৃহে উপনীত হয়। সংসার আশ্রমেই ভক্তির পূর্ণতা লাভ করা যায়। গুরু-অনুগ্রহই আমাদের মুক্তির একমাত্র পথ।
🙏 করুণাময় গুরুদেবের কৃপা সর্বত্র বিরাজমান।
🙏 ভক্ত হৃদয়ে জাগুক তাঁর প্রতি অটল বিশ্বাস। 🙏 সংসারই হোক সাধন-ভজনের ক্ষেত্র।
Reviewed by শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ নমঃ(SriSriramthakur O gan Ganer vhovon Youtube channel)
on
August 22, 2025
Rating:





.jpg)
No comments: