গুরু ভাই বোনসহ সকল সনাতনী ভাই বোনদের জানাই স্বাগত ,উদ্দেশ্য গুরু দেবের অমৃত বানী সকলের মাঝে প্রচার করা।

এটি মূলত ভক্তি-যোগ ও অন্তর্দর্শনের এক জীবন্ত উদাহরণ।

 

পুরীতে এই সময় ৬/৭ দিন ছিলাম।একদিন সন্ধ্যা বেলায় আমরা তিন জন ঠাকুরের নিকট বসিয়া আছি,হঠাৎ শ্যামদা আমাকে বলিলেন,
"রোহিণী, তুই পুরী আসিয়াও জগন্নাথ দর্শন করলি না,চল,তোকে জগন্নাথ দর্শন করাইয়া আনি।"
ঠাকুর বলিলেন, "ওর জগন্নাথ ওর সঙ্গেই থাকে,মন্দিরে যাইবার কোন প্রয়োজন নাই।"
প্রায় চার-পাঁচবার শ্রীশ্রীঠাকুরের সঙ্গে পুরী গিয়াছি কিন্তু কোনদিন জগন্নাথ মন্দিরে প্রবেশ করি নাই।কেন জানি না,মন্দিরে প্রবেশ করিয়া জগন্নাথ দর্শনেরও কোন আকাঙ্খা জাগে নাই।ঠাকুর পুরীতেই রহিলেন,আমি একাকী চাঁদপুরে ফিরিয়া আসি।
শ্রীগুরু শ্রীরামঠাকুর
শ্রীরোহিণীকুমার মজুমদার
পৃষ্ঠা ১১৩-১১৪

ঠাকুরের দৃষ্টিভঙ্গি
ঠাকুর বলছেন— “ওর জগন্নাথ ওর সঙ্গেই থাকে, মন্দিরে যাইবার কোন প্রয়োজন নাই।”
অর্থাৎ, ভগবান কেবল মন্দিরের চার দেওয়ালে আবদ্ধ নন। ভক্ত যদি অন্তরে ভগবানের সান্নিধ্য অনুভব করে, তবে তাঁকে খুঁজতে বাহ্যিক মন্দিরে যাওয়া অপরিহার্য নয়।

২️⃣ ভক্তের অভিজ্ঞতা
রোহিণীকুমার মজুমদার বহুবার পুরীতে ঠাকুরের সঙ্গে গিয়েছেন, কিন্তু কোনোদিন মন্দিরে প্রবেশ করেননি। আশ্চর্যের বিষয়, তাঁর ভিতরে কখনোই সেই ইচ্ছাও জাগেনি। এটিই ঠাকুরের কৃপা— অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে ঈশ্বর দর্শন করা বাহ্যিক চোখে দর্শনের চেয়েও বড়।

৩️⃣ আধ্যাত্মিক ইঙ্গিত
এই ঘটনার মাধ্যমে বোঝা যায়, সত্যিকার গুরু ভক্তকে অন্তর্দেবতার দিকে পরিচালিত করেন। বাহ্যিক আচার-অনুষ্ঠান নয়, বরং হৃদয়ের মধ্যে বিরাজমান ঈশ্বরকেই চিনতে শেখান।

৪️⃣ সারাংশ
পুরী—যেখানে জগন্নাথের মহাদেবালয়, সেখানে থেকেও মন্দিরে প্রবেশের প্রয়োজন হয়নি। কারণ ঠাকুর নিজেই বলেছিলেন— “ভগবান তো তোমার সঙ্গেই রয়েছেন।”
এটি আধ্যাত্মিকতার এক গভীর শিক্ষা— ভক্ত যদি গুরুর শরণে থাকে, তবে সে সর্বত্র ঈশ্বরকে অনুভব করতে পারে।

👉 এটি মূলত ভক্তি-যোগ ও অন্তর্দর্শনের এক জীবন্ত উদাহরণ।

এটি মূলত ভক্তি-যোগ ও অন্তর্দর্শনের এক জীবন্ত উদাহরণ।  এটি মূলত ভক্তি-যোগ ও অন্তর্দর্শনের এক জীবন্ত উদাহরণ। Reviewed by শ্রী শ্রী সত্যনারায়ণ নমঃ(SriSriramthakur O gan Ganer vhovon Youtube channel) on August 25, 2025 Rating: 5

No comments:

Powered by Blogger.