ঠাকুরের দৃষ্টিভঙ্গি
ঠাকুর বলছেন— “ওর জগন্নাথ ওর সঙ্গেই থাকে, মন্দিরে যাইবার কোন প্রয়োজন নাই।”
অর্থাৎ, ভগবান কেবল মন্দিরের চার দেওয়ালে আবদ্ধ নন। ভক্ত যদি অন্তরে ভগবানের সান্নিধ্য অনুভব করে, তবে তাঁকে খুঁজতে বাহ্যিক মন্দিরে যাওয়া অপরিহার্য নয়।
২️⃣ ভক্তের অভিজ্ঞতা
রোহিণীকুমার মজুমদার বহুবার পুরীতে ঠাকুরের সঙ্গে গিয়েছেন, কিন্তু কোনোদিন মন্দিরে প্রবেশ করেননি। আশ্চর্যের বিষয়, তাঁর ভিতরে কখনোই সেই ইচ্ছাও জাগেনি। এটিই ঠাকুরের কৃপা— অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে ঈশ্বর দর্শন করা বাহ্যিক চোখে দর্শনের চেয়েও বড়।
৩️⃣ আধ্যাত্মিক ইঙ্গিত
এই ঘটনার মাধ্যমে বোঝা যায়, সত্যিকার গুরু ভক্তকে অন্তর্দেবতার দিকে পরিচালিত করেন। বাহ্যিক আচার-অনুষ্ঠান নয়, বরং হৃদয়ের মধ্যে বিরাজমান ঈশ্বরকেই চিনতে শেখান।
৪️⃣ সারাংশ
পুরী—যেখানে জগন্নাথের মহাদেবালয়, সেখানে থেকেও মন্দিরে প্রবেশের প্রয়োজন হয়নি। কারণ ঠাকুর নিজেই বলেছিলেন— “ভগবান তো তোমার সঙ্গেই রয়েছেন।”
এটি আধ্যাত্মিকতার এক গভীর শিক্ষা— ভক্ত যদি গুরুর শরণে থাকে, তবে সে সর্বত্র ঈশ্বরকে অনুভব করতে পারে।
👉 এটি মূলত ভক্তি-যোগ ও অন্তর্দর্শনের এক জীবন্ত উদাহরণ।

No comments: