গুরুকৃপা ও বিরজ: গুরুর প্রকৃতি — রাম ভাই স্মরণে
শ্রীশ্রী ঠাকুর বলেছেন—“নাম হইল গুরুকৃপা। কৃপা শব্দ হইছে, কৃ ধাতু দিয়া; কৃ অর্থ করা। পা অর্থ পাওয়া। পূর্ণ অর্থ হইল কইরা পাওয়া।” এখানে কৃপা মানে শুধু উপহার নয়; এটি একadirfusion—গুরু যে আধ্যাত্মিক জ্ঞান ও অনুগ্রহ দেন, সেটাই প্রকৃত কৃপা।
“তোমরা তোমাগ ভাগ্যানুসারে সুখ, দুঃখ, শান্তি, অশান্তি, ধনজন, প্রভাব, প্রতিপত্তি, লাঞ্ছনা, গঞ্জনা, দারিদ্র লাভ কর। তোমরা মনে করলে কি হইব, গুরু কখনও ঐশ্বর্য দেন না। ঐশ্বর্য দিয়া ব্রজের পথ বিলম্বিত করেন না। ঐশ্বর্য নিয়া ব্রজে যাইতে পারে না। গুরু দিতে আসেন না, গুরু আসেন নিতে। সেইজন্য বিরজ করাই গুরুর একমাত্র ধর্ম, কর্ম।”
গুরু, কৃপা ও ঐশ্বর্য — কি বোঝাচ্ছে?
এখানে ঠাকুর ব্যাখ্যা করছেন যে গুরুর প্রকৃতি আলাদা — তিনি আলোক বিতরণকারী, ন্যায়দানে নয় কোন ধন-দাতা। গুরুর কাজ মানুষের ভিতরে থাকা মোহ-অসৎ আচরণ কাটিয়ে তুলতে সাহায্য করা; তিনি 'দিয়ে' নয়—'নিয়ে' আসেন। অর্থাৎ, গুরুর আসল দায়িত্ব হলো আমাদের বিরজ বা বিচ্ছেদন করানো—অর্থাৎ ভক্তকে আলোর থেকে বিচ্ছিন্ন করে বসানো না, বরং নির্বিকার করে তোলা যাতে সে অবিনশ্বরতায় পৌঁছতে পারে।
বিরজ — গুরুর একমাত্র ধর্ম
বিরজ হল সেই অবস্থা যেখানে ভক্ত নিজে থেকে ঐশ্বর্যের আড়ালে থাকা ইচ্ছা ছেড়ে দিয়ে গুরুর আশ্রয়ে নিবিষ্ট হয়। ঠাকুর বলছেন গুরু কেবল বিরজ করাই করেন — ভক্তকে এমন এক অভিজ্ঞতার দিকে নিয়ে যান যেখানে নিজস্ব অহংকার, ভ Wallity—সব ধ্বংস হয় এবং মনের আনন্দ-শূন্যতা ভেঙে যায়।
প্রয়োগ—আজকের শিক্ষণীয় বিষয়
- ১ গুরুকে আশা করা উচিত আধ্যাত্মিক উন্নতি ও মনের স্থান পরিবর্তনের জন্য—অর্থের বা প্রতিপত্তির জন্য নয়।
- ২ ঐশ্বর্য ভোগ করলে ব্রজ (আধ্যাত্মিক লক্ষ্য) বিলম্বিত হয়—এই কথা সতর্ক করে।
- ৩ গুরুর কৃপা আসলে ভক্তের ভেতরের পরিবর্তন—সেই পরিবর্তন গ্রহণ করাই প্রধান।
উপসংহার
ঠাকুরের এই বাণী আমাদের স্মরণ করায়—আধ্যাত্মিক যাত্রা কোনো আর্থিক লেনদেন নয়। গুরুর কৃপা মানেই মনের মুক্তি, বিরজ্য, এবং আত্ম-উদ্ভাস। সেই কৃপা দিয়ে যে সত্যি পরিবর্তন আসে—ইহাই প্রকৃত দান।
উক্তি সূত্র: রাম ভাই স্মরণে, ফণীন্দ্রকুমার মালাকার

No comments: